Arrests in Rahul Gandhis office attack incident: ধৃত ১৯, রাহুল গাঁধীর অফিসে হামলার প্রতিবাদ জারি কেরলে
Protest continues in Wayanad: কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধীর দফতরে হামলা চালানোর অভিযোগে এখনও পর্যন্ত ১৯ জনকে গ্রেফতার করেছে কেরল প্রশাসন। গত কালই মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন জানিয়েছিলেন, কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ওয়েনাড: কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধীর (rahul gandhi) দফতরে হামলা চালানোর অভিযোগে এখনও পর্যন্ত ১৯ জনকে গ্রেফতার করেছে কেরল (kerala) প্রশাসন। গত কালই মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন (pinarai vijayan) জানিয়েছিলেন, কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেই মতোই সক্রিয় কেরল পুলিশ।
কড়া কেরল সরকার:
সূত্রের খবর, গত কালের অশান্তিতে এখনও পর্যন্ত ১৯ জন এসএফআই (sfi) সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতের তালিকা আরও বাড়তে পারে শনিবার, আশঙ্কা নানা মহলে। ধৃতদের প্রত্যেককে দু'সপ্তাহের হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় আদালত। গোটা ঘটনায় শুক্রবার গভীর রাতেই উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেয় কেরলের বাম সরকার। সিদ্ধান্ত হয়, এডিজিপি পদমর্যাদার এক জন তদন্ত করবে। একই সঙ্গে কলপেট্টার ডেপুটি পুলিশ সুপারকে সাসপেন্ড করা হয়।
প্রতিবাদ জারি কংগ্রেসের:
রাজ্য়ের বিরোধী-আসনে থাকা কংগ্রেসের অবশ্য দাবি, শুক্রবার যা ঘটেছে তার কথা আগে থেকেই জানতেন শাসকদলের বর্ষীয়ান সদস্যরা। রাহুল গাঁধীর ভাঙচুর হওয়া অফিস পরিদর্শনে এসে এদিন সকালেও এক কথা বলেন বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা ভি ডি সতীশন। সঙ্গে অভিযোগ, স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জের প্রাক্তন ব্যক্তিগত কর্মীরাই এই ভাঙচুরের নেপথ্যে।
শুক্রবার রাহুল গাঁধীর দফতরের সামনে প্রতিবাদ মিছিল করছিল এসএফআই। হঠাতই আক্রমণাত্মক চেহারা নেয় সেটি। মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের বিরুদ্ধে সনিয়া-পুত্রের অফিস তছনছ করার অভিযোগ ওঠে। রাতেই এলডিএফের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন ঘটনাটির নিন্দা করেন। আশ্বাস দেওয়া হয়, দোষীদের শাস্তি দেওয়া হবে। কিন্তু তার মধ্যেই পাল্টা-প্রতিবাদ শুরু করে কংগ্রেস। কেরলের নানা প্রান্ত থেকে ডিওয়াইএফআইয়ের সঙ্গে সংঘর্ষের খবর আসে। মুখ্যমন্ত্রীর নামাঙ্কিত ফ্লেক্স ছেড়ার খবর আসে একাধিক জায়গা থেকে।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে এই সংঘাত ভালো চোখে নাও দেখতে পারে বিজেপি-বিরোধী দলগুলি। পদ্ম-বিরোধিতার সুর জোরালো করতে রাষ্ট্রপতি পদে ঐক্যবদ্ধ ভাবে যশবন্ত সিনহাকে প্রার্থী করেছে বাকি দলগুলো। সামনেই নির্বাচন। তার আগে বিরোধী শিবিরের অন্যতম দুই দল যদি এই ভাবে একে অন্যের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে থাকে, তা হলে অ্যাডভান্টেজ পেয়ে যেতে পারে বিজেপি, মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। সবটা মাথায় রেখেই ঘটনাটির প্রেক্ষিতে কড়া মনোভাব নিয়েছে বিজয়ন প্রশাসন।
আরও পড়ুন: আচমকা বাড়িতে হানা গুজরাত পুলিশের সন্ত্রাসদমন শাখার, আটক সমাজকর্মী তিস্তা শেতলওয়াড়