Meghalaya Murder: সোনমের বরের শেষকৃত্যে আসেন প্রেমিক রাজ! পরিবারকে দিয়েছিলেন সান্ত্বনাও! নজর ঘোরাতেই এই ছক?
তদন্তকারীদের অনুমান, নেপথ্যে রয়েছে সোনমের পুরনো প্রেম। ইনদওরের ব্যবসায়ী রাজা রঘুবংশীর সঙ্গে বিয়ে হলেও প্রেমিক নিজের থেকে ৩ বছরের ছোট ২১ বছরের রাজ কুশওয়াহার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেননি সোনম।

নয়া দিল্লি: কেন এমন নৃশংস পরিণত হল ইনদওরের ব্যবসায়ী রাজা রঘুবংশীর? তদন্তকারীদের অনুমান, নেপথ্যে রয়েছে সোনমের পুরনো প্রেম। ইনদওরের ব্যবসায়ী রাজা রঘুবংশীর সঙ্গে বিয়ে হলেও তাঁর প্রেমিক নিজের থেকে ৩ বছরের ছোট ২১ বছরের রাজ কুশওয়াহার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেননি সোনম। পুলিশের সন্দেহ, 'পথের কাঁটা' স্বামীকে সরাতেই খুনের ছক কষেন সোনম-রাজ, এমনই তথ্য উঠে আসছে।
এমনকী প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, সোনমের বর রাজার শেষকৃত্যে উপস্থিত ছিলেন প্রেমিক রাজ। পরিবারের সদস্যদের মতে, তাকে রাজার বাবাকে সান্ত্বনা দিতে দেখা গেছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, সোনমের প্রেমিক রাজ রাজার শেষকৃত্যে বেশ কয়েকজনকে সঙ্গে করে নিয়ে এসেছিলেন। ২ জুন, মেঘালয় পুলিশ রাজার মৃতদেহ একটি খাদের ভেতর থেকে আবিষ্কার করে। এর কিছুক্ষণ পরেই, তার মৃতদেহ শেষকৃত্যের জন্য তার নিজের শহর ইনদওরের নিয়ে আসা হয়।
তদন্তকারীদের অনুমান, নেপথ্যে রয়েছে সোনমের পুরনো প্রেম। ইনদওরের ব্যবসায়ী রাজা রঘুবংশীর সঙ্গে বিয়ে হলেও প্রেমিক নিজের থেকে ৩ বছরের ছোট ২১ বছরের রাজ কুশওয়াহার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেননি সোনম। পুলিশের সন্দেহ, 'পথের কাঁটা' স্বামীকে রঘুবংশীকে সরাতেই খুনের ছক কষেন সোনম-রাজ। মেঘালয়ে ঘুরতে যাওয়ার পর রাজকে হোয়াটসঅ্যাপে লাইভ লোকেশন পাঠিয়েছিলেন সোনম।
তদন্তকারীদের মতে, নিজেকে খুনের অভিযোগ থেকে দূরে রাখতে এবং নজর ঘোরাতেই রাজার শেষকৃত্যেও এসেছিলেন রাজ। পরবর্তীতে তাঁর ছবি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হতে সকলেই অবাক হয়ে যায়। প্রাথমিকভাবে সকলে ভেবেছিলেন যে সোনমের ভাইয়ের ব্যবসায় কাজ করা রাজ হয়তো পারিবারিক জায়গা থেকে শেষদিনে এসেছিলেন, কিন্তু তদন্তকারীদের অনুমান প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়ায়।
ইন্ডিয়া টু ডে সূত্রে খবর , মেঘালয়ে মধুচন্দ্রিমায় যাওয়ার আগে বিয়ের তিন দিন পর তার প্রেমিকের সঙ্গে মিলে স্বামীকে হত্যার পরিকল্পনা করে। তাদের সূত্রের খবর অনুযায়ী, প্রেমিক রাজ কুশওয়ারক সোনম মেসেজ করে জানিয়েছিল, তিনি স্বামীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতে চান না। বিয়ের আগে থেকেই সে রাজার সঙ্গে দূরত্বই বজায় রেখেছে। স্বামীর হত্যার পর কয়েকদিন ধরে পলাতক ছিল সোনম। অবশেষে সোমবার উত্তর প্রদেশের গাজিপুর থেকে ফোন করে সোনম। ততক্ষণে পুলিশের কাছেও ঘটনাটা অনেকটাই স্পষ্ট।






















