(Source: Poll of Polls)
Pragya Thakur on Covid19: 'রোজ গোমূত্র খেলে সারবে ফুসফুসের কোভিডজনিত ক্ষতি' দাবি প্রজ্ঞা ঠাকুরের
২০১৯ সালে প্রজ্ঞা দাবি করেছিলেন, গোমূত্র খেয়েই তাঁর ক্যানসার সেরে উঠেছিল
ভোপাল : রোজ খেতে হবে দেশী গোমূত্র, তাহলেই সেরে যাবে কোভিড থেকে হওয়া ফুসফুসের ক্ষতি! এমন দাবিই করেছেন প্রজ্ঞা ঠাকুর। বিজেপির সাংসদের এও দাবি, রোজ গোমূত্র খেয়েই করোনার কবল থেকে মুক্ত তিনি। ২০১৯ সালে প্রজ্ঞা দাবি করেছিলেন, গোমূত্র খেয়েই তাঁর ক্যানসার সেরে উঠেছিল। এবার করোনার ক্ষেত্রেও সেই গৌমূত্রই দাওয়াই তাঁর!
দলের এক অনুষ্ঠানে প্রজ্ঞা ঠাকুর বলেছেন, 'রোজ যদি দেশী গোমূত্র খাওয়া যায়, তাহলে করোনা থেকে হওয়া ফুসফুসের ক্ষতি সেরে উঠবে। আমি এই মুহূর্তে প্রচণ্ড কষ্টে রয়েছি, তবে আমি রোজ নিয়ম করে গোমূত্র পান করি। আর তার জন্যই আমার অন্য কোনও ওষুধ খাওয়ারও দরকার পড়ে না। আর আমার করোনাও নেই।'
গোটা ভারত যখন করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের জেরে তৈরি হওয়া সুনামি সঙ্গে লড়ছে তখন প্রজ্ঞা ঠাকুরের এহেন মন্তব্য উঠেছে সমালোচনার ঝড়। একদিকে দেশজুড়ে ক্রমাগত রোজ বাড়ছে কোভিড সংক্রমিত, মৃতের সংখ্যা আর তার মাঝে একের পর এক আজব দাবি পেশ করছেন নেতারা। কয়েকদিন আগেই উত্তরাখণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ত্রেবেন্দ্র সিংহ রাওয়াত দাবি করেছিলেন, করোনাও জীব তাঁরও বাঁচার অধিকার রয়েছে।
এমনিতেই কিছুদিন আগে দেখা গিয়েছিল গুজরাটে একদল গায়ে গোবর মাখছেন করোনা থেকে নিস্তার পাওয়ার আশায়। তার পর আবার প্রজ্ঞা ঠাকুরের এমন মন্তব্য। আগেরবার যখন তিনি গোমূত্র খেয়ে ক্যানসার সারানোর দাবি করেছিলেন, সেবার তা নস্যাৎ করে দিয়েছিলেন চিকিৎসকরা।
চিকিৎসকদের সাফ কথা ছিল, যে কোনও প্রাণীর মূত্র বা মল খেলে তা থেকে বরং ক্ষতিকর কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াই শরীরে দেখা যেতে পারে। কিছুদিন আগে গুজরাটে গরুর মল মাখা নিয়েও চিকিৎসকরা সতর্ক করে দিয়েছিলেন। তারা মনে করিয়ে দিয়েছিলেন, এর জেরে মারকোমাইকোসিস জাতীয় রোগ হতে পারে।
সম্প্রতি ইন্ডিয়াল মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনও সতর্ক করে দিয়েছিল এভাবে বিজ্ঞানের কোনও ধার না ধেরে গায়ে মল-মূত্র মাখার খারাপ প্রভাব নিয়ে।
(এই দাবি করেছেন প্রজ্ঞা ঠাকুর। এর পিছনে কোনও বৈজ্ঞানিক যুক্তি নেই। এবিপি লাইভ বাংলা এই দাবি প্রসঙ্গে কোনও মতামত ব্যক্তও করে না।)