Malda : মানিকচকে তিনটি গ্রামে জল ঢুকছে গঙ্গার, জলবন্দি কয়েকশো পরিবার ; ত্রাণের দাবি দুর্গতদের
মালদার মানিকচকে তিনটি গ্রামে গঙ্গার জল ঢুকতে শুরু করেছে। জলবন্দি কয়েকশো পরিবার।
করুণাময় সিংহ, মানিকচক (মালদা) : মালদার মানিকচকে তিনটি গ্রামে গঙ্গার জল ঢুকতে শুরু করেছে। জলবন্দি কয়েকশো পরিবার। অবিলম্বে ত্রাণের দাবিতে সরব দুর্গতরা। জেলাশাসকের আশ্বাস, পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হচ্ছে। দুর্গতদের দ্রুত ত্রাণ শিবিরে সরিয়ে আনা হবে।
দক্ষিণবঙ্গের পর এবার উত্তরবঙ্গ। প্রবল বৃষ্টির কারণে বিপদ বেড়েছে। মালদার মানিকচকে চরম বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে গঙ্গার জল। মানিকচকের জোতপাট্টা, রামনগর রবিদাসটোলা- এই তিনটি গ্রামে হু হু করে জল ঢুকতে শুরু করেছে। কয়েকশো পরিবার জলবন্দি। প্রশাসন সূত্রে খবর, গঙ্গার পাড় থেকে বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার জন্য জেলার সেচ দফতরের তরফে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বেশ কিছু পরিবার নিজেরাই নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেছে। উঁচু জায়গায় ত্রিপল খাটিয়ে ব্যবস্থা হয়েছে সাময়িক আশ্রয়ের।
মানিকচকের বাসিন্দা কল্যাণী মণ্ডল বলেন, "বাড়িতে থাকার অবস্থা নেই। গরু-ছাগল নিয়ে উঁচু জায়গায় ত্রিপল খাটিয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে। " এলাকার অপর এক বাসিন্দা উজ্জ্বল রবিদাস বলেন, "জল বেড়েছে। বাড়ি ঘরে জল ঢুকেছে।"
এদিকে স্থানীয় বাসিন্দাদের ত্রাণের দাবি প্রসঙ্গে জেলাশাসক জানিয়েছেন, রতুয়া ১, মানিকচক, কালিয়াচক ২ ও ৩ নম্বর এলাকার বিডিওদের পরিস্থিতির ওপর নজর রাখতে বলা হয়েছে। মজুত রয়েছে ত্রাণসামগ্রী। দুর্গতদের ত্রাণ শিবিরে নিয়ে আসা হবে।
প্রতি বছর মালদায় ভাঙন ধরে গঙ্গায়। গঙ্গায় তলিয়ে যায় বহু বাড়ি, রাস্তাঘাট থেকে কৃষিজমি। বর্ষা এলেই গৃহহীন হয় অনেক পরিবার। আতঙ্কের প্রহর গুণতে হয়। এই বছরও দুর্ভোগের ছবি দেখা গেছে রতুয়া ও কালিয়াচকের বহু গ্রামে। তিন চারদিন আগে রতুয়ায় গঙ্গার জল ঢুকেছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, মহানন্দটোলা ও বিলাইমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১২টি গ্রাম জলমগ্ন। কয়েক হাজার মানুষকে ইতিমধ্যেই সরানো হয়েছে নিরাপদ জায়গায়।
উল্লেখ্য, মালদায় গঙ্গার নিম্নগতি ও ৮ কিমি বাঁধ মেরামতি ও সংস্কারের দায়িত্বে রয়েছে কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণাধীন ফারাক্কা ব্যারেজ।