Direct Tax collection: প্রত্যক্ষ কর থেকেও রেকর্ড আয় কেন্দ্রের, ছ’মাসে ঘরে ঢুকল প্রায় ৯ লক্ষ কোটি
Finance Ministry: কেন্দ্রীয় সরকার প্রদত্ত হিসেব অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ এপ্রিল থেকে ৮ অক্টোবর পর্যন্ত প্রত্যক্ষ করবাবদ ৮.৯৮ লক্ষ কোটি টাকা আয় হয়েছে, গত বছরের নিরিখে যা ২৩.৮ শতাংশ বেশি।
নয়াদিল্লি: পণ্য পরিষেবা কর থেকে রেকর্ড আয় হয়েছে আগেই (GST Collection)। এ বার প্রত্যক্ষ কর থেকেও বিপুল আয় করল কেন্দ্রীয় সরকার (Direct Tax Collection)। চলতি বছরের ১ এপ্রিল থেকে ৮ অক্টোবর পর্যন্ত প্রত্যক্ষ করবাবদ ৮.৯৮ লক্ষ কোটি টাকা কেন্দ্রীয় সরকারের ঘরে জমা পড়েছে। রবিবার বিবৃতি প্রকাশ করে এমনটাই জানাল কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক (Finance Ministry)।
প্রত্যক্ষ কর থেকেও বিপুল আয় কেন্দ্রের
আয়কর দফতরের এক আধিকারিককে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, কর্পোরেট সংস্থাগুলির কাছ থেকে করবাবদ সামগ্রিক আয় বেড়ে হয়েছে ১৪.৭৪ শতাংশ। সেই তুলনায় নাগরিকদের আয়ের উপর কর থেকে কেন্দ্রের আয় একধাক্কায় বেড়ে ৩২.৩০ শতাংশ হয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকার প্রদত্ত হিসেব অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ এপ্রিল থেকে ৮ অক্টোবর পর্যন্ত প্রত্যক্ষ করবাবদ ৮.৯৮ লক্ষ কোটি টাকা আয় হয়েছে, গত বছরের নিরিখে যা ২৩.৮ শতাংশ বেশি। কর্পোরেট সংস্থা এবং দেশের নাগরিকদের আয়ের উপর সরাসরি যে কর গ্রহণ করে কেন্দ্র, তাকেই বলা হয় প্রত্যক্ষ কর। বিভিন্ন খাতে বণ্টনের পর সরকারের হাতে রয়েছে ৭.৪৫ লক্ষ কোটি টাকা, তাও গত বছরের তুলনায় ১৬.৩ শতাংশ বেশি।
Direct Tax collection grows 24 pc to Rs 8.98 lakh crore between April 1 - October 8, 2022: FinMin
— Press Trust of India (@PTI_News) October 9, 2022
কেন্দ্র জানিয়েছে, ২০২২-’২৩ অর্থবর্ষের বাজেটে প্রত্যক্ষ করবাবদ যে হিসেব ধরা হয়েছিল, তার ৫২.৪৬ শতাংশই উঠে এসেছে এই ছয় মাসে। করবাবদ আয়ের নিরিখেই কোনও দেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির মূল্যায়ন হয় সাধারণত। কিন্তু করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে উৎপাদন এবং রফতানিতে টান পড়লেও, ভারতের ক্ষেত্রে অর্থনীতির গতি শ্লথ হলেও, কর সংগ্রহে তার উপর কোনও প্রভাব পড়েনি। বিশেষজ্ঞদের দাবি ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির গতি রুদ্ধ হয়ে পড়েছে। কর্পোরেট সংস্থাগুলির মুনাফাই ইঞ্জিন চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছে এই মুহূর্তে।
অর্থনীতির গতি শ্লথ হলেও করবাবদ আয়ে প্রভাব পড়েনি
বিশেষজ্ঞদের এই দাবি যে অমূলক নয়, তার আভাস মেলে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পূর্বাভাসেও। চলতি অর্থবর্ষে দেশের অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের হার যেখানে ৭.২ শতাংশ রাখা হয়েছিল শুরুতে, সেপ্টেম্বর মাসে তা কমিয়ে ৭ শতাংশে নিয়ে এসেছে তারা। আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সংস্থাগুলিও ভারতের বৃদ্ধির পূর্বাভাসে পতনের ইঙ্গিত দিয়েছে। একই সঙ্গে সেপ্টেম্বর মাসে রফতানিও ৩.৫ শতাংশে নেমে এসেছে। গত ছয় মাসে দেশে বাণিজ্যখাতে ঘাটতি দ্বিগুণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।