(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Kallakurichi Hooch Tragedy: বিষমদ খেয়ে মৃতরা স্বাধীনতা সংগ্রামী নন ! ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ কেন? মামলা আদালতে
Tamil Nadu Hooch Tragedy : এমনটা নয় যে, তাঁরা মুক্তিযোদ্ধা বা সমাজকর্মী ছিলেন , যাঁরা সাধারণ জনগণের জন্য বা সমাজের স্বার্থে প্রাণ হারিয়েছেন
নয়াদিল্লি: তামিলনাড়ুর কাল্লাকুরিচি জেলায় বিষমদকাণ্ডে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে গত মাসেই। অসুস্থ হয়ে হাসপাতেলে ভর্তি হতে হয় বহু জনকে। এক রাত্তিরের মধ্যেই মারা যান ৬৫ জন। বিষমদে মৃত্যুর ঘটনায় গভীর শোকপ্রকাশ করেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন। নিহতদের পরিবারপিছু ১০ লক্ষ টাকা ও আহতদের ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করে তামিলনাড়ুর সরকার। এই ক্ষতিপূরণ প্রদানের তীব্র বিরোধিতা করে একটি মামলা হয় মাদ্রাজ হাইকোর্টে। মামলাটি করেন, মোহম্মদ ঘৌসের নামে এক ব্যক্তি।
শুনানির সময় আবেদনকারী বলেন, 'বিষমদ খেয়ে মৃতরা স্বাধীনতা সংগ্রামী নন । এমনটা নয় যে, তাঁরা মুক্তিযোদ্ধা বা সমাজকর্মী ছিলেন , যাঁরা সাধারণ জনগণের জন্য বা সমাজের স্বার্থে প্রাণ হারিয়েছেন । এরা বিষ মদ খেয়ে একটি বেআইনি কাজ করেছে'। আবেদনকারী ঘৌসের মতে, এই মদ খাওয়া একটি বেআইনি কাজ। যারা বেআইনি মদ খেয়েছে, তারা বেআইনি কাজ করেছে । তাই তাদের প্রতি রাষ্ট্রের করুণা করা উচিত নয়। তিনি বলেন, শুধুমাত্র দুর্ঘটনার শিকার ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া উচিত, যারা নিজেদের আনন্দের জন্য অবৈধ কাজ করে, তাদের জন্য ক্ষতিপূরণ নয়। আবেদনকারী আরো বলেন, রাজ্য সরকার অগ্নিকাণ্ড বা অন্য কোনও দুর্ঘটনার শিকারদের জন্য কম ক্ষতিপূরণ দেয় আর সেখানে বিষমদকাণ্ডে মৃতদের পরিবারের জন্য বিশাল পরিমাণ অর্থ প্রদান করছে । কিসের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত, তা পরিষ্কার নয়।
এই মামলার শুননানিতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি আর মহাদেবন এবং বিচারপতি মোহাম্মদ শফিকের ডিভিশন বেঞ্চ জানায় ক্ষতিপূরণের পরিমাণ অত্যন্ত বেশি। এছাড়াও , আদালত সরকারি কৌঁসুলিকে প্রশ্ন করে, তামিলনাড়ু সরকার কীভাবে কাল্লাকুরিচি বিষমদ খেয়ে মারা যাওয়া ৬৫ জনের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা করে দিতে পারে । কোনও দুর্ঘটনায় প্রাণহানি হলে সরকার এই ধরনের ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে পারে, তা ন্যায়সঙ্গতও। কিন্তু যারা বেআইনি মদ খাচ্ছে, তাদের জন্য কেন? সেই সঙ্গে দুই সপ্তাহ পরে মামলার পরবর্তী শুনানির দিন নির্ধারণ করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, বিষ মদ পানে হতাহতদের প্রায় সকলেই দিনমজুর। কাল্লাকুরিচি শহরের করুণাপুরম এলাকায় বেআইনি মদ বিক্রেতাদের থেকে ওই বিষ মদ কিনে খেয়েছিল তারা। এরপর বাড়ি ফিরে তারা অসুস্থ বোধ করতে থাকে। শুরু হয় মাথা যন্ত্রণা, পেটে ব্যথা ও বমি ৷ পরিবারের সদস্যরা তাদের কাল্লাকুরিচি মেডিক্যল কলেজে ভর্তি করায়। তারপর একের পর এক ব্যক্তির মৃত্যু ঘটতে থাকে । জেলাশাসক এম এস প্রশান্ত বলেন, কাল্লাকুরিচিতে বিষাক্ত মদ খাওয়ায় এযাবৎ ৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী স্ট্যালিন এক্স মাধ্যমে জানিয়েছেন, কাল্লাকুরিচিতে বিষাক্ত মদ খেয়ে মানুষের মৃত্যুর খবর শুনে আমি মর্মাহত ও দুঃখিত। এই অপরাধে জড়িতদের গ্রেফতার করা হয়েছে। সমাজকে ধ্বংস করে, এমন অপরাধ শক্ত হাতে দমন করা হবে।