(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
CBI Raids : আর্থিক লেনদেন মামলায় ফের সিবিআইয়ের আতসকাঁচের তলায় চিদম্বরম-পুত্র, তল্লাশি ৭ জায়গায়
P Chidambarams Premises : এর আগে কার্তি পি চিদম্বরমের সাথে যুক্ত ১৬ টি সম্পত্তিতে সিবিআই অভিযান চালিয়েছিল।
নয়া দিল্লি : কার্তি চিদম্বরমের সঙ্গে জড়িত সাত জায়গায় তল্লাশি সিবিআইয়ের। মুম্বই, দিল্লি, চেন্নাই-সহ দেশের সাতটি জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই। খবর সূত্রের। চিদম্বরম-পুত্রের বিরুদ্ধে ২০১০ থেকে ২০১৪-র মধ্যে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগের ভিত্তিতে এই তল্লাশি। এদিকে নতুন করে সিবিআই তল্লাশি প্রসঙ্গে কার্তি চিদম্বরমের প্রতিক্রিয়া, "এতবার তল্লাশি হয়েছে, গোনা ভুলে গেছি।"
২০১৯ সালের শুরুতে ইউনাইটেড প্রোগ্রেসিভ অ্যালায়েন্স (ইউপিএ) শাসনের সময় ২০০৭ সালে কেন্দ্রের বিদেশি বিনিয়োগ প্রচার বোর্ড দ্বারা অনুমোদিত বিদেশি বিনিয়োগের অনুমোদন সংক্রান্ত একটি মামলায় কার্তি পি চিদম্বরমের সাথে যুক্ত ১৬ টি সম্পত্তিতে সিবিআই অভিযান চালিয়েছিল।
Central Bureau of Investigation is conducting searches at multiple locations (residence and office) of Congress leader Karti Chidambaram, in connection with an ongoing case, says his office to ANI.
(file pic) pic.twitter.com/YPzcVLUTo6
">
এর আগে কার্তির বিরুদ্ধে একটি দায়ের হওয়া মামলা ছিল, তাঁর বাবা অর্থমন্ত্রী থাকাকালে ৩০৫ কোটি টাকা বিদেশি তহবিল পাওয়ার জন্য আইএনএক্স মিডিয়াকে এফআইপিবি ছাড়পত্র দেওয়া নিয়ে। তিনি এয়ারসেল ম্যাক্সিস ও বেআইনি আর্থিক লেনদেন মামলায়ও অভিযুক্ত হন। এয়ারসেল-ম্যাক্সিস চুক্তিতে দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম ও তাঁর পুত্র কার্তির বিরুদ্ধে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দিয়েছিল সিবিআই।
প্রসঙ্গত, চিদম্বরম ইউপিএ ১ সরকারের আমলে অর্থমন্ত্রী থাকার সময়ই ৩,৫০০ কোটি টাকার এয়ারসেল-ম্যাক্সিস ও ৩০৫ কোটি টাকার আইএনএক্স মিডিয়া দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। ফরেন ইনভেস্টমেন্ট প্রোমোশন বোর্ড এই চুক্তি অনুমোদন করেছিল। এ বিষয়ে চিদম্বরম ও কার্তির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। ২০১৯ সালের ৪ ডিসেম্বর আইএনএক্স দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিন পান পি চিদম্বরম। দু’লক্ষ টাকা ব্যক্তিগত বন্ডের বিনিময়ে জামিন মঞ্জুর হয়। তবে আদালত নির্দেশ দেন, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে পাসপোর্ট জমা রাখতে হবে, তদন্তকারীদের জেরার মুখোমুখি হতে হবে এবং তিনি সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারবেন না।
১০৬ দিন আটক থাকার পর তিহাড় জেল থেকে মুক্তি পেয়েই সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেছিলে কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদম্বরম। তিনি বলেছিলেন, ‘বিচারের আগেই ১০৬ দিন ধরে আটকে রেখেও আমার বিরুদ্ধে একটিও চার্জ গঠন করা হয়নি। আমি জেল থেকে মুক্তি পেয়ে খুশি। তবে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে চলব। এই মামলার বিষয়ে কোনও মন্তব্য করব না।’