Journalist Arrest: 'অভ্যন্তরীণ বিষয়', মহম্মদ জুবেইরের গ্রেফতারি নিয়ে জার্মানির মন্তব্যে কড়া প্রতিক্রিয়া ভারতের
India Sends Strong Message To Germany: 'অল্ট নিউজ'-র অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সাংবাদিক মহম্মদ জুবেইরের গ্রেফতারি নিয়ে জার্মানির বিদেশমন্ত্রকের মন্তব্য আদৌ কোনও কাজের নয়, কড়া প্রতিক্রিয়া দিল ভারত।
নয়াদিল্লি: 'অল্ট নিউজ'-র (alt news) অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সাংবাদিক মহম্মদ জুবেইরের (md zubair) গ্রেফতারি (arrest) নিয়ে জার্মানির (germany) বিদেশমন্ত্রকের মন্তব্য আদৌ কোনও কাজের নয়, কড়া প্রতিক্রিয়া (reaction) দিল ভারত (india)। সঙ্গে সংযোজন, এটি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়।
জার্মানিকে কী বার্তা ভারতের?
বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি এদিন এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, 'এটি আমাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। বিষয়টি কোর্টে রয়েছে। আমাদের বিচারবিভাগ স্বাধীন। ফলে এই ধরনের মন্তব্যে কোনও কাজের কাজ হবে না। এটা ঠিক নয়।' কিন্তু হঠাৎ জার্মান বিদেশমন্ত্রকের উদ্দেশে এমন বার্তা কেন? আসলে সে দেশের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র মহম্মদ জুবেইরের গ্রেফতারি নিয়ে হালেই প্রশ্ন তোলেন। তাঁর কথায়, 'বাধাবিঘ্নহীন সাংবাদিকতা যে কোনও সমাজের জন্য উপকারী। উল্টো দিকে, তাতে কোনও বাধা উদ্বেগের কারণ। সাংবাদিকরা যা বলছেন এবং করছেন তার জন্য নির্যাতন বা গ্রেফতার করা উচিত নয় তাঁদের। আমরা ওই বিশেষ ঘটনাটি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। নয়াদিল্লিতে আমাদের দূতাবাস পরিস্থিতির দিকে কড়া নজর রেখেছে।' এতেই শেষ নয়। জার্মান বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র আরও জানান, মানবাধিকার রক্ষার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন নিয়মিত ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছে। এবং এই আলোচনার অন্যতম ফোকাস সংবাদমাধ্যম ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা। তাঁর কথায়, 'ভারত নিজেকে বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র বলে। সুতরাং সেখানে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতাকে উপযুক্ত পরিসর দেওয়া হবে, এটা আশা করাই যায়। তার প্রেক্ষিতেই আজকের প্রতিক্রিয়া ভারতের।
কেন গ্রেফতার মহম্মদ জুবেইর?
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের একটি টুইটের জন্য গ্রেফতার করা হয়েছে অল্ট নিউজের প্রতিষ্ঠাতা সাংবাদিক মহম্মদ জুবেইরকে। দিল্লি পুলিশের এফআইআর অনুযায়ী, জুবেইর যে টুইটটি তা 'অত্যন্ত উস্কানিমূলক এবং মানুষের মধ্যে ঘৃণার অনুভূতি জাগানোর জন্য যথেষ্ট' ছিল। তবে এত পুরনো একটি টুইট নিয়ে হঠাৎ এখন কেন হইচই, সেটা নিয়ে প্রশ্ন তোলে নানা মহল। প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দেয় এডিটর্স গিল্ড। তীব্র সমালোচনা ধেয়ে আসে কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুর থেকে তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েনের কাছ থেকে।