Oxygen Cylinder Blast : কানপুরে অক্সিজেন প্ল্যান্টে সিলিন্ডার ফেটে এক শ্রমিকের মৃত্যু
গুরুতর আহত আরও ২ জন।
কানপুর : কানপুরে অক্সিজেন রিফিলিংয়ের সময় বিস্ফোরণ। সিলিন্ডার ফেটে এক শ্রমিকের মৃত্যু। গুরুতর আহত আরও ২ জন। আজ সকালে কানপুরের দাদানগর ইন্ডাস্ট্রিয়াল এরিয়ায় পাঙ্কি অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের পরই দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ বাহিনী।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, অক্সিজেন রিফিলিংয়ের সময় বিস্ফোরণের জেরে প্লান্টের কর্মী ইমরাদ আলি প্রাণ হারিয়েছেন। স্থানীয় লালা লাজপত রাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নিয়ে যাওয়া হয় জখম বাকি দুজনকে। একজনের অবস্থা কিছুটা গুরুতর, তাঁকে রাখা হয়েছে পর্যবেক্ষণে। অপরজনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ঠিক কী কারণে এই বিস্ফোরণ ঘটল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
কিছুদিন আগেই মহারাষ্ট্রের নাসিকের এক হাসপাতালে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছিল অক্সিজেন রিফিলিংয়ের সময়। রিফিলিংয়ের সময় অক্সিজেন লিক করে হাসপাতালে ভর্তি ২৪ জন কোভিড রোগী প্রাণ হারিয়েছিলেন। হাসপাতালে অক্সিজেন সরবরাহকারী ট্যাঙ্ক লিক করাতেই ঘটেছিল যে দুর্ঘটনা। যে ঘটনায় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নেওয়া হয়েছিল কড়া পদক্ষেপ।
এমনিতেই দেশে রোজ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। দেশে দৈনিক সংক্রমণ আপাতত ৪ লক্ষের আশেপাশে। প্রত্যেকদিন তিন হাজারের বেশি ভারতীয়কে হারাতে হচ্ছে আমাদের। এর মাঝেই গোটা দেশজুড়ে প্রবল অক্সিজেন সংকট। সেই সংকট মেটানোর জন্য যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ চলছে। কঠিন পরিস্থিতিতে ভারতের পাশে দাঁড়াচ্ছে একাধিক দেশও। তবে ইতিমধ্যে অক্সিজেনের সংকটে প্রাণ হারাতে হয়েছে অনেককে।
দিল্লির বেশ কয়েকটি, অমৃতসরের হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাবে শ্বাসকষ্ট শুরু হওয়া একাধিক করোনা রোগীদের বাঁচানো যায়নি। মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটলে অনেকক্ষেত্রেই রোগীদের শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা নীচের দিকে নামতে থাকে। সেই অবস্থায় অক্সিজেন দেওয়া ছাড়া রোগীকে বাঁচানো অসম্ভব হয়ে ওঠে। দুর্ভাগ্যবশত সেইরকমই একাধিক ঘটনাক্রমের সাক্ষী থাকতে হয়েছে গোটা দেশকে।
দেশের করোনা পরিস্থিতির বাড়বাড়ন্ত ও তার জেরে হাসপাতালে বেড়ের অভাব, অক্সিজেনের অপ্রতুল সরবরাহ নিয়ে কেন্দ্র থেকে বিভিন্ন রাজ্য সরকারকে বারবার তুলোধনাও করেছে দেশের বিভিন্ন আদালত।