Tangra Fire : ট্যাংরার কারখানায় বিধ্বংসী আগুন, ৩ কিমি দূর থেকেও দেখা যাচ্ছে ধোঁয়া
Tangra Fire : ঘটনাস্থলে দমকলের ১০টি ইঞ্জিন। ৩ কিলোমিটার দূরে শিয়ালদা থেকেও দেখা যাচ্ছে আগুন।
কলকাতা : একমাসে দ্বিতীয়বার, ট্যাংরায় ফের অগ্নিকাণ্ড (Tangra Fire)। ট্যাংরার ক্রিস্টোফার রোডে কারখানায় বিধ্বংসী আগুন। ঘটনাস্থলে দমকলের ১০টি ইঞ্জিন। ৩ কিলোমিটার দূরে শিয়ালদা (Sealdah) থেকেও দেখা যাচ্ছে আগুন। আশপাশে জনবসতি, নির্মীয়মাণ ফ্ল্যাট রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। তাই আগুন যাতে দ্রুত ছড়িয়ে না পড়ে তার চেষ্টা চালাচ্ছেন দমকলকর্মীরা। দমকল ও পুলিশের তরফে আশ্বস্ত করা হয়েছে, দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণের সবরকম চেষ্টা করা হচ্ছে। পাশাপাশি আগুন লাগানোর কাজে হাত লাগিয়েছেন স্থানীয়রাও।
আগুন লাগার কারণ এখনও জানা যায়নি। তবে, দাহ্য পদার্থ থেকে আগুন ছড়িয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। প্রথমে দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে থাকলেও, পরে আরও ইঞ্জিন বাড়ানো হয়।
গত মাসেই ট্যাংরার মেহের আলি লেনে গুদামে ভয়াবহ আগুন লাগে। আগুন নেভাতে গিয়ে দমকলের বেশ কয়েকজন কর্মী আহতও হন।
আরও পড়ুন ; ১২ ঘণ্টা পরেও জলছে আগুন, ট্যাংরার বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে সর্বস্ব ছারখার
ট্যাংরার ওয়াটারপ্রুফ কাপড়ের গুদামে আগুন লাগে । বিধ্বংসী আগুনে ছারখার হয়ে যায় গুদাম। গুদামের দেওয়ালে ফাটল ধরে। প্রাথমিকভাবে ঘটনাস্থলে দমকলের ১৫টি ইঞ্জিন আসে। দীর্ঘক্ষণ আগুনে জ্বলতে থাকে গুদাম। এদিকে ঘিঞ্জি এলাকায় আগুন নেভাতে সমস্যা হয়। দীর্ঘক্ষণ আগে আগুন লাগলেও, দমকলের বিরুদ্ধে দেরিতে আসার অভিযোগ ওঠে। আগুন নেভাতে গিয়ে স্থানীয়দের ক্ষোভের মুখে পড়েন তাঁরা। বেশ কয়েকজন দমকল কর্মীকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ ওঠে। আগুনের এতটাই তাপ ছিল যে হাতে রুমাল চাপা দিয়ে আগুন নেভানোর কাজ চালাতে হয়। অনেকেই প্রশ্ন তোলেন, ঘিঞ্জি এলাকায় কীভাবে দিনের পর দিন চলছিল গুদাম? কোনও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল কি? ঘটনার পর ফাঁকা করে দেওয়া হয় অ্যাপ্রোচ রোড ।
এই ঘটনায় উচ্চপর্যায়ের কমিটি তৈরি করে রাজ্য সরকার। সেই কমিটিতে পুরসভা, পুলিশ ও দমকলের থাকার কথা জানানো হয়। কমিটি নিয়ে প্রশ্ন তোলে বিরোধীরা। বিরোধীদের অভিযোগ, বারবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পরও শিক্ষা নেয়নি রাজ্য সরকার। পাল্টা জবাব দেয় তৃণমূলও।