Nairobi Flies: না কামড়ায়, না হুল ফোটায়, গায়ে বসলেই কুপোকাত রোগী, নাইরোবি ফ্লাই আতঙ্ক সিকিমে, সংক্রমিত ১০০ পড়ুয়া
Sikkim News: মূলত পূর্ব আফ্রিকায় উৎপত্তি নাইরোবি ফ্লাইয়ের। সেটি কেনিয়ান ফ্লাই নামেও পরিচিত। আবার ড্রাগন পোকাও বলা হয়।
ঝিলম করঞ্জাই, মোহন প্রসাদ, দার্জিলিং: অতিমারির প্রকোপ কাটলেও, নতুন করে চোখ রাঙাচ্ছে করোনা। অতিবৃষ্টি, ঝঞ্ঝা, ধসও লেগেই রয়েছে। সেই আবহেই এ বার সিকিম ছাড়িয়ে পাড়ারে নাইরোবি ফ্লাই (Nairobi Flies) আতঙ্ক। পাহাড় থেকে সমতলেও এই আতঙ্ক নেমে আসতে পারে বলে আশঙ্কা পতঙ্গবিদদের। কলকাতায় ইতিমধ্যেই উপদ্রব দেখা দিয়েছে, রোগীরা ইতিমধ্যে চিকিৎসা করাতেও ভিড় জমাচ্ছেন বলে চিকিৎসকদের একাংশ।
নাইরোবি ফ্লাই আতঙ্ক সিকিমে
এই মুহূর্তে আবহাওয়া এবং তাপমাত্রা যে জায়গায় রয়েছে, তা এই পতঙ্গের বেড়ে ওঠার পক্ষে অনুকুল বলে মত পতঙ্গবিদদের। বর্ষায় এই পতঙ্গের উপদ্রব বাড়ে বলেই জানা গিয়েছে। সিকিমের (Sikkim) পাশাপাশি, কার্শিয়াংয়েও এক ছাত্রী সংক্রমিত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে (Nairobi Flies Scare)।
সিকিম মণিপাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি ক্যাম্পাসে সম্প্রতি নাইরোবি ফ্লাইয়ের উপদ্রব বেড়েছে। খাবারের খোঁজে এক জায়গা থেকে অন্যত্র উড়ে বেড়ায় তারা। সিকিম মণিপাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, এই পতঙ্গের সংস্পর্শে এসে তাঁদের প্রায় ১০০ পড়ুয়ার ত্বকে সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। তাঁদের ওষুধ দেওয়া হয়েছে। সুস্থ হয়ে ওঠার পথে তাঁরা। তবে সম্প্রতি সংক্রমিত হয়ে পড়া এক পড়ুয়াকে সম্প্রতি অস্ত্রোপচার করাতে হয় বলেও জানা গিয়েছে।
নাইরোবি ফ্লাই কী!
মূলত পূর্ব আফ্রিকায় উৎপত্তি নাইরোবি ফ্লাইয়ের। সেটি কেনিয়ান ফ্লাই নামেও পরিচিত। তাকে ড্রাগন পোকাও বলা হয়। খানিকটা গুবরে পোকার মতো দেখতে এই পতঙ্গের দুই প্রজাতি রয়েছে। একটি প্রজাতির রং হয় কমলা, অন্যটির কালো। বৃষ্টিপ্রবণ এলাকায় দ্রুত তাদের বংশবিস্তার ঘটে।
এই নাইরোবি ফ্লাই কামড়ায় না, হুলও ফোটায় না। তবে গায়ের উপর বসলে ত্বকে জ্বালা ধরায়। ত্বকের উপর নাইরোবি পতঙ্গ বসলে ফ্যাকাসে দাগও হয়ে যায়। তবে এক-দু'সপ্তাহের মধ্যে আবার স্বাভাবিক হয়ে যায় ত্বক। পতঙ্গবিদরা জানিয়েছেন, নাইরোবি ফ্লাই যখন গায়ে বসে, তাদের শরীরে থাকা অ্যাসিডজাতীয় উপাদান আমাদের ত্বকের উপর বসে যায়। তাতেই জ্বালা করে ত্বক।
আরও পড়ুন: India Coronavirus : লাফিয়ে বাড়ছে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা, মারাত্মক হারে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা
১৯৯৮ সালে কেনিয়া এবং পূর্ব আফ্রিকার বিস্তীর্ণ অংশে নাইরোবি ফ্লাইয়ের প্রকোপে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়। অতিবৃষ্টির জেরে দ্রুত বংশবৃদ্ধি ঘটে তাদের। ভারত, জাপান, ইজরায়েল এবং প্যারাগুয়েতেও নাইরোবি ফ্লাইয়ের প্রকোপ দেখা গিয়েছে।
নাইরোবিফ্লাইয়ের সংস্পর্শ এড়াতে রাতে মশারি টাঙিয়ে শোওয়া উচিত। পোকার সংস্পর্শে এলে ফুঁ দিয়ে অথবা আলতো করে হালকা জিনিস দিয়ে তা সরিয়ে দিতে হবে।