Manipur: ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল মণিপুর, সন্ত্রস্ত গোটা এলাকা
মঙ্গলবার রাত ৯টা ২ মিনিটে ভূকম্পে কাঁপল গোটা মণিপুর। জানা গিয়েছে রিখটার স্কেলে এই তীব্রতা ছিল প্রায় ৪.৭।
মণিপুর: রাতে হঠাৎই ভূমিকম্প মণিপুরে। কেঁপে উঠল উখরুল। মঙ্গলবার রাত ৯টা ২ মিনিটে ভূকম্পে কাঁপল গোটা মণিপুর। জানা গিয়েছে রিখটার স্কেলে এই তীব্রতা ছিল প্রায় ৪.৭।
বর্তমানে দেশের ভূমিকম্প-প্রবণ অঞ্চলের তীব্রতার ভিত্তিতে দেশকে চার ভাগে ভাগ করা হয়েছে। দেশের সব আশঙ্কাজনক জোন ৫-এ রয়েছে ভুজ, দারভাঙা,গুয়াহাটি, তেজপুর, শ্রীনগর, সাদিয়া, পোর্ট ব্লেয়ার, মান্ডি, কোহিমা, জোরহাটের নাম। জোন ৪-এ রয়েছে আলমোরা, কলকাতা, জলপাইগুড়ি, লুধিয়ানা, মোরাদাবাদ, পটনা, পিলভিট, শিমলা, রুরকি, অম্বালা, অমৃতসর, বাহরাইচ, বারাউনি, বুলন্দশহর, চণ্ডীগড়, দার্জিলিংয়ের নাম। দেখা যাচ্ছে, এই তালিকায় তিনটি শহরই পশ্চিমবঙ্গের। এখানেই শেষ নয়, ভূমিকম্প প্রবণ এই জোন ৪-এর তালিকায় রয়েছে দেহরাদুন, দিল্লি, দেউরিয়া, দিনাজপুর, গাজিয়াবাদ, গ্যাংটক ও গোরক্ষপুরের নাম।
গত ফেব্রুয়ারিতে দেশের ভূমিকম্প প্রবণতা নিয়ে তথ্য দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। যেখানে দেখা যায়, ২০২০ সালে বহুবার ভূমিকম্প হয়েছে দেশে। যার মধ্যে ৯৬৫ বার ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৩ বা তার বেশি। তথ্য বলছে, দিল্লি ও দিল্লি সংলগ্ন অঞ্চলে ১৩ বার ভূমিকম্প দেখা গিয়েছে। রাজধানীর সব ভূমিকম্পের মাত্রাই ছিল ৩ বা তার ঊর্ধ্বে।
দেশের ভূমিকম্প নিয়ে যাবতীয় চর্চার জন্য ন্যাশনাল সিসমোলজিক্যাল নেটওয়ার্ক (NSN)গড়ে তোলা হয়েছে। এই নেটওয়ার্কের সঙ্গে প্রভূত তথ্য আদানপ্রদান করে 'ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি'। মাটির তলায় এই কম্পনের ওপর নজর রাখার জন্য ১১৫টি জায়গায় পর্যবেক্ষক রয়েছে 'ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি'র। কোনও কারণে ভূ-স্তর সরে গেলে এই সেন্টারগুলি রাজ্য ও কেন্দ্রের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরকে খবর পাঠায়।
তথ্য বলছে, দেশের ১১ শতাংশ ভূমিকম্প-প্রবণ অঞ্চল রয়েছে জোন ৫-এ। জোন ৪-এ রয়েছে দেশের ১৮ শতাংশ অঞ্চল। তবে সবথেকে বেশি ৩০ শতাংশ ভূমিকম্প প্রবণ অঞ্চল রয়েছে জোন ৩-তে। বাদ বাকি রয়েছে জোন ২-এ। অতীতে ভূমিকম্পের ঘটনা ও ভূমির ওঠানামা বা কম্পনের ওপর ভিত্তি করে এই অঞ্চলগুলিকে আলাদা করা হয়েছে।