Sonia Gandhi: আজ ইডি-র দফতরে হাজিরা সনিয়ার, সকাল সকাল মায়ের কাছে প্রিয়ঙ্কা, তেতে উঠছে দিল্লি
National Herald Case: এ দিন বেলা ১১টায় ইডি-র দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা রয়েছে সনিয়ার। ইডি-র দফতরের উদ্দেশে সনিয়া রওনা দেওয়ার আগে, এ দিন সকালেই মায়ের বাড়িতে পৌঁছে যান কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা।
নয়াদিল্লি: হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন সম্প্রতি। তার পরই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (Enforcement Directorate/ED) সামনে হাজিরা দিতে চলেছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী (Sonia Gandhi)। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে ইডি-র দফতরে হাজিরা দিতে চলেছেন তিনি। ন্য়াশনাল হেরাল্ড মামলায় (National Herald Case) সনিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চলেছে ইডি। তিন দফায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর। তাকে ঘিরে উত্তাপ বাড়ছে রাজধানীতে। আজ দিল্লিতে বিক্ষোভ দেখানোর পরিকল্পনা রয়েছে কংগ্রেসের (Congress)।
আজ ইডি-র দফতরে হাজিরা সনিয়ার
এ দিন বেলা ১১টায় ইডি-র দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা রয়েছে সনিয়ার। ইডি-র দফতরের উদ্দেশে সনিয়া রওনা দেওয়ার আগে, এ দিন সকালেই মায়ের বাড়িতে পৌঁছে যান কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা। ইডি-র দফতর পর্যন্ত সনিয়ার পাশে তিনি থাকবেন বলে খবর। রাহুল গাঁধীও মায়ের সঙ্গে থাকবেন বলে শোনা যাচ্ছে। এ ছাড়াও সনিয়ার সঙ্গে মিছিল করে ইডি-র দফতর পর্যন্ত যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে কংগ্রেসের সাংসদ, মন্ত্রী, নেতা এবং কর্মী-সমর্থকদের। দেশের অন্য রাজ্যেও বিক্ষোভে নামার কথা রয়েছে কংগ্রেসের।
এ নিয়ে বুধবার সন্ধেয় দিল্লিতে জরুরি বৈঠকে বসেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। রাহুলের হাজিরার সময় যেমন বিক্ষোভ দেখানো হয়েছিল, এ বারও তার পুনরাবৃত্তি নিয়ে বিশদ আলোচনা হয় সেখানে। রাতে কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ ট্যুইটারে লেখেন, ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চালিয়ে যাচ্ছেন মোদি-শাহ। তার বিরুদ্ধে কাল দেশজুড়ে বিক্ষোভ দেখাবে কংগ্রেস। সনিয়া গাঁধীর পাশে থাকতে একজোটে বিক্ষোভ দেখাবেন কংগ্রেসের নেতা-কর্মী-সমর্থকেরা’। এর আগে, রাহুলকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। করোনায় আক্রান্ত হয়ে পড়ার পর হাজিরা দিতে সনিয়া বাড়তি সময় ছিলেন তদন্তকারীদের কাছে।
ন্যাশনাল হেরাল্ড সংবাদপত্রটি অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেড (AJL) থেকে প্রকাশিত হত, যার মালিক সংস্থা ছিল ইয়ং ইন্ডিয়ান প্রাইভেট লিমিটেড। জওহরলাল নেহরু প্রতিষ্ঠিত ওই সংবাদপত্র নিয়ে আগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠলেও, ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিষয়টি নিয়ে নতুন করে জলঘোলা শুরু হয়, যার মূল হোতা ছিলেন প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। আদালতে তিনি জানান, যে এজেএল সংস্থার হাতে সংবাদপত্রটির মালিকানা ছিল, বাজারে ৯০ কোটি টাকা দেনা ছিল তাদের, যার বেশিরভাগটাই কংগ্রেসের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছিল।
ন্য়াশনাল হেরাল্ড মামলায় সনিয়াকে তলব
আদালতে স্বামী জানান, ২০০৮ সালে সংবাদপত্রটির প্রকাশনা বন্ধ হয়ে যায়। সেই অবস্থাতেই মাত্র ৫০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে সংস্থাটি অধিগ্রহণ করে কংগ্রেস মালিকানাধীন ইয়ং ইন্ডিয়ান প্রাইভেট লিমিটেড সংস্থা, যার পর ন্যাশনাল হেরাল্ডের কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি ইয়ং ইন্ডিয়ানের দখলে চলে আসে। আবার ৯০ কোটি টাকা উদ্ধারের বাড়তি সুবিধাও।
স্বামীর অভিযোগ, ইয়ং ইন্ডিয়ান সংস্থাটিতে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া এবং রাহুলের ৮৬ শতাংশ টাকার শেয়ার রয়েছে। তা নিয়ে আদালতে স্বামী জানান, নামমাত্র মূল্যে এজেএল তথা ন্যাশনাল হেরাল্ডকে কিনে নিয়ে বিপুল অঙ্কের সম্পত্তির অধিকারী হয়েছে সনিয়া-রাহুলদের সংস্থা ইয়ং ইন্ডিয়ান। দলের টাকাকে নিজেদের ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে রূপান্তর করা হয়েছে। শুধু সনিয়া-রাহুলের বিরুদ্ধে শুধু নয়, এই মামলায় মতিলাল বোহরা, অস্কার ফার্নান্ডেজ, সুমন দুবে এবং স্যাম পিত্রোদার বিরুদ্ধেও আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। বিপুল টাকার করফঁকির অভিযোগও রয়েছে।