(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
DA Increament : দীপাবলির আগে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের জন্য আরও সুখবর আসতে পারে
কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মচারীদের জন্য সুখবর আসতে পারে।
নয়াদিল্লি : কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মচারীদের জন্য সুখবর। সবকিছু ঠিকঠাক চললে এবার দীপাবলিতে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের হাতে অর্থের কোনও অভাব হবে না। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা জুলাই থেকে বর্ধিত হারে মহার্ঘ্য ভাতা পাচ্ছেন। বেড়েছে DR বা ডিয়ারনেস রিলিফও। বেড়েছে বাড়ি ভাড়া ভাতাও। আবার বাড়তে পারে মহার্ঘ্য ভাতা, খবর সূত্রের। উল্লেখ্য, জুলাই মাসের ১ তারিখ থেকে ২৮ শতাংশ হারে ডিএ পাচ্ছেন সরকারি কর্মচারীরা। বেতনেও সেই প্রতিফলন ঘটেছে। সূত্রের খবর, দীপাবলির আগে মহার্ঘ্য ভাতা বাড়তে পারে আরও ৩ শতাংশ। সেই সঙ্গে গত ১৮ মাসের যে এরিয়ার বাকি রয়েছে, তা দেওয়ার বিষয়েও সিদ্ধান্ত নিতে পারে কেন্দ্র। করোনা পরিস্থিতিতে ২০২০ তে কেন্দ্র মহার্ঘ্য ভাতা বৃদ্ধি স্থগিত রেখেছিল।
জুলাই মাসে, কেন্দ্র মহার্ঘ্য ভাতা ১৭ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৮ শতাংশ এবং বাড়ি ভাড়া ভাতা ২৪ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৭ শতাংশ করেছিল। এখন কেন্দ্রীয় কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা আবার ৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেলে, হবে ৩১ শতাংশ। একই সঙ্গে, ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণার পর থেকে কেন্দ্রীয় কর্মচারীরা ক্রমাগত ডিএ বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার দাবি করে আসছে। তবে এই বকেয়া মেটানো নিয়ে কোনও তথ্য সামনে আসেনি। গত ২৬ জুন ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ জয়েন্ট কনসাল্টেটিভ মেশিনারি (জেসিএম), অর্থমন্ত্রক এবং কর্মীবর্গ ও প্রশিক্ষণ বিভাগ (ডিওপিটি)-র আধিকারিকদের মধ্যে একটি বৈঠক হয়।
জেসিএমের ন্যাশনাল কাউন্সিলের জেসিএম মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) বৃদ্ধির ব্যাপারে একটি চিঠি জারি করা বলে খবর। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয় যে, গত ২৬ জুনের বৈঠক ইতিবাচক হয়েছে। ২০২০ থেকে প্রায় দেড় বছর ধরে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ডিএ বৃদ্ধি স্থগিত ছিল। করোনা ভাইরাস জনিত পরিস্থিতি মোকাবিলার ক্ষেত্রে আর্থিক ক্ষেত্রে যে প্রভাব পড়েছে, তার মোকাবিলায় তহবিল বাঁচাতে সরকার এই পদক্ষেপ নিয়েছিল। জেসিএম সচিব শিব গোপাল মিশ্রর দফতরের পক্ষ থেকে ওই চিঠি জারি করা হয়। চিঠিতে উল্লেখ করা হয় যে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা সচিব ডিএ ও ডিআরের ক্ষেত্রে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নিতে রাজি হয়েছেন। গত বছর দেশে দেখা গিয়েছে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ। সংক্রমণ রুখতে দেশজুড়ে লকডাউন জারি হয়েছিল। এ বছর আবার করোনার দ্বিতীয় ঢেউ বিপর্যয় নিয়ে আসে। বর্তমানে সংক্রমণ রোধে বিভিন্ন রাজ্যে বিধিনিষেধ জারি রয়েছে। সেইসঙ্গে চলছে টিকাকরণের কাজ।