Mamata Banerjee: প্রতি মাসে ২ দিন এসএসকেএমে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো নিয়ে বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী
মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, স্বাস্থ্যর বিষয়টি আমার কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্বাস্থ্য সচিব স্বাস্থ্য ভবনে বসেন। তাই আমরা প্রতি বৃহস্পতিবার এসএসকেএমে শিবির করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
অণির্বাণ বিশ্বাস, কলকাতা: এবার মাসে ২ দিন এসএসকেএমে এসে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো নিয়ে বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার এসএসকেএমে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই তিনি জানিয়ে দেন, আগামী বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার সময় তিনি আবার এসএসকেএমে আসবেন। থাকবেন ১ ঘণ্টা।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, টাটা মেডিক্যাল সেন্টার রাজ্যে ক্যানসারের চিকিৎসায় দুটি হাসপাতাল তৈরি করছে। এরমধ্যে একটি কলকাতায়, অন্যটি শিলিগুড়িতে।
এসএসকেএম থেকে বেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান যে, তিনি এবার থেকে মাসে দুবার করে এই হাসপাতালে আসবেন এবং পরিকাঠামো সংক্রান্ত বিভিন্ন কাজের পর্যালোচনা করবেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমি বিকেল চারটেয় আসব। এক ঘণ্টা থাকব। কখনও মুখ্যসচিব, কখনও স্বাস্থ্যসচিব আমার সঙ্গে আসবেন। যেহেতু স্বাস্থ্য ভবন অনেকটা দূরে, সেজন্য আমি এসএসকেএম হাসপাতালেই একটা ব্যবস্থা করেছি এবং এসএসকেএম যে উন্নয়নমূলর কাজ হাতে নিয়েছে, সেগুলি পর্যালোচনা করব।
মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, স্বাস্থ্যর বিষয়টি আমার কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্বাস্থ্য সচিব স্বাস্থ্য ভবনে বসেন। তাই আমরা প্রতি বৃহস্পতিবার এসএসকেএমে শিবির করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমি শহরে না থাকলে প্রতি ১৫ দিনে একবার করে বসব। এর উদ্দেশ্য, স্বাস্থ্যক্ষেত্রে সমস্যাগুলির দ্রুত সমাধান এবং আরও ভালো পর্যবেক্ষণ ও সমন্বয় সাধন।
মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, তাঁর পরবর্তী লক্ষ্য হল রাজ্যে কর্মসংস্থান তৈরি করা। তিনি জানিয়েছেন, এই লক্ষ্য পূরণে তিনি একটি কমিটি গঠন করেছেন এবং প্রতি ১৫ দিনে একবার করে কমিটির সঙ্গে বৈঠক করে পশ্চিমবঙ্গে শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থান তৈরির বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন।
উল্লেখ্য, বিধানসভা ভোটে নন্দীগ্রাম থেকে এবার প্রার্থী হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিয়ে ফেরার পথে নন্দীগ্রামের রেয়াপাড়ায় আহত হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। তাঁর পায়ে আঘাত লেগেছিল। তাঁর পা কেমন রয়েছেন, এই প্রশ্নের জবাবে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, আঘাতের জায়গা এখনও ফুলে রয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এটা সম্পূর্ণ সারতে দেড় মাস মতো সময় লাগবে। উল্লেখ্য, ভোটের সময় হুইল চেয়ারে বসেই রাজ্য জুড়ে প্রচারে নেমেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।