‘কানাডা থেকে করোনাভাইরাস চুরি করে চিন তা বায়োলজিক্যাল ওয়েপন-এ পরিণত করে’, বিস্ফোরক দাবি মার্কিন অধ্যাপকের
কোভিড-১৯, এই মুহূর্তে এই ভাইরাসই বিশ্বের একমাত্র ত্রাস।
নয়াদিল্লি: কোভিড-১৯, এই মুহূর্তে এই ভাইরাসই বিশ্বের একমাত্র ত্রাস। করোনাভাইরাস নামক এই মারণরোগে এখনও পর্যন্ত গোটা বিশ্বে মৃত্যু হয়েছে ৬ হাজার ৬৪৪ জনের। আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ৬৯ হাজার ৯০৬। চিনের উহান থেকে জন্ম নেওয়া এই ভাইরাস এখন পৃথিবীর সর্বত্রই হানা দিয়েছে এবং দিচ্ছেও। চিন ছাড়াও ইতালি, ইরান, স্পেন সহ ইউরোপের একাধিক দেশে করোনায় কার্যত বিধ্বস্ত জনজীবন। সর্বত্রই গৃহবন্দি থাকার নির্দেশ দিচ্ছে প্রশাসন। মহামারী আখ্যা দিয়ে করোনা মোকাবিলায় নেমেছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। হু-র তরফে প্রচার করা হচ্ছে স্বাস্থ্য সতর্কতা। বিশ্বব্যাঙ্কও আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছে। এরই মধ্যে ‘জিওপলিটিক্স অ্যান্ড এমপায়ার’-এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মার্কিন অধ্যাপক ফ্রান্সিস বয়েলের বিস্ফোরক দাবি, ‘করোনা আসলে চিন নির্মিত একটি জৈব অস্ত্র এবং যা তৈরি হয়েছে বায়োসেফটি লেভেল ফোর ল্যাবরেটরিতে।’ তাঁর আরও দাবি, চিনের এই জৈব অস্ত্র নির্মাণের খবর অজানা নয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থারও। হু জানত, চিনে এমন ‘বায়োলজিক্যাল ওয়েপন’ তৈরি করছে, এমনই বিস্ফোরক দাবি ফ্রান্সিস বয়েলের।
পড়ুন : হাসপাতাল থেকে পালিয়ে জয়রাইডে করোনা সন্দেহভাজন রোগী, দুর্ঘটনা ঘটিয়ে ফের ভর্তি আইসিইউ-তে
‘বায়োওয়ারফেয়ার অ্যান্ড টেররিজম’ (২০০৫), ‘দ্য তামিল জেনোসাইড বাই শ্রীলঙ্কা’ (২০০৯), ‘ডেস্ট্রয়িং লিবিয়া অ্যান্ড ওয়ার্ল্ড অর্ডার’ (২০১৩) সহ আরও একাধিক বিখ্যাত বইয়ের লেখক ওই সাক্ষাৎকারে এমনও দাবি করেন, চিন এই মারাত্মক এবং আক্রামণাত্মক জৈব অস্ত্র দ্বৈত ব্যবহারের জন্যই তৈরি করেছে। আর সেকারণেই করোনাভাইরাসের বিষয়টি যথাসম্ভব ধামাচাপা দেওয়ারও চেষ্টা করছে চিন। সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণ ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে কমিউনিস্ট দেশের তরফে। এখানেই শেষ নয়। সামুদ্রিক খাবারের বাজার থেকে এই ভাইরাস ছড়িয়েছে বলে যে খবর গোটা বিশ্বে সম্প্রচারিত হয়েছে, তাও নস্যাৎ করে দিয়েছেন তিনি। কোনও বাজার তো নয়ই এমনকি কোনও পশুপাখির থেকেও এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার খবর হলপ করে কেউ বলতে পারছে না। আর সেকারণেই করোনা ভাইরাসের উৎপত্তি নিয়ে প্রশ্ন আরও বড় হচ্ছে।
পড়ুন : করোনা চিকিৎসায় সাফল্য পেল রাজস্থানের হাসপাতাল, কোন ওষুধে বাঁচল ইতালির প্রবীণ দম্পতি?
ফ্রান্সিস বয়েলের সঙ্গে কার্যত সহমত হয়েই লেখক জে আর নিকোয়েস্টও একই দাবি করেছেন। ‘অরিজিনস অব দ্য ফোর্থ ওয়ার্ল্ড ওয়ার’, ‘দ্য ফুল অ্যান্ড হিজ এনিমি’, ‘দ্য নিউ ট্যাকটিস অব গ্লোবাল ওয়ার’-এর মতো বইয়ের জনক নিকোয়েস্টের বক্তব্য, কানাডা থেকে করোনা ভাইরাস চুরি করে চিন এটাকে মারণাস্ত্রে পরিণত করেছে! এই প্রসঙ্গে তাঁর একটি লেখায় তিনি চিনা কমিউনিস্ট পার্টির ক্যাডারদের কথোপকথনের কথাও উল্লেখ করেছেন। ডঃ বয়েলেরও দাবি ছিল, কানাডায় উইনিপেগের যে ল্যাবে করোনা নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছিল, সেখানে ছিলেন চিনা এজেন্টরা। তাঁরাই ওই ল্যাব থেকে এই ভাইরাস পাচার করে।