Israel Airstrike: গাজায় এপি, আল জাজিরা-র অফিস যেখানে, ইজরায়েলি হানায় গুঁড়িয়ে গেল সেই বহুতল
গাজায় যে বহুতলে সংবাদসংস্থা এপি ও অন্যান্য সংবাদমাধ্যমের দফতর, তা আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু হতে পারে। ওই বহুতলের মালিককে ইজরায়েলের সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে টেলিফোনে এ কথা জানানো হয়েছে।
গাজা: গাজায় ইজরায়েলি হানায় গুঁড়িয়ে গেল অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস ও অন্যান্য মিডিয়ার অফিস যেখানে, সেই বহুতল।জঙ্গি সংগঠন হামাসের সঙ্গে চলতি সংঘর্ষের মধ্যে ওই অঞ্চল থেকে সংবাদমাধ্যমে খবর পরিবেশন বন্ধ করতে ইজরায়েলি বাহিনীর এই পদক্ষেপ।
এর আগে গাজায় যে বহুতলে সংবাদসংস্থা এপি ও অন্যান্য সংবাদমাধ্যমের দফতর, তা আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু হতে পারে। ওই বহুতলের মালিককে ইজরায়েলের সামরিক বাহিনীর পক্ষ এ কথা জানানো হয়ে। ওই বহুতলের মালিক এ কথা জানিয়েছেন। জাওয়াদ মহাদি নামে ওই ব্যক্তি বলেছেন, ওই বহুতলে গিয়ে সমস্ত বাসিন্দাদের যাতে বের করে আনা যায়, তা নিশ্চিত করতে তাঁকে বলা হয়েছে। এজন্য তাঁর হাতে এক ঘণ্টা সময় রয়েছে বলে জানানো হয়।
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস লেফটেন্যান্ট কর্নেল জোনাথন কর্নিকাসের সঙ্গে যোগাযোগ করে। কিন্তু লেফটেন্যান্ট কর্নেল জানান, ওই বহুতলে বিমান হানার পরিকল্পনা তাঁর জানা নেই। তবে বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখবেন। সতর্কবার্তার পর এপি-র কর্মীরা সহ বহুতলের বাসিন্দারা আতঙ্ক বাইরে বেরিয়ে যান।
এই সতর্কবার্তার এক ঘণ্টার মধ্যেই ওই বহুতলে হামলা চালানো হয়। এপি ছাড়াও ওই বহুতলে ছিল আল-জাজিরা ও অন্যান্য অফিস। সেই সঙ্গে আবাসিক অ্যাপার্টমেন্টও ছিল ওই বহুতলে। ১২ তলের ওই বিল্ডিংটি সম্পূর্ণ ধূলিস্যাৎ হয়ে পড়েছে। ধূলোর কুণ্ডলী চতুর্দিক অন্ধকার করে দেয়। কেন এই বহুতলে হামলা চালানো হল, তার কোনও ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি।
এর কয়েক ঘণ্টা আগেই গাজা শহরে একটি জনবহুল উদ্বাস্তু শিবিরে বিমান হামলা চালায় ইজরায়েল। এই হানায় প্যালেস্তাইনের একটি পরিবারের ১০ জন নিহত হয়। নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু। গাজা শহরে চলতি সংঘর্ষে কোনও একটি হামলায় এত জনের মৃত্যু হয়নি। যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্টা জোরাল হচ্ছে। এরইমধ্যে দুই পক্ষই সুবিধাজনক জায়গায় থাকতে চাইছে।
জেরুজালেমে সাম্প্রতিক সংঘর্ষের সূত্রপাত। পরে তা সমগ্র অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। ইজরায়েলের মিশ্র আবাসিক অঞ্চলে ইহুদি ও আরবদের মধ্যে সংঘাত দেখা দিয়েছে। অধিকৃত পশ্চিম ভূখণ্ডে ইজরায়েলের বাহিনীর গুলিতে ১১ জনের মৃত্যু হয়। সেখানে শুক্রবার প্যালেস্তিনীয়দের ব্যাপক বিক্ষোভ দেখা যায়।
নতুন এই হিংসা নতুন প্যালেস্তিনীয় অসন্তোষ ‘ইন্তিফিদা’র মাথাচাড়া দেওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিগত কয়েক বছর কোনও শান্তি আলোচনা হয়নি। এ জন্য ব্যাপক অশান্তির আশঙ্কা ঘোরাল হচ্ছে।