P Veeramuthuvel: চন্দ্রযান ৩-র কারিগর, কাঁধে ৭২ লক্ষের ঋণ, পুরস্কারের মোটা টাকা শিক্ষায় দান ISRO বিজ্ঞানীর
ISRO Scientist Donates Money: তামিলনাড়ুর নাগরিক বীরামুথুভেল। চন্দ্রযান-৩ চাঁদের মাটি ছোঁয়ার পর তাঁকে সম্মানিত করে তামিলনাড়ুর এমকে স্ট্যালিন সরকার।
নয়াদিল্লি: পালকের মতো চাঁদের মাটি ছুঁয়ে ইতিহাস গড়েছে চন্দ্রযান-৩। সেই অভিযানের অন্যতম কারিগর ছিলেন ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার বিজ্ঞানী পি বীরামুথুভেল। চন্দ্রযান-৩ অভিযানর প্রজেক্ট ডিরেক্টর ছিলেন তিনি। নিজের প্রাপ্ত আর্থিক পুরস্কার দান করে খবরের শিরোনামে উঠে এলেন এবার। বাজারে মোটা টাকা ঋণ রয়েছে তাঁর। তার পরও সরকারের থেকে পাওয়া আর্থিক পুরস্কার দান করে দিলেন তিনি। (P Veeramuthuvel)
তামিলনাড়ুর নাগরিক বীরামুথুভেল। চন্দ্রযান-৩ চাঁদের মাটি ছোঁয়ার পর তাঁকে সম্মানিত করে তামিলনাড়ুর এমকে স্ট্যালিন সরকার। চন্দ্রযান-৩ অভিযানের সঙ্গে যুক্ত আট জন বিজ্ঞানীকে মাথাপিছু ২৫ লক্ষ টাকা করে আর্থিক পুরস্কার দেওয়া হয়। সেই মতো বীরামুথুভেলও ২৫ লক্ষ টাকা হাতে পান। সঙ্গে সঙ্গে কোনও ঘোষণা না করলেও, পরে চিঠি লিখে নিজের সিদ্ধান্ত জানান। (ISRO Scientist Donates Money)
মহাকাশ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব, তামিলনাড়ুর উচ্চশিক্ষা বিভাগের প্রধান সচিবকে চিঠি দেন বীরামুথুভেল। জানান, আর্থিক পুরস্কার বাবদ তাঁকে ২৫ লক্ষ টাকা দিয়েছে স্ট্যালিন সরকার। যে চারটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষা লাভ করেছেন তিনি, ইলুমালাই পলিটেকনিক কলেজ, শ্রী সাইরাম ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, ন্য়াশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি তিরুচিরাপল্লি এবং ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি মাদ্রাজের মধ্যে ওই টাকা সমান ভাগে ভাগ করে দিতে চান।
বাবা ছিলেন রেলকর্মী, ভিল্লুপুরমে জন্ম বীরামুথুভেলের। তামিলনাড়ুর সরকারি স্কুল থেকেই পড়াশোনা তাঁর। পরবর্তী কালে ISRO-য় যোগদান। চন্দ্রযান-৩ মহাকাশযান চাঁদের মাটি ছোঁয়ার পর তিনি বলেছিলেন, "পালকের মতো চাঁদের মাটি ছোঁয়া চতুর্থ দেশ আমরা। চাঁদের দক্ষিণ মেরু ছোঁয়া প্রথম দেশ।" মহাকাশ গবেষণায় অনন্য কীর্তির জন্যই তাঁকে আর্থিক পুরস্কার-সহ সম্মানিত করে রাজ্যের সরকার। কিন্তু সেই টাকা ছেড়ে আসা স্কুল-কলেজে দান করেছেন বীরামুথুভেল।
বীরামুথুভেলের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে চর্চার নেপথ্যে রয়েছে আরও একটি কারণ। ISRO-তে যে বেতন পান তিনি, তাতে দু'বছর একটি টাকা খরচ না করে গোটাটা জমালে তবে পুরস্কারমূল্যের সমান হবে। এর পাশাপাশি, তাঁর কাঁধে ৭২ লক্ষ টাকার গৃহঋণের বোঝাও রয়েছে। চাইলে পুরস্কারমূল্য দিয়ে তার কিছুটা শোধ করতেই পারতেন তিনি। কিন্তু প্রয়োজন মেটানোর চেয়ে, বিবেকের ডাককেই প্রাধান্য দেন বীরামুথুভেল।