Priyanka Gandhi Vadra Arrested: গ্রেফতার প্রিয়ঙ্কা গাঁধী, সরকারি অতিথি নিবাস বদলাল জেলে
সীতাপুরের সেই অতিথি নিবাসকে পরিণত করা হয়েছে অস্থায়ী জেলে।
নয়া দিল্লি: গ্রেফতার করা হয়েছে উত্তরপ্রদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গাঁধীকে। জানিয়ে দিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। লখিমপুর খেরিতে যাওয়ার চেষ্টা করায় তাঁকে যেখানে আটক করে রাখা হয়েছিল, সীতাপুরের সেই অতিথি নিবাসকে পরিণত করা হয়েছে অস্থায়ী জেলে। উত্তরপ্রদেশ পুলিশ সূত্রে খবর, শান্তিভঙ্গ, ষড়যন্ত্র ও প্ররোচনার অভিযোগে প্রিয়ঙ্কা গাঁধীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তাঁর বিরুদ্ধে ১৪৪ ধারা ভঙ্গের অভিযোগ ওঠে। শান্তি বিঘ্নিত করার জন্য প্রিয়ঙ্কা গাঁধী ভদ্রা, দীপেন্দ্র হুডা এবং অজয় কুমার লাল্লু সহ ১১ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে সীতাপুর জেলার এসএইচও হরগাঁও থানা। জানা গিয়েছে, সীতাপুর প্রিয়ঙ্কা গাঁধীকে ১৫১,১০৭,১১৬ ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রিয়ঙ্কার জন্য পিএসি গেস্ট হাউসেই একটি অস্থায়ী কারাগার তৈরি করা হয়েছে। সূত্রের খবর, এসএইচও হরগাঁও ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে একটি রিপোর্ট পাঠিয়েছেন।
এর আগে অভিযোগ উঠেছিল প্রিয়ঙ্কা গাঁধীর ওপর উত্তরপ্রদেশ সরকার ড্রোনের সাহায্য নজরদারি চালাচ্ছে। এই মারাত্মক অভিযোগ তুলেছে কংগ্রেস। উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরি যাওয়ার পথে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গাঁধীকে আটক করেছে যোগী সরকারের পুলিশ। তাঁকে রাখা হয়েছে সীতাপুরের এক অতিথি নিবাসে। কংগ্রেসের অভিযোগ, সেই অতিথি নিবাসের কাছেই আজ সকালে উড়তে দেখা গেছে একটি ড্রোনকে। কংগ্রেসের নেতা কর্মীদের দাবি, ওই ড্রোন কারা উড়িয়েছে, তা নিয়ে সদুত্তর দিতে পারেনি পুলিশ আধিকারিকরা।
প্রসঙ্গত, ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় প্রিয়ঙ্কা গাঁধীকে উত্তরপ্রদেশের সীতাপুরের এক অতিথি নিবাসে আটক করে রেখেছে যোগী সরকার। গাড়িতে পিষে মৃত কৃষকদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার পথে গতকাল উত্তরপ্রদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদককে আটক করা হয়। রাস্তায় পদে পদে বাধার মুখে পড়েন তিনি। গাড়ি বদল করে, পায়ে হেঁটে লখিমপুর পৌঁছোনোর চেষ্টা করেন প্রিয়ঙ্কা। পুলিশ আধিকারিকরা ওয়ারেন্ট ছাড়া কী ভাবে বাধা দিচ্ছেন, সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি। পরে প্রিয়ঙ্কা গাঁধীকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় সীতাপুরের অতিথি নিবাসে।
এই ঘটনা নিয়ে ট্যুইট করেছেন রাহুল গাঁধীও। ট্যুইটে তিনি লেখেন, যাঁকে আটকে রাখা হয়েছে, তিনি ভীত নন। তিনি একজন কংগ্রেস কর্মী। তিনি পরাজয় মানবেন না। সত্যাগ্রহ থামবে না।