জলমগ্ন কলকাতার CMRI হাসপাতাল চত্বর, চরম দুর্ভোগে রোগীরা
অ্যাম্বুল্যান্স চালক জানাচ্ছেন, 'সারা শহরে জল। হাসপাতালেও জল। এভাবে রোগী নিয়ে আসা যাওয়ায় খুব অসুবিধা হচ্ছে।'
কলকাতা: টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন কলকাতার CMRI হাসপাতাল চত্বর। চূড়ান্ত দুর্ভোগে রোগী থেকে চিকিত্সক। করোনার ভ্যাকসিন নিতে গিয়ে জল-যন্ত্রণা ভোগ করতে হয় অনেককে।হাসপাতাল নাকি জলবন্দি দ্বীপ। বুঝে ওঠা দায়। কয়েক দিনের বৃষ্টিতে এমনই অবস্থা কলকাতার CMRI হাসপাতালের। গোটা চত্বর এখন জলে ডুবে।
অ্যাম্বুল্যান্স চালক জানাচ্ছেন, 'সারা শহরে জল। হাসপাতালেও জল। এভাবে রোগী নিয়ে আসা যায়! খুব অসুবিধা হচ্ছে।' কোভিড এবং নন-কোভিড, দুধরনের রোগীরই চিকিৎসা চলছে আলিপুরের এই বেসরকারি হাসপাতালে। তার মধ্যেই দুর্বিষহ পরিস্থিতি। হাসপাতাল চত্বর জলে ডুবে থাকায় বাইরে গাড়ি রেখে ভিতরে আসতে হচ্ছে। রোগী থেকে চিকিৎসক, জল ভেঙে যেতে হচ্ছে সবাইকে।
সিএমআরআই হাসপাতালের ফুসফুস বিভাগের প্রধান রাজা ধর জানাচ্ছেন, প্রচুর জল জমে গিয়েছে। গাড়ি বাইরে রেখে সবাইকে ঢুকতে হচ্ছে। সবাই সমস্যায়। করোনার ভ্যাকসিনেশন চলছে CMRI হাসপাতালে। প্রতিষেধক নিতে শনিবার যাঁরা এসেছিলেন, তাঁদের প্রত্যেকেই জলযন্ত্রণায় ভুগতে হয়েছে।
সিএমআরই হাসপাতালে ঢোকার গেট ও আলিপুর বডিগার্ড লাইন্সের গেট মুখোমুখি। আলিপুর বডিগার্ড লাইন্সের জল পাম্পের সাহায্যে বের করা হচ্ছে। নিকাশি নালায় ফেলা হচ্ছে। অভিযোগ সেই জল নালা উপচে হাসপাতালে ঢুকছে।
যদিও কলকাতা পুরসভার প্রশাসক তথা আবাসনমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের দাবি, আলিপুর বডিগার্ড লাইন্স থেকে বের করা জল সিএমআরআই হাসপাতালে ঢোকার কোনও সম্ভাবনা নেই।
ফিরহাদ হাকিমের কথায়, আলিপুর বডিগার্ড লাইন্স থেকে পাম্পের সাহায্যে বের করা জল কোনও ভাবেই সিএমআরআই-এ ঢোকা সম্ভব নয়। বডিগার্ড লাইন্সের জল বের করা হচ্ছে ডায়মন্ডহারবার রোডের ওপর দিয়ে। রাস্তার অপর প্রান্তে লোল্যান্ডে গিয়ে তা নামছে। সিএমআরআই উঁচু এলাকায়।
তিনি আরও বলেন, ' এ ছাড়া ভ্য়াকসিন নিয়ে আমার সঙ্গে রোজই কথা হয়। সেরকম কিছু হলে সিএমআরই কর্তৃপক্ষের কাছে নিশ্চয় জানতে পারতাম।' কত তাড়াতাড়ি এই জল নামে, স্বাস্থ্যকর্মী থেকে রোগী ও রোগীর পরিবার, সবাই এখন সেদিকেই তাকিয়ে।