রাজ্যের কনটেনমেন্ট জোনে শুরু কড়া লকডাউন, সকাল থেকে বাজারে কেনাকাটার হুড়োহুড়ি, শিকেয় সোশ্যাল ডিস্টান্সিং
এদিন সকাল থেকেই বাজারে বাজারে ধরা পড়ে মানুষের 'প্যানিক বায়িং'-এর ছবি
কলকাতা: রাজ্যের কনটেনমেন্ট জোনে শুরু কড়া লকডাউন। সিল একাধিক এলাকা, রাস্তায় বসানো হল ব্যারিকেড। কনটেনমেন্ট জোনে ঢোকা-বেরোনোয় কড়াকড়ি। কনটেনমেন্টে জোনে ৭ দিন কড়া নজরদারি।
প্রশাসন সূত্রে খবর, ৭ দিন পর পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত। কলকাতায় কনটেনমেন্ট জোন ২৫টি, হাওড়ায় ৫৬। উত্তর ২৪ পরগনায় কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্য়া ৯৫।
মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় নেতৃত্বাধীন প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আজ, বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা থেকে রাজ্যের কনটেনমেন্ট জোনগুলিতে শুরু হচ্ছে লকডাউন। ঠিক তার আগে, বিভিন্ন বাজারে ধরা পড়ল হুড়োহুড়ির ছবি। এদিন সকাল থেকেই মানুষের মধ্যে ধরা পড়ে 'প্যানিক বায়িং'-এর ছবি।
বিভিন্ন জায়গায় বাজার থেকে শুরু করে মুদির দোকান-- সোশ্যাল ডিস্টানসিংয়ের তোয়াক্কা না করে মানুষের মধ্যে শেষ মুহূর্তের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কেনাকাটার হিড়িক পড়ে যায়। সবজি থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনে মজুত করতে বাজারে, দোকানে ভিড়, হুড়োহুড়ি।
লকডাউনে ফ্যাসাদে পড়ার আশঙ্কায় মানুষ দলে দলে ভিড় করছেন দোকান-বাজারে। পারস্পরিক দূরত্ব বিধির কার্যত নামগন্ধও নেই! কলকাতা থেকে হাওড়া--মানুষ হুড়মুড়িয়ে রাস্তায় নেমে পড়েন। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, আলু-পেঁয়াজ-শাক-সবজি কিনে মজুত করার তাগিদে।
পরিস্থিতি সামলাতে একাধিক জায়গায় বাজার কমিটিগুলিকে দেখা যায় মানুষকে বোঝাচ্ছেন যে, হিড়িকে জিনিসপত্র কিনে না রাখার কোনও প্রয়োজন নেই। কারণ, লকডাউনের ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের জোগানে কোনওভাবে প্রভাব পড়বে না। কিন্তু, ক্রেতাদের সেই কথা গ্রহণযোগ্য় হয়নি।
রাজ্য প্রশাসনের পেশ করা তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যে ২৪ ঘণ্টায় করোনায় রেকর্ড সংক্রমণ। একদিনে আক্রান্ত ৯৮৬ জন। মোট আক্রান্ত ২৪ হাজার ৮২৩। মৃত্যু হয়েছে আরও ২৩ জনের। মোট মৃত ৮২৭। সুস্থ হলেন আরও ৫০১ জন।
রাজ্য করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। এরই প্রেক্ষিতে কনটেনমেন্ট জোনগুলিতে আগামী ৭ দিন কড়া লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, কনটেনমেন্ট জোনে সব সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। জরুরি পরিষেবা ছাড়া কোনও গাড়ি চলবে না।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, কোনওরকম জমায়েত করা যাবে না। সমস্ত বাজার, কারখানা, বাণিজ্যিক গতিবিধি সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে। অত্যাবশ্যকীয় নয়, এমন সব কার্যকলাপও বন্ধ থাকবে।
এছাড়াও, বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, কনটেনমেন্ট জোনে যে সব সরকারি ও বেসরকারি কর্মচারী থাকেন, তাঁদের অফিস হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হতে পারে। স্থানীয় প্রশাসন চেষ্টা করবে কনটেনমেন্ট জোনে হোম ডেলিভারির ব্যবস্থা করার।