Behala : বারবার সিম বদলেও হল না শেষরক্ষা, ৫ দিনের মাথায় গ্রেফতার বেহালাকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত
Behala : তার সঙ্গে গ্রেফতার আরও ৬ জন, খবর পুলিশ সূত্রে। ধৃতদের মোবাইল ফোন, গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
কলকাতা : ৫ দিনের মাথায় গ্রেফতার বেহালাকাণ্ডে (Behala) মূল অভিযুক্ত। গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত তথা বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা সোমনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় (Somnath Banerjee)। বারবার মোবাইল ফোন, সিম বদল করেও হল না শেষরক্ষা। হাওড়ার জয়পুর থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, তাঁর সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে আরও ৬ জনকে। ধৃতদের মোবাইল ফোন, গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এর আগে ১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
বেহালার ঘটনার পর ৪ জায়গায় গা ঢাকা দেন সোমনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। পেশাদার অপরাধীর মতো প্রথমে ওড়িশার বালাসোরে চলে যান। সেখান থেকে আসেন পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘায়। একটি হোটেলে ওঠেন। এরপর খড়গপুর ও সেখান থেকে হাওড়ার গ্রামীণ এলাকার জয়পুরে চলে আসেন। এখান থেকেই আজ সকালে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর পাশাপাশি আরও ছয় জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
জানা যাচ্ছে, কোনও জায়গাতেই বেশিক্ষণ থাকছিলেন না সোমনাথ। এমনকী একাধিক মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন। যাতে মোবাইলের সূত্র ধরে ধরা না যায়। বদল করেন সিম কার্ডও। তাতেও অবশ্য গ্রেফতারি এড়াতে পারলেন না। অবশেষে গ্রেফতার বেহালাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত।
দিনকয়েক আগে চড়কমেলার আয়োজনকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠীসংঘর্ষে কয়েক রাউন্ড গুলি চলে বলে অভিযোগ। সংঘর্ষে আহত হন বেশ কয়েকজন। কয়েকটি বাড়িতে ঢুকে হামলা চালানো হয়। অন্তত ১০টি গাড়ি, বেশ কয়েকটি বাইক ভাঙচুরের পাশাপাশি, ভাঙা হয় স্থানীয় তৃণমূল পার্টি অফিসের সিসি ক্যামেরা, জানলার কাচ।
স্থানীয়রা অভিযোগ জানান, বেহালা থানার পুলিশের সামনেই দু’দফায় বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চলে। তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হন। অভিযোগ, ১২১ নম্বর ওয়ার্ডের দুই যুব তৃণমূল কর্মীকে মারধরের পাশাপাশি, দু’পক্ষের মধ্যে ইট-বোতল ছোড়াছুড়ি হয়। প্রতিবাদে বেহালার মুচিপাড়া রোড আধঘণ্টা অবরোধ করেন যুব তৃণমূল কর্মীরা। এক পক্ষের অভিযোগ, সিপিএম থেকে তৃণমূলে আসা লোকজনই হামলা চালিয়েছে। অপর পক্ষের প্রতিক্রিয়া মেলেনি। দু’ পক্ষই বেহালা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। মারধর, গুরুতর আঘাত, হিংসা ছড়ানো, ভাঙচুর ছাড়াও অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
পুলিশের সামনেই হামলা চলায় নিরাপত্তা নিয়ে আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা। চড়কতলার বাসিন্দা প্রিয়ঙ্কা সরকার বলেন, অনেক বার বারণ করা সত্ত্বেও আমার গাড়ি ভাঙচুর করে, প্রতিদিন আমার বাচ্চারা বলে আবার হামলা হবে না তো। খুব আতঙ্কে আছি। আমাদের নিরাপত্তা কোথায়?