![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/Premium-ad-Icon.png)
Israel Palestine War: আদর্শগত ভাবে হামাসের থেকে আলাদা, গাজা বিস্ফোরণে Islamic Jihad-কে দায়ী করছে ইজরায়েল
Israel Palestine Conflict: বুধবার দিনভর এই নিয়ে উত্তপ্ত থেকেছে আন্তর্জাতিক মহল। ইজরায়েল সরকার হামাসের দিকে দায় ঠেললেও, তাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
![Israel Palestine War: আদর্শগত ভাবে হামাসের থেকে আলাদা, গাজা বিস্ফোরণে Islamic Jihad-কে দায়ী করছে ইজরায়েল Israel blaming Islamic Jihad for hospital blast who are they get to know in details Israel Palestine War: আদর্শগত ভাবে হামাসের থেকে আলাদা, গাজা বিস্ফোরণে Islamic Jihad-কে দায়ী করছে ইজরায়েল](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2023/10/18/0e1f1b247fc83250f4e1fa6d9e3adb111697641463490338_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
নয়াদিল্লি: একরাতেই নিহত ৫০০ নিরীহ মানুষ, যার মধ্যে আবার শিশু এবং মহিলার সংখ্যাই বেশি। মঙ্গলবার রাতে গাজার আল-আহলি হাসপাতাল তীব্র বিস্ফোরণের কেঁপে ওঠার পর থেকে এখনও শবদেহ বের হচ্ছে সেখান থেকে (Israel Palestine Conflict)। আর সেই আবহেই দোষারোপ, পাল্টা দোষারোপের পর্ব শুরু হয়ে গিয়েছে। মঙ্গলবার রাতের অন্ধকারে ইজরায়েলই রকেট ছোড়ে বলে অভিযোগ প্যালেস্তিনীয়দের। অন্য দিকে, ইজরায়েলের দাবি, হামাসই ভুল করে রকেট ছুড়েছে, তা লক্ষ্যে না গিয়ে ওই হাসপাতালেই নেমে এসেছে। (Israel Palestine War)
বুধবার দিনভর এই নিয়ে উত্তপ্ত থেকেছে আন্তর্জাতিক মহল। ইজরায়েল সরকার হামাসের দিকে দায় ঠেললেও, তাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কারণ গত সপ্তাহে প্যালেস্তিনীয়দের গাজা ছাড়ার নিদান দেয় তারা। খালি করতে বলা হয় হাসপাতালগুলিকেও। দলে দলে মানুষ যখন মাথা বাঁচানোর চেষ্টা করছেন, লাগাতার বোমা-রকেট বর্ষণ চালিয়ে যায় ইজরায়েল।
তাই হাসপাতালে বিস্ফোরণের পর সারি সারি দেহ বেরোতে দেখে আন্তর্জাতিক মহলেও ধাক্কা খায় ইজরায়েল। আরব দেশগুলি তো বটেই, জার্মানিও হাসপাতালে হামলার তীব্র নিন্দা করে। ভারতের তরফেও দোষীদের দায় নিতে হবে বলে মন্তব্য করা হয়। সেই আবহে হামাসের দিকেই আঙুল তুলছে ইজরায়েল সরকার। তাদের দাবি, আল-আহলি হাসপাতাল থেকে রকেট ছুড়তে উদ্যোগী হয় Islamic Jihad নামের একটি সংগঠন। সেটি ব্যর্থ হলে হাসপাতালে বিস্ফোরণ ঘটে।
হামাসের সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধে এই Islamic Jihad সংগঠনের আবির্ভাবর হল কোথা থেকে, তা অনেকেই বুঝে উঠতে পারছেন না। ওই সংগঠনের পুরো নাম Palestine Islamic Jihad (PIJ). সেটি একটি সুন্নি ইসলামি সংগঠন। প্যালেস্তাইনের মাটিতে ইজরায়েলি আগ্রাসন রুখতেই সংগঠনটির প্রবর্তন। স্বাধীন প্যালেস্তাইন রাষ্ট্রের দাবিতে সরব ওই সংগঠন। ১৯৭০ সালে এর প্রতিষ্ঠা হয়। প্যালেস্তাইনে যত সশস্ত্র সংগঠন রয়েছে, তার মধ্যে সবচেয়ে চরমপন্থী হিসেবে গন্য হয় এই PIJ.
PIJ সংগঠনটিকে নেতৃত্ব দেন জিয়াদ আল-নাখালা এবং মহম্মদ আল-হিন্দি। হামাসের পর প্যালেস্তাইনের দ্বিতীয় বৃহত্তম সশস্ত্র সংগঠন PIJ. গাজা এবং ওয়েস্ট ব্যাঙ্ক, দুই জায়গাতেই তাদের উপস্থিতি রয়েছে। ওই সংগঠনের সশস্ত্র বাহিনী Al-Quds Brigade নামেও পরিচিত। নয়ের দশক থেকে ইজরায়েলকে নিশানা করে আসছে তারা।
PIJ এবং হামাস, দুই সংগঠনের লক্ষ্য মূলত একই, স্বাধীন এবং স্বতন্ত্র প্যালেস্তাইন রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা। কিন্তু আদর্শগত এবং কৌশলগত ফারাক রয়েছে দুই সংগঠনের মধ্যে। প্যালেস্তাইনে রাজনৈতিক স্বীকৃতি রয়েছে হামাসের। ২০০৬ সালে গাজায় নির্বাচনেও জেতে তারা। কিন্তু PIJ মূলত সশস্ত্র আন্দোলন এবং নাশকতামূলক কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত।
PIJ কোনও ভাবেই আপসে যেতে নারাজ। রাজনৈতিক দর কষাকষির বিরুদ্ধে তারা। বরং ইজরায়েলের সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধে যাওয়ার পক্ষে। প্যালেস্তিনীয় কর্তৃপক্ষেরও একাধিক সিদ্ধান্তের বিরোধী PIJ. ওসলো চুক্তি মানে না তারা। বরং ইরানের বিপ্লবকে অনুসরণ করে চলে। ইরান, সিরিয়ার সমর্থনের পাশাপাশি এবং লেবাননের হেজবোল্লা সংগঠনের কাছ থেকেও সমর্থন রায় PIJ. ১৯৯৭ সালে তাদের সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে আমেরিকা।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)