India Pakistan Tension: বড় অ্যাকশনের পথে ভারত? তিন সেনাপ্রধানের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী
India Pakistan Tension Modi Meeting: অপারেশন সিঁদুরের দ্বিতীয় পর্যায়ে বড়সড় প্রত্যাঘাত ভারতীয় সেনাবাহিনীর, এবার কি তবে বড় অ্যাকশনের পথে ভারত? বৈঠকে মোদি

নয়াদিল্লি: বড় অ্যাকশনের পথে ভারত? তিন সেনাপ্রধানের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী। বৈঠকে যোগ দিতে পৌঁছেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। এই বৈঠকে যোগ দিয়েছেন চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল অনিল চৌহান। এর আগে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে আলোচনা প্রধানমন্ত্রীর।
আরও পড়ুন, 'দেশের জন্য জীবন দিতে প্রস্তুত' ! চণ্ডীগড়ে নাগরিক সুরক্ষার ডাকে সাড়া বিশাল জনতার..
অপারেশন সিঁদুরের দ্বিতীয় পর্যায়ে বড়সড় প্রত্যাঘাত ভারতীয় সেনাবাহিনীর। পহেলগাঁও গণহত্যার পর ফের নিয়ন্ত্রণরেখার ওপারে পাক জঙ্গিদের ওপর প্রত্যাঘাত করা হয়েছে বলে খবর। ৮ ও ৯ তারিখ রাত থেকে সকাল পর্যন্ত ভারতের পাল্টা অ্যাকশন। ভারতের প্রত্যাঘাতে গুঁড়িয়ে গিয়েছে পাক জঙ্গি ঘাঁটি। জঙ্গি ঘাঁটিগুলির উপর আছড়ে পড়েছে ভারতীয় সেনার ছোড়া গোলা। মূলত ওই ঘাঁটিগুলি থেকেই দীর্ঘদিন ধরে ভারতে হামলা চালাত বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন !
গত বুধবার দেশজুড়ে হওয়ার কথা ছিল মক ড্রিল। তার আগে মধ্য়রাতেই, 'অপারেশন সিনদুর'-এ পাক-জঙ্গিদের ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছিল ভারতীয় সেনা। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটা সম্ভবত সেনারই কৌশল। সবার মনোযোগ মক ড্রিলের দিকে যেতেই, অতর্কিতে পাকিস্তানের ওপর আঘাত হেনেছে তারা। অন্য়দিকে, এই স্ট্রাইকের আগে নরেন্দ্র মোদি জনসমক্ষে এলেও, তাঁকে দেখে কেউ কিছু বুঝতেই পারেনি। যেমনটা হয়েছিল ২০১৯ সালে বালাকোটের এয়ার স্ট্রাইকের আগেও।
মাঝরাতে পাকিস্তান আর পাক অধিকৃত কাশ্মীরে পরপর মিসাইল অ্য়াটাক। চোখের নিমেষে একের পর এক জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস। নিখুঁত পরিকল্পনা আর অব্য়র্থ লক্ষ্য়ভেদে মাত্র ২৫ মিনিটে অপারেশন শেষ। মঙ্গলবার মাঝরাতে পাকিস্তানে স্ট্রাইকের কথা জানিয়ে প্রেস বিবৃতি দেয় প্রতিরক্ষামন্ত্রক। যা দেখে চমকে ওঠেন সারা দেশের মানুষ! তারপরই সামনে আসতে শুরু করে একের পর এক ভিডিও। সবাই যখন ভাবছে, বুধবার সকালে মক ড্রিলে কী হবে, তখন চূড়ান্ত দক্ষতার সঙ্গে 'অপারেশন সিঁদুর' শেষ করে ফেলে ভারতীয় সেনা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সম্ভবত এটাই ভারতীয় সেনার কৌশল ছিল! তাঁদের মতে, এধরনের স্ট্রাইক চূড়ান্ত গোপনীয়তার সঙ্গে করতে হয়। যাতে যেখানে টার্গেট করা হচ্ছে, সেখানে কেউ কিছু টের না পায়। কিনতু, পহেলগাঁও-কাণ্ডের পর থেকে, সারা দেশজুড়ে স্ট্রাইকের দাবি উঠেছিল। নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহদের কথায় কার্যত স্পষ্ট হয়ে গেছিল, বড় কিছু হতে চলেছে। কিনতু, তাতে পাকিস্তানও সজাগ হয়ে গেছিল। এই পরিস্থিতিতে কিছু করা সম্ভব ছিল না। এর মধ্য়েই গত বুধবার মক ড্রিলের কথা ঘোষণা করে মোদি সরকার।
সবাই তা নিয়ে ব্য়স্ত হয়ে পড়ে। সকলে কার্যত ধরেই নিয়েছিল, মক ড্রিলের আগে তাহলে কিছু হচ্ছে না। কিন্তু, ঠিক সেই সময়েই মোক্ষম স্ট্রাইক করল ভারতীয় সেনা!মঙ্গলবার সন্ধেয় এবিপি নেটওয়ার্কের সামিটে উপস্থিত ছিলেন নরেন্দ্র মোদি। সেখানেও তাঁর শরীরী ভাষায় কিচ্ছু বোঝার উপায় ছিল না! অথচ, ততক্ষণে নিশ্চিতভাবে স্ট্রাইকের সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে।
এপ্রসঙ্গে অনেকের মনে পড়ে যাচ্ছে ২০১৯ সালের কথা। পুলওয়ামাকাণ্ডের প্রতিশোধ নিতে ভারতীয় বায়ুসেনা যখন পাকিস্তানের বালাকোটে এয়ার স্ট্রাইক করেছিল, তার কিছুক্ষণ আগেও নরেন্দ্র মোদি জনসমক্ষে ছিলেন। কিন্তু, তাঁকে দেখে কেউ কিছু বুঝতে পারেনি। আর এতেই ধোঁকা খেয়ে যায় পাকিস্তানও। স্ট্রাইকের আগে সেনাকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। স্ট্রাইকের পর মন্ত্রিসভার বৈঠকে তিনি বলেন, আজ গর্বের দিন।






















