Health Ministry Guidelines: মৃদু উপসর্গ বা উপসর্গহীন রোগীরা থাকুন হোম আইসোলেশনে, দেখুন স্বাস্থ্যমন্ত্রকের গাইডলাইন
এরকম পরিস্থিতিতে করোনার হাল্কা বা মৃদু উপসর্গ যাদের আছে, তাদের বাড়িতেই আইসোলেশনে (Home Isolation) থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা ৷ সেই সংক্রান্ত নতুন সংশোধিত নির্দেশিকাও জারি করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক ৷
নয়াদিল্লি: করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত দেশ ৷ প্রতিদিনই আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে দেশে ৷ বাড়ছে মৃত্যুও ৷ প্রতিদিন নতুন নতুন রেকর্ড গড়ছে করোনা ৷ অক্সিজেন নেই, হাসপাতালে বেডের অভাব ৷ আর কিছুদিন এই ভাবে চললে কী হবে, তা ভেবেই মাথায় হাত সকলের ৷ এরকম পরিস্থিতিতে করোনার হাল্কা বা মৃদু উপসর্গ যাদের আছে, তাদের বাড়িতেই আইসোলেশনে (Home Isolation) থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা ৷ সেই সংক্রান্ত নতুন সংশোধিত নির্দেশিকাও জারি করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক ৷
৬০ বছরের ঊর্ধ্বে বয়স্ক রোগী এবং যাঁদের হাইপার টেনশন, ডায়াবেটিস, হার্টের অসুখ, গুরুতর ফুসফুস বা লিভার বা কিডনি, Cerebrovascular রোগের মতো কোমর্বিডিটি রয়েছে তাঁদের চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে বাড়িতে আইসোলেশনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ৷ যদি কোনও ক্ষেত্রে অক্সিজেনের মাত্রা নীচে নেমে যায় বা শ্বাসকষ্ট শুরু হয়, সেক্ষেত্রে ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজন রয়েছে এবং চিকিৎসকের সঙ্গে ওই সময়েই পরামর্শ করুন।
করোনা পজিটিভ ব্যক্তির গুরুতর শারীরিক সমস্যা না হলে হোম আইসোলেশনই নিয়ম। এতদিন, ১৪-১৫ দিনের হোম আইসোলেশনের পর ফের একবার করোনা টেস্ট করাতে হত আক্রান্তকে। তবে, এবার পাল্টাল সেই নিয়ম। হোম আইসোলেশনের পর কোভিড টেস্টের কোনও প্রয়োজন নেই বলেই স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ৷ এর পাশাপাশি বাড়িতে কোনওভাবেই রেমডেসিভিরের ব্যবহার বা অন্য কোনও পরীক্ষামূলক থেরেপির প্রয়োগ একেবারেই নয়, স্বাস্থ্যমন্ত্রকের হোম আইসোলেশন নিয়ে নয়া নির্দেশিকায় তা জানানো হয়েছে ৷
যদি প্যারাসিটামলের ৬৫০ mg-র ট্যাবলেট দিনে চার বার খেয়েও জ্বর না কমে ৷ তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন, যিনি অন্য ওষুধ তখন দিতে পারবেন ৷ non-steroidal anti-inflammatory drug (Naproxen 250 mg ট্যাবলেট প্রতিদিন দু’বার করে) এবং তিন থেকে পাঁচ দিনের জন্য প্রতিদিন খালি পেটে একবার Ivermectin-এর মতো ট্যাবলেট খাওয়ার কথা ডাক্তার সে সময়ে উল্লেখ করতে পারেন ৷
করোনা রোগীকে পরিবারের অন্য সদস্যদের থেকে আলাদা থাকাটা আবশ্যিক ৷ নির্দিষ্ট একটি ঘরের মধ্যে এবং অন্যদের থেকে বিশেষ করে বয়স্কদের থেকে দূরে থাকতে হবে। খুব বেশি বদ্ধ জায়গায় থাকা একেবারেই উচিৎ নয় ৷ ঘরের মধ্যে খোলামেলা পরিবেশ থাকা দরকার, যেখানে বাতাস চলাচল করতে পারে। ঘরের জানলা খোলা রাখতে হবে, যাতে ঘরে আলো-বাতাস ঢুকতে পারে এবং সবসময় মুখে পরার জন্য তিনটি স্তর-যুক্ত মেডিক্যাল মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।