(Source: Poll of Polls)
Tripura : 'কথা রাখেনি বিজেপি সরকার', ত্রিপুরাতেও আমরণ অনশনে চাকরিহারা শিক্ষকরা
Hunger Strike by Teachers : ২০১৭ সালে বাম জমানায়, ত্রুটিপূর্ণ নিয়োগের অভিযোগে ত্রিপুরায় ১০ হাজার ৩২৩ জন শিক্ষকের চাকরি যায়
প্রসেনজিৎ সাহা, আগরতলা : বিজেপি শাসিত ত্রিপুরাতেও (Tripura) আমরণ অনশনে (Hunger Strike) বসেছেন চাকরিহারা শিক্ষকরা। বিধানসভা ভোটের আগে চাকরি নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েও কথা রাখেনি বিজেপি সরকার (BJP-led Government)। এই অভিযোগ তুলে আগরতলায় অনশন আন্দোলনে বসেছেন চাকরিহারা শিক্ষকরা। এনিয়ে বিজেপিকে নিশানা করেছে তৃণমূল।
শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির (Teachers Recruitment Scam) অভিযোগে তোলপাড় বঙ্গ রাজনীতি। দিনের পর দিন রাস্তায় বসে আন্দোলন, আমরণ-অনশন, বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন চাকরিপ্রার্থীরা। আন্দোলনকারীদের মঞ্চে তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে তৃণমূল সরকারকে নিশানা করেছেন একাধিক বিজেপি নেতা। এরাজ্যে যখন নিয়োগ দুর্নীতি, কর্মসংস্থানকে হাতিয়ার করে শাসকদলের বিরুদ্ধে প্রচারে ঝাঁপাচ্ছে গেরুয়া শিবির, তখনই বিজেপি শাসিত ত্রিপুরাতেও আমরণ-অনশনে বসলেন চাকরিহারা শিক্ষকরা।
ত্রুটিপূর্ণ নিয়োগ ?
২০১৭ সালে বাম জমানায়, ত্রুটিপূর্ণ নিয়োগের অভিযোগে ত্রিপুরায় ১০ হাজার ৩২৩ জন শিক্ষকের চাকরি যায়। বাম সরকার সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করলেও, সেই রায় বহাল রাখে শীর্ষ আদালত। একসঙ্গে এত শূন্যপদ তৈরি হলে পঠনপাঠনে সমস্যা হতে পারে। সেই কারণে অ্যাড হকের ভিত্তিতে অস্থায়ীভাবে চাকরিহারা শিক্ষকদের কাজের মেয়াদ আড়াই বছর বাড়ানো হয়। সেই মেয়াদও ফুরিয়েছে ৩২ মাস আগে। আন্দোলনকারীদের দাবি, বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, ক্ষমতায় এলে তাঁদের স্থায়ী চাকরির ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু ক্ষমতায় আসার সাড়ে চার বছর পরেও তাঁরা সেই তিমিরেই।
চাকরিহারা শিক্ষকদের আরও দাবি, সুপ্রিম কোর্টে একটি আরটিআই-এর প্রেক্ষিতে জানতে পারেন ২০১৭ সালে যে মামলায় তাঁদের চাকরি গিয়েছিল সেই মামলায় পার্টিই ছিলেন না তাঁরা। তাহলে কীভাবে তাঁরা চাকরি হারালেন ? এই প্রশ্ন তুলে আগরতলার রবীন্দ্র ভবনের কাছে আমরণ অনশনে বসেছেন তাঁরা।
আন্দোলনকারী শিক্ষকদের চাকরি প্রসঙ্গে কার্যত দায় ঝেড়েছেন সেরাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী। শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ বলেন, আমি আর এনিয়ে বলব না, অনেক কথা হয়েছে। যাঁদের যোগ্যতা আছে তাঁরা অন্য দফতরে চাকরি খুঁজে নেবেন।
কীভাবে আইনি পথে চাকরিহারা শিক্ষকদের পাশে দাঁড়ানো যায় ? বৃহস্পতিবার, দিল্লিতে কপিল সিব্বলের সঙ্গে দেখা করে এনিয়ে আলোচনা করেন তিপরা-মোথার চেয়ারম্যান প্রদ্যুত্ কিশোর দেববর্মণ।
আরও পড়ুন ; আন্দোলনের চিহ্ন চেষ্টা মোছার চেষ্টা! জমায়েত তুলে দিয়ে করুণাময়ীতে সাফ করা হল রাস্তা