Bhagalpur Bomb Blast: বিহারের ভাগলপুরে পরপর বিস্ফোরণ, মৃত ৭, জখম ৯
Bihar Bhagalpur Bomb Blast:ভাগলপুর রেঞ্জের ডিআইজি সুজিত কুমার (DIG Sujeet Kumar) এই বিস্ফোরণের ঘটনার প্রাথমিক কারণ হিসেবে বারুদ, বাজি ও দেশি বোমা তৈরির কথা বলেছেন।
ভাগলপুর: বৃহস্পতিবার রাতে একের পর এক বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল বিহারের ভাগলপুরে(Bhagalpur Bomb Blast) । বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শোনা গেল শহরজুড়েই। ভাগলপুরে এই বোমা বিস্ফোরণে সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। জানা গেছে, ৯ জন গুরুতর জখম হয়েছেন। বিস্ফোরণ এতটাই শক্তিশালী ছিল যে, তিনটি বাড়ি ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভাগলপুর রেঞ্জের ডিআইজি সুজিত কুমার (DIG Sujeet Kumar) এই বিস্ফোরণের ঘটনার প্রাথমিক কারণ হিসেবে বারুদ, বাজি ও দেশি বোমা তৈরির কথা বলেছেন।তিনি বলেছেন, ফরেন্সিক দলের তদন্তের পর এই ঘটনার বিভিন্ন দিক সামনে আসবে।
কোতওয়ালি থানা থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে এই ঘটনা ঘটে। থানা থেকে মাত্র ১০০ মিটার দূরে একটি বাড়িতে বিস্ফোরণের এই ঘটনা ঘটেছে। বিস্ফোরণে একটি তিনতলা বাড়ি ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছে।আশেপাশে আরও দু-একটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিস্ফোরণের খবর জানতে পারার পরই ঘটনাস্থলে ছুটে যান ডিআইজি সুজিত কুমার,ডিএম সুব্রত কুমার সেন, এসএসপি বাবু রাম। বিশাল সংখ্যক পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে তাঁরা ঘটনাস্থলে যান। পুলিশ ও প্রশানের পদস্থ আধিকারিকরা ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষণ করেন, পুরো এলাকা ঘিরে ফেলা হয়। ঘটনাস্থল ঘিরে ফেলে দুটি জেসিবিকে কাজে লাগিয়ে ধ্বংসস্তুপ পরিষ্কার ও সেখানে আটকদের দ্রুত উদ্ধারের চেষ্টা শুরু হয়।
অন্যদিকে, ঘটনায় জখমদের ভাগলপুরের জেএলএন হাসপাতাল মায়াগঞ্জে ভর্তি করা হয়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে যে, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এই ঘটনা সম্পর্কে এক প্রতিবেশী যুবকের অভিযোগ, বিধ্বস্ত বাড়ির মালিক বোমা তৈরির কারবার করত। পুলিশ আপাতত উদ্ধার কাজের সঙ্গে বিস্তারিতভাবে তদন্ত শুরু করেছে।
এলাকার লোকজন জানিয়েছেন তাঁদের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা। তাঁরা বলেছেন, বিস্ফোরণ এতটাই জোরাল ছিল যে, এর শব্দ শহরের অধিকাংশ জায়গাতেই শোনা গিয়েছে। বিক্রমশীলা কলোনি, রিকাবগঞ্জ, উর্দু বাজার, রামসর, জব্বারচক, ইশাকচক, লালুচক, আদমপুরের মতো এলাকার বাসিন্দাদের ঘরবাড়ি বিস্ফোরণের ধাক্কায় কেঁপে ওঠে। আতঙ্কে লোকজন ঘর ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে আসেন।
ঘটনার পর ভাগলপুরের জেলা শাসকের নির্দেশে জওহরলাল নেহরু হাসপাতালে ভর্তি গুরুতর আহতদের চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকদের দল গঠন করা হয়। জানা গেছে, পুলিশ এই ঘটনায় বাজি তৈরির সঙ্গে যুক্ত দুজনকে হেফাজতে নিয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে সরকারিভাবে কিছু জানা যায়নি।