অগ্নিমূল্য আলু, বাজারে হানা এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের
কলকাতার খুচরো বাজারে কেজি প্রতি জ্যোতি আলু বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩২ টাকা, আর চন্দ্রমুখী আলুর দাম বাড়তে বাড়তে গিয়ে ঠেকেছে কেজি প্রতি ৩৫ টাকায়.....
কলকাতা, হুগলি ও বাঁকুড়া: বাজারে অগ্নিমূল্য আলু। কলকাতা বিভিন্ন বাজারে হানা এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের। একইভাবে জেলায় জেলায় হানা প্রশাসনের আধিকারিকদের।
আলুর দামে লাগাম টানতে প্রশাসনিক বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সুফল বাংলার স্টলগুলিতে সুলভ মূল্যে বিক্রি হচ্ছে জ্যোতি আলু। হিমঘরেও আলু মজুতে রয়েছে নিয়মের কড়াকড়ি।
বাজারে বাজারে প্রতিদিন হানা দিচ্ছে এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ। আলুর দাম বেশি নিয়ে প্রতিদিনই বিক্রেতাদের সতর্ক করা হচ্ছে। কথা বলা হচ্ছে আড়ত্দারদের সঙ্গে। কিন্তু, দাম কমার কোনও ইঙ্গিত নেই।
এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার ফের একবার কলকাতার বাজারে হানা দিল এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ। কলকাতার খুচরো বাজারে কেজি প্রতি জ্যোতি আলু বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩২ টাকা। আর চন্দ্রমুখী আলুর দাম বাড়তে বাড়তে গিয়ে ঠেকেছে কেজি প্রতি ৩৫ টাকায়।
সরকারের হুঁশিয়ারির পরেও নিয়ন্ত্রণে আসেনি আলুর দাম। এই পরিস্থিতিতে কলকাতার বিভিন্ন বাজারে অভিযান চালাচ্ছে এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ। বৃহস্পতিবার উত্তর কলকাতার শ্যামবাজার, হাতিবাগান বাজারে গিয়ে চড়া দাম নিয়ে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করেন এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের আধিকারিকরা।
সব্জি বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলেন এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের অফিসাররা। কোন সব্জির কত দাম তা জানতে চান। দাম বেশি মনে হলে, কেন তা জানতে চান বিক্রেতাদের থেকে। জানিয়ে দেন, সরকার যে দাম বেঁধে দিয়েছে সেই দাম নিতে হবে না হলে কড়া ব্যবস্থা নেয়া হবে। সতর্ক করার পাশাপাশি কার্যত দোকানদারকে হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়।
শহরের পাশাপাশি একাধিক জেলাতেও আলু সহ সব্জির দাম জানতে বাজারে হানা দেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। বৃহস্পতিবার সকালে হুগলির বিভিন্ন বাজার ও হিমঘরে হানা দেয় প্রশাসনের আধিকারিকরা।
সিঙ্গুরের রতনপুর আলুর মোড়ে অভিযান চালান কৃষি বিপণন দফতর ও পুলিশ-প্রশাসনের আধিকারিকরা। কথা বলেন বিক্রেতাদের সঙ্গে। আলু সহ বিভিন্ন সব্জির দাম জানেন।
শুধু সিঙ্গুরই নয়, হুগলির তারকেশ্বর, হরিপালের একাধিক পাইকারি ও খুচরো আলুর বাজার ও হিমঘরগুলিতে অভিযান চালায় জেলা কৃষি দফতর ও প্রশাসনের আধিকারিকরা।
বাঁকুড়া শহরের কৃষক বাজারে এদিন থলি হাতে বাজারে যান পঞ্চায়েত প্রতিমন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা। খুচরো ব্যবসায়ী ও সুফল বাংলা স্টলের মধ্যে দামের ফারাক কেন, জানতে চান বিক্রেতাদের কাছে।
এক আলু বিক্রেতাকে মন্ত্রী প্রশ্ন করেন, সুফল বাংলায় তো ২৫ টাকা। তোমরা ৩০ নাও কেন? উত্তরে ওই বিক্রেতা বলেন, আমরা আড়তদারদের থেকে ২৭ টাকায় কিনি। ৩টাকা লাভ রেখে বিক্রি করি।
মন্ত্রী জানান, তাঁরা আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছেন।