WB Election 2021: গেরুয়া পাঠশালায় প্রথম দিনই হতাশ জিতেন্দ্র, সিলেবাসে থাকলেও স্টকে নেই বাজপেয়ী
এতদিন ‘দিদি’র কবিতায় মজে থাকার পর এই মধ্য বয়স পার করে এখন খোঁজ করছেন অন্য কবিতার। বাজপেয়ীর লেখা কবিতা। বিজেপি রাজ্য দফতরের লাইব্রেরিতে বৃহস্পতিবার ঢুঁ দেন নবাগত জিতেন্দ্র। প্রথমেই খোঁজ নেন বাজপেয়ীর লেখা কবিতার বই আছে কিনা, তিনি কিনতে চান। বিজেপি অফিসের যেখানে বই বিক্রি হয় সেটাকে বলে বস্তু ভাণ্ডার। সেখানে বই, পোস্টার, পতাকা সবই বিক্রি হয়। সেকারণেই হয়ত নাম বস্তু ভান্ডার।
দীপক ঘোষ, কলকাতা: রাজনীতির পাঠশালা পাল্টেছেন, স্বভাবতই পাল্টে গেছে সিলেবাস। এতদিন ‘দিদি’র কবিতায় মজে থাকার পর এই মধ্য বয়স পার করে এখন খোঁজ করছেন অন্য কবিতার। বাজপেয়ীর লেখা কবিতা। বিজেপি রাজ্য দফতরের লাইব্রেরিতে বৃহস্পতিবার ঢুঁ দেন নবাগত জিতেন্দ্র। প্রথমেই খোঁজ নেন বাজপেয়ীর লেখা কবিতার বই আছে কিনা, তিনি কিনতে চান। বিজেপি অফিসের যেখানে বই বিক্রি হয় সেটাকে বলে বস্তু ভান্ডার। সেখানে বই, পোস্টার, পতাকা সবই বিক্রি হয়। সেকারণেই হয়ত নাম বস্তু ভাণ্ডার। সে সময়ই বস্তু ভাণ্ডারে উপস্তিত ছিলেন একাধিক কর্মী। তিওয়ারির পছন্দের বই-এর নাম শুনে বিব্রত হয়ে যান উপস্থিত কর্মীদের কয়েকজন। এই ভদ্রলোক প্রথম দিন এলেন, প্রথম বই চাইলেন অথচ সেটাই নেই। এক কর্মী অস্ফুটে বললেন, বাজপেয়ীর স্টক এখন কম। উপস্থিত আর এক কর্মী তাঁর উপস্থিত বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিয়ে দিলেন। বাজপেয়ীর ভাষনের একটি সংকলন তুলে দিলেন তিওয়ারির হাতে। একগাল হেসে তিওয়ারি বললেন, সবগুলো খন্ড দিয়ে দাও ভাই...!
তৃণমূল দল করতে হলে কর্মীদের একটা সুবিধা আছে বটে, দলীয় নীতি-আদর্শ সংক্রান্ত বই পড়ার ঝামেলা নেই। বছর কয়েক আগে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক সভায় ঘোষণা করেছিলেন, দলীয় নীতি আদর্শ প্রণয়ন করে তা লিপিবদ্ধ করার ব্যবস্থা করবেন তিনি। তাহলে দলে অনুশাসন কয়েম করা যাবে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নির্দেশ দিয়েছিলেন সেই প্রকল্প বাস্তবায়নের, কিন্তু সেই প্রকল্প আজও দিনের আলোর মুখ দেখেনি। এদেশে এক মাত্র বাম আর বিজেপির এই উপরি ঝামেলা আছে। যদিও বিজেপিতে ধীরে ধীরে এখন সিলেবাস আর অবশ্য পাঠ্য নয়। কাতারে কাতারে ছাত্র তৃণমূলের পাঠশালা ছেড়ে ভিড়ে যাচ্ছেন গেরুয়া ক্যাম্পে। কে দিনদয়াল ? দিলীপদাকেই ধ্রুবতারা করে ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়েছে রাজ্যের অগনিত বিজেপি কর্মী। শ্যামাপ্রসাদ সম্পর্কে সঠিক জানা নেই, কিন্তু দাদার অনুরাগীরা জানেন শুধু শুভেন্দুকে।
তিওয়ারি আবশ্যই স্বতন্ত্র হিসাবেই নিজেকে তুলে ধরার চেষ্টা করছেন। নতুন সিলেবাস অনুযায়ী নিজেকে যে ঢেলে সাজাতে হবে, সেটা বিলক্ষণ বুঝে নিয়েছেন তিনি। আর বুঝবেনই না কেন, স্কুল আলাদা হলেও সিলেবাসে তো দিন-রাত্রির ফারাক নেই। দীর্ঘদিন একই সংসারে ছিল বিজেপি-তৃণমূল। একে অপরকে তারা সম্যক হলেও চেনেন, জানেন এমনকী, অনেকে ভেতরে ভেতরে প্রভাবিতও বটে, তাইতো তিওয়ারির হাতে পদ্মের ঝান্ডা নিয়েই বললেন, এতদিন মনে মনে বলতাম, এবার প্রকাশ্যে বলবো, জয় শ্রীরাম। রাজনৈতিক মহল এদেরকেই কটাক্ষ করে বলছে, অ্যাসিমটোমেটিক বিজেপি। মঙ্গলবার দিলীপ ঘোষের হাত থেকে পতাকা নিয়ে বৈদ্যবাটি থেকে গেরুয়া যাত্রা শুরু করেছেন তিনি। বুধবার বাবুলের সঙ্গে টানাপোড়েনের ইতি টানতে হাজির হয়েছিলেন হেস্টিংসে। বৃহস্পতিবার গেলেন মুরলিধর সেন লেনের রাজ্য দফতরে। সেখানেই ঢুঁ দিলেন বস্তু ভাণ্ডারে। বাজপেয়ীর ভাষণের বই ছাড়াই আরএসএস থেকে প্রকাশিত একাধিক বই সংগৃহ করলেন এদিন।