Goa Election 2022: ফের গোয়া কংগ্রেসে ভাঙন ধরাল তৃণমূল, দলে যোগ দিলেন লোরেনকো
কার্টোরিম বিধানসভা আসন থেকে দুইবার বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন লোরেনকো। সম্প্রতি তাঁকে গোয়া প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির কার্যনির্বাহী সভাপতি হিসেবে তাঁকে নিযুক্ত করা হয়েছিল।
কলকাতা: গোয়া বিধানসভা ভোটের আগে দলবদল অব্যাহত। এবার গোয়া কংগ্রেসের প্রাক্তন কার্যনির্বাহী সভাপতি অ্যালেইক্সো রেজিনাল্ডো লোরেনকো যোগ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস। কলকাতায় এসে মঙ্গলবার ঘাসফুলের পতাকা হাতে তুলে নিলেন লোরেনকো। গত সোমবারই লোরেনকো গোয়া বিধানসভার সদস্য পদে ইস্তফা দেন। সেইসঙ্গে কলকাতা রওনা হওয়ার আগে কংগ্রেস থেকেও ইস্তফা দেন তিনি। এরপর তৃণমূলে যোগদানের জল্পনা বাড়িয়ে আসেন কলকাতায়। বিমানবন্দরে স্বাগত জানান তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন।
তৃণমূলের অফিসিয়াল ট্যুইটার হ্যান্ডেলে লোরেনকোর তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। ট্যুইটে লেখা হয়, জাতীয় কংগ্রেসের কার্টোরিমের বিধায়ক অ্যালেইক্সো রেজিনাল্ডো লোরেনকো আমাদের চেয়ারপার্সন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও জাতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে আমাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। আমরা তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানাচ্ছি। আমরা যৌথভাবে গোয়ার মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করব।
কার্টোরিম বিধানসভা আসন থেকে দুইবার বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন লোরেনকো। সম্প্রতি তাঁকে গোয়া প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির কার্যনির্বাহী সভাপতি হিসেবে তাঁকে নিযুক্ত করা হয়েছিল। তাঁর পদত্যাগের ফলে ৪০ সদস্য বিশিষ্ট গোয়া বিধানসভায় কংগ্রেসের সদস্য সংখ্যা কমে হল মাত্র ২।
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে গোয়ার বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। বর্তমানে রাজ্যে ক্ষমতাসীন বিজেপি। এরইমধ্যে গোয়ায় তৎপরতা বাড়িয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। দক্ষিণের এই উপকূলবর্তী রাজ্যে সংগঠন বিস্তারে গুরুত্ব আরোপ করেছে তৃণমূল। এর আগেই লুইজেনহো ফ্যালেইরো সহ কংগ্রেসের কয়েকজন নেতা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তৃণমূলের প্রথমসারির নেতারা ইতিমধ্যেই গোয়া সফর করেছেন। সেখানে গিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও দুবার গোয়ায় গিয়েছেন। সেখানে গিয়ে একইসঙ্গে বিজেপি ও কংগ্রেসকে আক্রমণ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, শুধু গোয়া নয়, উত্তরপ্রদেশ, বিহার সহ সব রাজ্যই চায় বিজেপি ক্ষমতাচ্যুত হোক। দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করতে চায় বিজেপি। গোয়াতেও খেলা হবে। দেশ চায় বিজেপি হারুক। ক্ষমতায় আসার পরে বাংলায় বড়দিন বড় করে পালন করা হয়। বিজেপি বোঝানোর চেষ্টা করে যে তারাই শুধু হিন্দু। কিন্তু যাঁর হৃদয় বড়, যে মানবিক সেই প্রকৃত হিন্দু।