Maharashtra News: যাঁর সঙ্গে একসময় উদযাপনে মেতেছিলেন, তাঁকেই খুন করলেন ! মহারাষ্ট্রের ঘটনায় নয়া মোড়
Maharashtra Honour Killing: সম্প্রতি একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। শোনা যাচ্ছে, তা এপ্রিল মাসের। সেখানে দেখা গিয়েছে, সক্ষমের সঙ্গে নাচের তালে উদযাপনে মেতেছেন আঁচলের বাবা।

Maharashtra News: মহারাষ্ট্রে ঘটেছে শিউরে ওঠার মতো এক ঘটনা। ভিন জাতের ছেলের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিল মেয়ে। তা মোটেই মানতে পারেননি 'উচ্চ বংশের' মেয়ের 'বাবা-দাদা'। অভিযোগ, মেয়ের প্রেমিককেই শেষ করে দিয়েছেন তাঁরা। মহারাষ্ট্রের ননদেদে ঘটেছে জাতের নামে এই 'অনার কিলিং'। সবচেয়ে মর্মান্তিক ঘটনা হল, প্রেমিকের শেষকৃত্যে গিয়ে সেখানে তরুণের মৃতদেহের সঙ্গেই বিয়ে সেরেছেন ওই তরুণী। সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাকি জীবনটা প্রেমিকের বিধবা হয়ে তাঁর বাড়িতেই কাটাবেন। বছর বিশের তরুণী, কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না নিজের পরিবারের লোকেদের হাতে প্রেমিকের এ হেন পরিণতি। ভালবাসার মাশুল যে এভাবে গুনতে হবে তা বোধহয় দুঃস্বপ্নেও কল্পনা করেননি সক্ষম এবং আঁচল।
সম্প্রতি একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। শোনা যাচ্ছে, তা এপ্রিল মাসের। সেখানে দেখা গিয়েছে, সক্ষমের সঙ্গে নাচের তালে উদযাপনে মেতেছেন আঁচলের বাবা। সেখানে উপস্থিত রয়েছেন আঁচলও। এই উদযাপনের ৭ মাস পরে ওই সক্ষমকেই খুনের অভিযোগ উঠেছে আঁচলের বাবার বিরুদ্ধে। অভিযোগ তুলেছেন, খোদ তাঁর মেয়েই। যাঁরা সঙ্গে একসময় নাচ করে উদযাপন করেছিলেন আম্বেদকর জয়ন্তী, সেই তরুণকেও চিরকালের মতো শেষ করে দিতে হাত কাঁপেনি তাঁর। অভিযুক্তের নাম গজানন বালাজি মামিদ্বার। মেয়ে আঁচলের প্রেমিক সক্ষম তাতে-কে খুনের অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। বাবার বিরুদ্ধে এই গুরুতর অভিযোগ এনেছেন আঁচল নিজেই। প্রেমিকের খুনের বিচার চেয়েছেন তরুণী। ফাঁসি চেয়েছেন অভিযুক্তদের, যে তালিকায় বাবার সঙ্গে আঁচল নাম যোগ করেছেন তাঁর দুই দাদারও।
১৪ এপ্রিল আম্বেদকর জয়ন্তী। এবছর সেই দিনই উদযাপনে মেতেছিলেন সক্ষম। তাল মিলিয়েছিলেন আঁচল, তাঁর বাবা এবং দাদারাও। জানা গিয়েছে, আঁচলের দাদাদের বন্ধু স্থানীয় ছিলেন সক্ষম। সেই সূত্রে আঁচলদের বাড়িতে যাতায়াত ছিল। পরে সম্পর্ক গড়ে ওঠে আঁচলের সঙ্গে। তবে এই সম্পর্ক মোটেই সুনজরে দেখেননি গজানন এবং তাঁর ছেলেরা। ভাইরাল হওয়া পুরনো ভিডিওতে দেখা গিয়েছিল, উৎসবের আমেজে আনন্দে উচ্ছ্বাসে মেয়েকে জড়িয়ে ধরেছিলেন বাবা। আশপাশের সবাই ছিলেন খুশি মনে। এখন যাঁদের বিরুদ্ধে সক্ষমকে খুনের অভিযোগ উঠেছে, সেদিন তাঁদের কাঁধে তুলে নিয়ে নেচেছিলেন সক্ষমের বন্ধুরা। ভবিষ্যৎ যে এমন বিরূপ হতে চলেছে তা টেরও পাননি কেউ। বাবা-দাদার হাতে সক্ষম খুন হওয়ার পর, নিজের পরিবারকে ত্যাগ করেছেন আঁচল। জানিয়েছেন, সক্ষমের পরিবারের সঙ্গেই থাকবেন বাকি জীবনটা।
আঁচল অভিযোগ করেছেন যে, সক্ষমের সঙ্গে সবসময় ভাল ব্যবহার করতেন তাঁর বাবা-দাদারা। বিশ্বাস অর্জন করেছিলেন সক্ষমের। বারবার বুঝিয়েছিলেন যে সব ঠিক আছে। কিন্তু তলে তলে পরিকল্পনা যে ছিল অন্য, তা টের পাননি সক্ষম কিংবা আঁচল কেউই। বোন ভিন জাতের ছেলের সঙ্গে ভালবাসার সম্পর্কে জড়িয়েছে, শুধুমাত্র এই রোষে, মাত্র ২০ বছরের সক্ষমকে গুলি করে, মাথা থেঁতলে নৃশংস ভাবে খুন করা হয়েছে। আপাতত বিচারের আশায় মৃত তরুণের পরিবার, তাঁর বন্ধুবান্ধব এবং আঁচল।






















