Kangana Ranaut: 'ম্যাডাম বিদ্যুতের বিলই দেন না', কঙ্গনার বিরুদ্ধে উঠল বিস্ফোরক অভিযোগ!
Kangana Ranaut Electricity Bill: কঙ্গনা অভিযোগ করেছিলেন, "এই মাসে আমার মানালির বাড়িতে ১ লক্ষ টাকা ইলেকট্রিক বিল এসেছে। যেখানে আমি থাকিও না।'

নয়া দিল্লি: ফাঁকা বাড়িতে বিদ্যুতের বিল এসেছে ১ লক্ষ টাকা, সম্প্রতি এই অভিযোগ এনেছেন কঙ্গনা রানাউত। মানালিতে একটি বাড়ি আছে কঙ্গনার। কংগ্রেস শাসিত হিমাচল সরকারের অধীনে তাঁর বাড়ি। সেখানে ফাঁকা বাড়িতেই যে এত টাকার বিল আসবে, যেন কল্পনাই করতে পারেননি তিনি। সম্প্রতি মাণ্ডির এক রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সংশ্লিষ্ট ইস্যুতে রাজ্যের কংগ্রেস সরকারকে তোপ দাগতে ছাড়েনি তিনি।
এরপরই পাল্টা তোপ দেগেছে হিমাচল প্রদেশের ইলেকট্রিসিটি বোর্ড । সাংসদ-নায়িকার এমন বিস্ফোরক অভিযোগের ভিত্তিতেই মুখ খুলল হিমাচল প্রদেশের ইলেকট্রিসিটি বোর্ডের সভাপতি সন্দীপ কুমার। কঙ্গনার বাড়ির গত তিন মাসের বিদ্যুতের বিলের রশিদ প্রকাশ্যে নিয়ে আসা হয়েছে। শুধু তাই নয়, মাণ্ডির সাংসদের বিরুদ্ধে বকেয়া বিল না মেটানোর অভিযোগও তুলেছে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের ইলেকট্রিসিটি বোর্ড।
কঙ্গনা অভিযোগ করেছিলেন, "এই মাসে আমার মানালির বাড়িতে ১ লক্ষ টাকা ইলেকট্রিক বিল এসেছে। যেখানে আমি থাকিও না। কতটা দুর্দশা দেখুন। আমি এগুলো পড়ি আর লজ্জা পাই এটা ভেবে যে কী চলছে হিমাচলে। কিন্তু আমাদের কাছে তো একটা উপায় রয়েছে। আমার যে ভাইবোনেরা মাঠে খেটে কাজ করেন, এই দেশ, এই রাজ্যকে উন্নতির শিখরে পৌঁছে দেওয়া আমাদের সকলের দায়িত্ব। আমি তো বলব, এরা নেকড়ে। আর আমাদের রাজ্যকে ওদের থেকে রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদেরই।"
Mandi, Himachal Pradesh: BJP MP Kangana Ranaut says, "In Himachal Pradesh, the Congress has created such a miserable situation. This month, I received an electricity bill of ₹1 lakh for my house in Manali, where I don’t even stay! Just imagine the condition here..." pic.twitter.com/6AAzvTekrt
— IANS (@ians_india) April 8, 2025
ইলেকট্রিসিটি বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে, "জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাসে বিল পরিশোধ না করায় ৯০ হাজার টাকার বিল পাঠানো হয়েছে ম্যাডামকে। দু' মাসের বিল বাবদ হয়েছিল ৯০ হাজার টাকা। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সেই বিল দিতে না পারায় ফাইন হিসেবে অতিরিক্ত ৩২,২৮৭ হাজার টাকা যুক্ত হয় তার সঙ্গে। দু' মাসের বকেয়া টাকা-সহ অতিরিক্ত ফাইনের পুরো অঙ্ক যোগ করলে সেটা ৯১ হাজারের খানিক বেশি দাঁড়ায়। মোটেই ১ লক্ষ টাকা হয় না। তাছাড়া, কঙ্গনা যদি সময়মতো বিদ্যুতের বিল মিটিয়ে দিতেন, তাহলে তাঁর কাছে ৫৫,০০০ টাকার বিলই যেত।"
হিমাচল প্রদেশের ইলেকট্রিসিটি বোর্ডের দাবি, "৯৪.৮২ কিলোওয়াটের বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয় ওই বাড়িতে, যা সাধারণ গৃহস্থালি কানেকশনের তুলনায় প্রায় ১,৫০০ শতাংশ বেশি।" সেই প্রেক্ষিতেই এবার প্রশ্ন উঠেছে, ফাঁকা বাড়িতে এত কিলোওয়াটের বিদ্যুৎ সংযোগ কেন প্রয়োজন?























