(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Joshimath : অতলে চলে যাচ্ছে জোশীমঠ, ১২ দিনের মধ্যে ৫.৪ সেমি ডুবেছে জনপদ, বলছে ISRO স্যাটেলাইট চিত্র
Joshimath Disaster : জনপদের মানুষদের এই মুহূর্তে নামিয়ে আনা ছাড়া উপায় নেই। কারণ এই বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষার পথ নেই।
জোশীমঠ : যত সময় গড়াচ্ছে, তত শোচনীয় হচ্ছে উত্তরাখণ্ডের জোশীমঠের পরিস্থিতি। ঘর, দোকান, হোটেল, রাস্তা - সবকিছু গ্রাস করছে বিরাট বিরাট ফাটল! তীব্র আশঙ্কায় ঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন জোশীমঠের বহু বাসিন্দা। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার রিপোর্টে সামনে আসছে ভয়ঙ্কর তথ্য।
ভয়ঙ্কর ভাবে বসে গিয়েছে পার্বত্য জনপদ
ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার ন্যাশনাল রিমোট সেন্সিং সেন্টার উত্তরাখণ্ড শহরের স্যাটেলাইট ছবি প্রকাশ করেছে । সেখানে দেখা যাচ্ছে, ২৭ ডিসেম্বর ( 2022 ) থেকে ৮ জানুয়ারি (২০২৩ ) এর মধ্যে ১২ দিনে ৫.৪ সেমি বসে গিয়েছে পার্বত্য জনপদ ।
দুর্যোগের শুরু ২০২০ থেকেই
সম্প্রতি একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, জোশীমঠে এই দুর্যোগের শুরু ২০২০ থেকেই। তবে NSRC-এর মতে, সাম্প্রতিক কালে গত ১২ দিনের বসে যাওয়ার হার লক্ষণীয়। ২০২২ এর এপ্রিল থেকে নভেম্বর এর থেকে বেশিরকম বসে যাওয়া শুরু হয়েছে । এই সময়কালে দেখা গিয়েছে জোশীমঠ প্রায় ৯ সেন্টিমিটার নিচে নেমে গিয়েছে। স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা যাচ্ছে এই বসে যাওয়ার কেন্দ্র হল আর্মি হেলিপ্যাড এবং নরসিংহ মন্দির।
রক্ষার পথ নেই
এদিকে, জোশীমঠ যখন সঙ্কট কাটিয়ে ওঠার উপায় খুঁজছে, পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে জনপদের মানুষদের এই মুহূর্তে নামিয়ে আনা ছাড়া উপায় নেই। কারণ এই বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষার পথ নেই।
জোশী মঠের পরিস্থিতি ভয়াবহ। উঠে এসেছে ভয়ঙ্কর সব দৃশ্য!জোশীমঠে বিপর্যয়ের মুখে অনেক হোটেল ভেঙে গুলি ভাঙার কাজ শুরু হয়েছে। মাথার ওপর ছাদ ভেঙে পড়ার আশঙ্কায়, প্রাণভয়ে ঘর ছেড়েছেন সাধারণ মানুষ!
আরও পড়ুন :
মকর সংক্রান্তির আগে তাপমাত্রা চড়ছে, তবে সামনেই রাজ্যে শীতের ঝোড়ো ইনিংস, কবে
অনিয়ন্ত্রিত নির্মাণ, উপযুক্ত পরিকল্পনার অভাবই কি জোশীমঠের বিপদ ডেকে আনল? তেমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। জোশীমঠের পরিস্থিতি নিয়ে আজ দিল্লিতে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। জোশীমঠের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির জন্য ৪৫ কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী।
এরই মধ্যে হঠাৎ হঠাৎ বৃষ্টি চিন্তা বাড়াচ্ছে! বৃষ্টির জলে নরম হচ্ছে মাটি! ফলে ফাটলের মধ্যে ধসের আশঙ্কা প্রবল হচ্ছে! প্রশ্ন হচ্ছে, জোশীমঠের আকাশ থেকে বিপদের এই মেঘ কাটবে কবে, সেটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।