Cyclone Yaas in Bengal: ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের সতর্কবার্তায় স্থানীয় ভাষাতে জোর দেওয়ার পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রস্তুতি ঘিরে সরকারি আধিকারিক, ন্যাশনাল ডিসাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি, টেলিকম, বিদ্যুৎ প্রভৃতি মন্ত্রকের সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী, যে আলোচনায় হাজির ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও।
নয়াদিল্লি : ঘূর্ণিঝড় নিয়ে যাবতীয় সতর্কবার্তা স্থানীয় ভাষায় প্রকাশ-প্রচারের পরামর্শ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রস্তুতি ঘিরে সরকারি আধিকারিক, ন্যাশনাল ডিসাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি, টেলিকম, বিদ্যুৎ প্রভৃতি মন্ত্রকের সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী, যে আলোচনায় হাজির ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। সেই বৈঠকেই প্রধানমন্ত্রী ভাষা-সমস্যা কাটানোর পরামর্শ দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, 'প্রধানমন্ত্রী সমস্ত আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন ঘূর্ণিঝড়ের সময় কী করণীয় আর কী করা অনুচিত না নিয়ে যাবতীয় সতর্কবার্তা যেন স্থানীয় ভাষায় প্রকাশ-প্রচার করা হয়। ঘূর্ণিঝড়ের যে সব অঞ্চলে আছড়ে পড়ার আশঙ্কা সেখানকার বাসিন্দাদের কথা ভেবেই এই পরামর্শ।'
পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর তরফে সমস্ত সিনিয়র আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে রাজ্যগুলির সঙ্গে প্রয়োজনীয় সম্বন্নয় রেখে কাজ চালানো হয়। যে সমস্ত এলাকায় ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের আছড়ে পড়ার আশঙ্কা বেশি, সেখানকার বাসিন্দাদের যাতে দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, সমুদ্র উপকূলবর্তী সমস্ত কাজকর্ম যাতে স্তব্ধ থাকে, সেটা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রেও বার্তা দিয়েছেন তিনি।
টেলিকম, বিদ্যুৎ বিভাগের সচিবদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর বার্তা, যাতে ঘূর্ণিঝড় কবলিত এলাকাগুলিতে দ্রুত টেলি-যোগাযোগ থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ ফিরে আসে সেটা সুনিশ্চিত করার ক্ষেত্রেও দায়িত্ব নিতে হবে। এক্ষেত্রেও রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে বাড়তি সম্বন্নয় রক্ষা করে কাজ চালানোর বার্তা দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। কোভিড চিকিৎসাও যাতে প্রভাবিত না হয় সেটা নিশ্চিত করার বার্তাও সব পক্ষকে দিয়েছেন তিনি।
বৈঠক শেষে জানা যায়, ৪৬ টি এনডিআরএফ দল মোতায়েন করা হয়েছে। আজই বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন শুরু করেছে ১৩টি দল। উদ্ধার কাজের জন্য মোতায়েন করা হয়েছে ভারতীয় উপকূলরক্ষী ও ভারতীয় নৌবাহিনীকে। হেলিকপ্টার এবং জাহাজ নিয়ে তাঁরা প্রস্তুতি নিয়েছে। যাঁরা সমুদ্রে গিয়েছেন তাঁদের ফিরিয়ে আনার জন্য অফিসারদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে গভীর নিম্নচাপ। শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার পর বুধবার সন্ধেয় তা পারাদ্বীপ ও সাগর দ্বীপের মধ্যে দিয়ে উপকূল অতিক্রম করবে। জানাল মৌসম ভবন। ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার সময় ৬ মিটার অর্থাৎ ২০ ফুট পর্যন্ত সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা। কাল, সোমবার থেকে শুরু বৃষ্টি। প্রবল বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। তার আগে আজ কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস। বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়াও।