CV Ananda Bose: "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নোংরা রাজনীতি, এই দিদিগিরি মানব না," শ্লীলতাহানির অভিযোগের বিরুদ্ধে সরব রাজ্যপাল
CV Ananda Bose: শ্লীলতাহানির অভিযোগ তুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর সঙ্গে নোংরা রাজনীতি করছে বলে সোমবার দাবি করলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তিনি এই দিদিগিরি মানবেন না বলেও মন্তব্য করেন।
কলকাতা: তাঁর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ তুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) নোংরা রাজনীতি করছেন বলে সোমবার সন্ধ্যায় কলকাতাতে ফিরেই কড়া ভাষায় এর প্রতিবাদ জানালেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (West Bengal Governor CV Ananda Bose)। গত বৃহস্পতিবার রাজভবনের অস্থায়ী মহিলা কর্মী সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেন। এই ঘটনা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নোংরা রাজনীতির (dirty politics) ফসল বলে সোমবার অভিযোগ করেন রাজ্যপাল।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা শ্লীলতাহানির অভিযোগ সম্পর্কে সিভি আনন্দ বোস বলেন, "রাজ্যপালের রাজনীতি থেকে দূরে থাকার কথা। কিন্তু, এখন আমি অত্যন্ত দুঃখিত এই কারণে যে মুখ্যমন্ত্রী আমাকে রাজনীতিতে টেনে এনেছেন, বিশেষ করে এমন সময়ে যখন নির্বাচন চলছে। এখন তিনি আমার বিরুদ্ধে, সত্যের বিরুদ্ধে যে অপমানজনক মন্তব্য করেছেন তাতে আমি আপনাকে বলতে বাধ্য হচ্ছি যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে তাঁর রাজনীতি নোংরা। তারপরও আমি ভগবানের কাছে তাঁকে রক্ষা করার জন্য প্রার্থনা জানাব। তবে এটা ভগবানের জন্য একটা কঠিন দায়িত্ব। আমি কখনই এই দিদিগিরিকে মেনে নেব না।"
গত বৃহস্পতিবার রাজভবনের ওই অস্থায়ী মহিলা কর্মী অভিযোগ করেন, উন্নতির প্রলোভন ও কাজে স্থায়ী করা লোভ দেখিয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস দুবার তাঁর সঙ্গে অশালীন আচরণ করেছেন। সাংবিধানিক রক্ষাকবচ থাকায় রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করতে না পারলেও লালবাজারের তরফে রাজভবনে চিঠি দিয়ে সিসিটিভি ফুটেজ দেওয়ার আবেদন করা হয়। কিন্ত, রাজভবনের পক্ষ থেকে সিসিটিভি ফুটেজ না দিয়ে বিবৃতির মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হয়, রাজ্যপালের বিরুদ্ধে পুলিশ বা আদালত কোনও রকম পদক্ষেপ করতে পারে না। এই বিবৃতির পাশাপাশি শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গে ছেড়ে কেরল চলে যান সিভি আনন্দ বোস।
এরপরই গতকাল রবিবার কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রের সমর্থনে নদিয়ার কালীগঞ্জে নির্বাচনী জনসভা করতে গিয়ে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি ও রাজ্যপালকে আক্রমণ করে তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক বলেন, "কেন্দ্র থেকে যাঁকে রাজ্যপাল নিয়োগ করে পাঠানো হয়েছে তিনি রাজ্যপালের পদটিকে কলঙ্কিত করেছেন। মেয়ের বয়সী একটি বোনের শ্লীলতাহানি করেছেন উনি। ওই মহিলা থানায় গিয়ে অভিযোগ জানানোর পরের দিনই রাজ্যপাল বাংলা ছেড়ে লেজ গুটিয়ে পালিয়ে গেছেন। এই বিষয়ে বিজেপির অবস্থান কী?"
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।