Jammu-Kashmir Delimitation: জম্মু-কাশ্মীর পুনর্বিন্যাস নিয়ে উদ্বেগ, ‘অনধিকার চর্চা নয়’, OIC-কে বার্তা দিল্লির
India on OIC: জম্মু-কাশ্মীরের পুনর্বিন্যাস নিয়ে সম্প্রতি উদ্বেগ প্রকাশ করে OIC।
নয়াদিল্লি: পরবর্তী নির্বাচনের আগে জম্মু-কাশ্মীরের পুনর্বিন্যাস(Jammu and Kashmir Delimitation) ঘটানোর খসড়া তৈরি। সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠের অনুমোদনে তাতে সিলমোহর পড়া বাকি রয়েছে শুধু। সেই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ল কেন্দ্র। অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কোঅপারেশন (Organisation of Islamic Cooperation/OIC)-এর মতে, নরেন্দ্র মোদি সরকার কাশ্মীরের সাধারণ নাগরিকদের অধিকার লঙ্ঘন করছে। কিন্তু দিল্লির সাফ বক্তব্য, ‘‘জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে অনধিকার চর্চা করছে OIC। আগেও বলা হয়েছে, আবারও বলা হচ্ছে, ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বহিরাগত হস্তক্ষেপ বরদাস্ত করা হবে না।’’
জম্মু-কাশ্মীর পুনর্বিন্যাস নিয়ে আন্তর্জাতিক সমালোচনা
জম্মু-কাশ্মীরের পুনর্বিন্যাস নিয়ে সম্প্রতি উদ্বেগ প্রকাশ করে OIC। বিবৃতি প্রকাশ করে বলা হয়, ‘ইসলামিক সম্মেলন এবং OIC-র অন্তর্ভুক্ত সব দেশের বিদেশমন্ত্রীদের নিয়ে গঠিত পরিষদের দীর্ঘমেয়াদি অবস্থানের প্রেক্ষিতে জম্মু-কাশ্মীরের সাধারণ মানুষের প্রতি ফের সহানুভূতি জানানো হচ্ছে। সেখানে নির্বাচনী সীমার পুনর্বিন্যাসের প্রচেষ্টা অত্যন্ত উদ্বেগের। এর মাধ্যমে জম্মু-কাশ্মীরের সাধারণ নাগরিকদের অধিকার খর্ব করা হচ্ছে বলে আশঙ্কা OIC-র।’’
OIC-র এই বিবৃতিরই তীব্র সমালোচনা করেছেন ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি। তাঁর বক্তব্য, ‘‘ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে ফের অনধিকার চর্চা। OIC-র এই আচরণে হতাশ আমরা। ভারত সরকার আগেও জানিয়েছে, আবারও বলছে, জম্মু-কাশ্মীর ভারতের অখণ্ড এবং অবিচ্ছেদ্য অংশ। সেই নিয়ে কোনও রকম OIC-র মন্তব্য স্পষ্টতই খারিজ করছি আমরা।’’
আরও পড়ুন: CBI Raids : আর্থিক লেনদেন মামলায় ফের সিবিআইয়ের আতসকাঁচের তলায় চিদম্বরম-পুত্র, তল্লাশি ৭ জায়গায়
২০১৮-র জুন মাস থেকে সরকারবিহীন অবস্থায় রয়েছে জম্মু-কাশ্মীর। নতুন করে সেখানে নির্বাচন করানোর আগে উপত্যকার নির্বাচনী সীমা পুনর্বিন্যাসে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্র। তার আওতায় উপত্যকার বিধানসভা আসনের সংখ্য়া ১০৭ খেকে বাডি়য়ে ১১৪ করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে, যার মধ্যে ২৪টি পাক অধিকৃত কাশ্মীরে পড়ছে। ভারতের অধীনে থাকা অঞ্চলে আসনসংখ্যা ৮৩ থেকে বাড়িয়ে ৯০ করার সুপারিশ জমা পড়েছে। এর মধ্যে জম্মুতে নতুন ছ’টি আসন যোগ করে সেখানকার মোট আসনসংখ্যা ৩৭ থেকে ৪৩ এবং মাত্র একটি আসন বাড়িয়ে কাশ্মীরের মোট আসনসংখ্যা ৪৬ থেকে বাড়িয়ে ৪৭ করার কথা বলা হয়েছে।
জম্মু-কাশ্মীর পুনর্বিন্যাস নিয়ে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে
পুনর্বিন্যাসের এই আসনসংখ্যা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে। জম্মুর তুলনায় কাশ্মীরের জনসংখ্যা বেশি। সেখানে মাত্র একটি আসন বাড়িয়ে, জম্মুতে ছ’টি আসন কেন বাড়ানো হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এর পিছনে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিভাজনের রাজনীতি কাজ করছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। তাঁদের অভিযোগ, বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের পর কাশ্মীরে জয়ের কোনও সম্ভাবনাই নেই বিজেপি-র। তাই সেখানকার সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিমদের কোণঠাসা করে রাখতে, জম্মুতে বসবাসকারী হিন্দু ভোট পেতেই সেখানকার আসনসংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে বলে দাবি বিরোধীদের।