Ayodhya Ram Mandir: মহাশূন্য থেকেও দৃশ্যমান, কৃত্রিম উপগ্রহের তোলা রামমন্দিরের ছবি সামনে আনল ISRO
ISRO Captures Ram Mandir Pics: 'স্বদেশি কৃত্রিম উপগ্রহে'র তোলা যে ছবি প্রকাশ করেছে, তাতে অযোধ্যায় ২.৭ একর জমির উপর নির্মিত নয়া মন্দিরটি ধরা পড়েছে।
নয়াদিল্লি: রাত পোহালেই অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধন। তার আগে মহাকাশ থেকেও ধরা গেল নবনির্মিত মন্দিরকে। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ISRO মহাকাশ থেকে দেশবাসীকে রামমন্দিরের দর্শন করাল। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি কৃত্রিম উপগ্রহ মহাশূন্য থেকে রামমন্দিরের ওই ছবি ক্যামেরাবন্দি করেছে। ISRO ওই ছবি প্রকাশ করতেই সেটি ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। কাল রামমন্দিরের উদ্বোধন হওয়ার আগেই দর্শন সারা হয়ে গেল বলে জানিয়েছেন নেটিজেনদের একাংশ। (Ayodhya Ram Mandir)
'স্বদেশি কৃত্রিম উপগ্রহে'র তোলা যে ছবি প্রকাশ করেছে, তাতে অযোধ্যায় ২.৭ একর জমির উপর নির্মিত নয়া মন্দিরটি ধরা পড়েছে। রামমন্দির যাতে স্পষ্ট করে দেখা যায়, তার জন্য রিমোট সেন্সিং কৃত্রিম উপগ্রহের তোলা ছবিটিকে প্রযুক্তির সাহায্যে বড় আকারেও তুলে ধরা হয়েছে। এর আগে, গত বছর ১৬ ডিসেম্বরও মহাকাশ থেকে নির্মীয়মান অবস্থায় রামমন্দিরের ছবি তোলা হয়। তার পর থেকে কুয়াশার ঘন চাদরে ঢেকে রয়েছে অযোধ্যা। ফলে মহাকাশ থেকে রামমন্দিরের রূপ স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে না এই মুহূর্তে। (ISRO Captures Ram Mandir Pics)
ISRO-র তরফে যে ছবি প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে সরযূ নদীর তীরে অবস্থিত রামমন্দিরের দশরথ মহলটি স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। নবনির্মিত অযোধ্যা রেল স্টেশনটিও চোখে পড়ছে ছবিতে। এই মুহূর্তে মহাকাশে ৫০টিরও বেশি কৃত্রিম উপগ্রহ রয়েছে ভারতের। পরস্পরের থেকে কৃত্রিম উপগ্রহগুলির দূরত্ব কিছু ক্ষেত্রে মাত্র কয়েক মিটার। ISRO অধীনস্থ হায়দরাবাদের ন্যাশনাল রিমোট সেন্সিং সেন্টার কৃত্রিম উপগ্রহের তোলা রামমন্দিরের ছবিটি আরও উন্নত করে তুলে ধরেছে সকলের সামনে।
গত কয়েক মাসে একের পর এক মাইলফলক ছুঁয়েছে ISRO. চাঁদের মাটিতে চন্দ্রযান-৩ মহাকাশযানের সফল পদার্পণ থেকে প্রথম সৌরযানের উৎক্ষেপণ এবং সর্বোপরি কৃষ্ণগহ্বরের উপর নজরদারি চালাতে মহাকাশযান প্রেরণ, পরের পর অভিযানে সাফল্য পেয়েছে তারা। অযোধ্যায়র রামমন্দির নির্মাণেও ISRO-র প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া হয়েছে। রামমন্দিরের গর্ভগৃহে কোথায় 'রামলালা' অর্থাৎ রামচন্দ্রের শিশুকালের মূর্তিটি রাখা হবে, সেই নিয়ে ধন্দ দেখা দেয়। ৩/৬ ফুটের একটি জায়গায়, যা রামচন্দ্রের জন্মস্থল বলে বিশ্বাস, সেখানে মূর্তিটি বসানোর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় শেষ পর্যন্ত। সেই কাজে ISRO-রও যোগদান রয়েছে। Larsen & Turbo সংস্থার সফিস্টিকেটেড ডিফারেন্সিয়াল গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম (GPS) -এর কোঅর্ডিনেট ব্যবহার করে নির্দিষ্ট ভাবে জায়গাটি শনাক্ত করা হয়, তার জন্য ১-৩ সেন্টিমিটারের কোঅর্ডিনেট ব্যবহার করা হয়, যা ISRO-র 'স্বদেশী GPS' থেকে সংগ্রহ করা হয়।