WHO on Covid Death: করোনায় ৪৭ লক্ষ মৃত্যু ভারতে, জানাল WHO, 'বাড়িয়ে দেখানো হচ্ছে', বলল দিল্লি
WHO on India COVID Death: করোনায় গোটা বিশ্বে যত মানুষ মারা গিয়েছেন, তার এক তৃতীয়াংশ মৃত্যু ভারতেই ঘটেছে বলে দাবি হু-র।
নয়াদিল্লি: পরিসংখ্যান নিয়ে আগেও দ্বৈরথ দেখা গিয়েছিল। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এবং বিরোধী শিবিরের মধ্যেই এত দিন তা সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু অতিমারিজনিত মৃত্যু নিয়ে এ বার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) সঙ্গে সংঘাতে জড়াল নরেন্দ্র মোদি সরকার। হু-র দাবি করোনায় মৃত্যুর যে পরিসংখ্যান তুলে ধরেছে কেন্দ্র, বাস্তবের সঙ্গে তার আকাশ-পাতাল তফাত।
WHO-র রিপোর্ট ঘিরে সংঘাত পরিস্থিতি
করোনায় ভারতে সর্বাধিক মৃত্যু ঘটেছে বলে সম্প্রতি একটি রিপোর্টে দাবি করেছে হু। তাতে বলা হয়েছে, ২০২০-র জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারতে ৪৭ লক্ষ করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে, যা সরকার প্রদত্ত পরিসংখ্যানের চেয়ে দশ গুণ বেশি, এবং গোটা বিশ্বে করোনায় যত মানুষ মারা গিয়েছেন, তার এক তৃতীয়াংশ। হু জানিয়েছে, করোনার প্রকোপে গোটা বিশ্বে ১ কোটি ৫০ লক্ষ মানুষ মারা গিয়েছেন।
Excess mortality includes:
— World Health Organization (WHO) (@WHO) May 5, 2022
1️⃣ deaths due to #COVID19 itself
2️⃣ deaths due to the pandemic’s impact – attributable to other health conditions for which people were unable to access prevention & treatment because health systems were overburdened by the pandemic https://t.co/qTCVY8L5wa
আরও পড়ুন: India Covid: ফের তিন হাজারের উপর দৈনিক সংক্রমণ, একদিনে মৃত্যু পেরোল ৫০
কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২০ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত করোনার প্রকোপে ৫ লক্ষ ২৩ হাজার ৯৭৫ জন ভারতীয়র মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু হু-র দাবি, বাস্তবে মৃতের সংখ্যা দশ গুণ বেশি। তা নিয়েই দু’পক্ষের মধ্যে সংঘাত দেখা দিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের দাবি, ওয়েবসাইট থেকে সংগৃহীত তথ্য এবং নিজেদের গাণিতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পরিসংখ্যান নির্ধারণের কথা আগেই স্বীকার করেছে হু। বরাবর এই পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে এসেছে ভারত।
WHO-র দাবি খারিজ কেন্দ্রের
হু-র রিপোর্ট ত্রুটিপূর্ণ, অবৈজ্ঞানিক বলেও দাবি করেছে কেন্দ্র। বলা হয়েছে, ত্রুটিপূর্ণ পদ্ধতিতে ভারতে মৃত্যুসংখ্যা বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে। তা নিয়ে লাগাতার আপত্তি জানালেও, ভারতের মতামত গ্রাহ্য না করে এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়েছে বলে দাবি কেন্দ্রের। বিশ্ব স্বাস্থ্য অধিবেশনে (World Health Assembly) বিষয়টি তুলে ধরা হবে বলে দিল্লি সূত্রে জানা গিয়েছে।