Kashmir Attack: পহেলগাঁওয়ে হামলার ৪ দিনের মাথায় আজ কাশ্মীর যাচ্ছেন রাহুল গান্ধী, আহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার কথা..
Kashmir Attack Rahul Gandhi : পহেলগাঁও পৌঁছে জঙ্গি হামলায় আহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার কর্মসূচি রয়েছে তাঁর

নয়াদিল্লি: পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলার ৪ দিনের মাথায় আজ কাশ্মীর যাচ্ছেন রাহুল গান্ধী। পহেলগাঁও পৌঁছে জঙ্গি হামলায় আহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। শ্রীনগরের হরি নিবাস পৌঁছে বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ সাংবাদিক বৈঠক করবেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা।
পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হামলায় ২৬ জন নিরীহ নাগরিকের মর্মান্তিক মৃত্য়ুর পর দেশজুড়ে জোরাল হচ্ছে প্রত্য়াঘাতের দাবি। আজ এই ইস্য়ুতে সর্বদল বৈঠকে কার্যত ভুল মেনে নিল কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, এটা স্পষ্ট, যে কিছু ভুল হয়েছে। অন্য়দিকে, এবিষয়ে মোদি সরকারের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে বিরোধী দলগুলো। পাশাপাশি নিরাপত্তার খামতির অভিযোগ নিয়েও সরব হতে ছাড়েনি বিরোধীরা।
সকালে প্রধানমন্ত্রীর কঠোর বার্তা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, এবার সন্ত্রাসবাদীদের বেঁচে থাকা জমিটুকুও মাটিতে মিশিয়ে দেওয়ার সময় এসেছে। বিকেলে রাষ্ট্রপতির কাছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিদেশমন্ত্রী!সন্ধেয় সর্বদল বৈঠক। যেখানে কার্যত ভুল মেনে নিল কেন্দ্র। পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হামলার প্রেক্ষিতে, বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের নেতৃত্বে, বৈঠকে বসে সব দল। সূত্রের দাবি, সেখানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, এটা স্পষ্ট, যে কিছু ভুল হয়েছে। কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, তা আমরা বিরোধীদের বলতে চাই এবং আশ্বস্ত করতে চাই।
বিরোধী দলগুলো এই ইস্য়ুতে কেন্দ্রের পাশে থাকার আশ্বাস বার্তা দিয়েছে। লোকসভার বিরোধী দলনেতা ও কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী বলেন, 'যা ঘটেছে সেটাকে সবাই নিন্দা করেছেন। বিরোধীরা পুরো সমর্থন করেছে সরকারকে যে কোনও পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে।' সূত্রের দাবিতৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্য়োপাধ্য়ায় বলেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমরা কেন্দ্রের সঙ্গে আছি। জঙ্গিদের নিশ্চিহ্ন করার লড়াইয়ে দেশকে ঐক্য়বদ্ধ থাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর উচিত সব দলের প্রধানদের নিয়ে বৈঠক ডাকা।
সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু বলেন, সবাই উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন। সব রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের মতামত রেখেছে। একটা বিষয় সামনে এসেছে--- দেশকে একজোট এবং এক স্বরে বলতে হবে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে একজোট হয়ে ভারতকে লড়তে হবে--- এটা সবাই মেনে নিয়েছে। তবে কাশ্মীরে নিরাপত্তায় খামতির যে অভিযোগ উঠেছে, তা নিয়েও সর্বদল বৈঠকে সরব হতে ছাড়েনি বিরোধী দলগুলো। যদিও, কেন্দ্র এনিয়ে দায় চাপিয়েছে স্থানীয় ট্য়ুর অপারেটরদের ঘাড়ে। সূত্রের দাবি, সর্বদল বৈঠকে বিরোধীদের তরফে প্রশ্ন তোলা হয়।
নিরাপত্তাবাহিনী কোথায় ছিল?
এর জবাবে সরকারের তরফে বলা হয় স্থানীয় আধিকারিকরা এই এলাকা খুলে দেওয়ার আগে খবর দেননি। যা করা উচিত ছিল। স্থানীয় পুলিশকেও খবর দেওয়া হয়নি। সাধারণত এই এলাকা অমরনাথ যাত্রার সময় জুন মাসে খোলা হয়। কিন্তু, স্থানীয় ট্য়ুর অপারেটররা এটা এখনই খুলে দেন। সূত্রের দাবি, বিরোধীরা আরও প্রশ্ন তোলে, সাহায্য় পৌঁছোনে এত সময় লাগল কেন? যার প্রেক্ষিতে সরকারের তরফে বলা হয়,
ওখানে পৌঁছোতে সময় লাগে। ৪৫ মিনিট হেঁটে যেতে হয়। কোনও ব্য়বস্থাই ছিল না।
বিরোধীদের তরফে প্রশ্ন তোলা হয়, গোয়েন্দা এজেন্সি কোথায় ছিল? সরকারের তরফে জবাবে বলা হয়, কোথাও ভুল হয়েছে। সেটা খুঁজে বার করতে হবে।সূত্রের দাবি, সর্বদল বৈঠকে সুদীপ বন্দ্য়োপাধ্য়ায় বলেন, পহেলগাঁওয়ের মতো ট্য়ুরিস্ট স্পটে নিরাপত্তা বাহিনী ছিল না কেন? বিজেপি এটাকে হিন্দু মুসলিম ইস্য়ু করে তুলছে কেন? কেন্দ্রের শাসকদলের ওপর অনেক বড় দায়িত্ব রয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ ও লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্য়োপাধ্য়ায় বলেন, ভাল বৈঠক হয়েছে। নিরাপত্তায় খামতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমি সরকারকে নিশ্চিত করেছি, সব রাজনৈতিক দলগুলো সরকারের পাশে থাকবে, দেশের স্বার্থে তারা যে সিদ্ধান্তই নিক।'
বৃহস্পতিবার জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্য়মন্ত্রী ওমর আবদুল্লাও একটি সর্বদল বৈঠক ডেকেছিলেন। যেখানে পহেলগাঁওয়ের ঘটনাকে জঘন্য় এবং অমানবিক আখ্য়া দিয়ে একটি প্রস্তাব পাস করা হয়। সেখানে বলা হয়, পহেলগাঁওয়ে নিরীহ নাগরিকদের ওপর যে হামলার ঘটা ঘটেছে, তাতে আমরা বিস্মিত এবং শোকাহত। আমরা দ্ব্য়র্থহীনভাবে এই জঘন্য় এবং অমানবিক ঘটনার কঠোরতম নিন্দা করছি।






















