Metro Dairy : মেট্রো ডেয়ারি মামলায় সিবিআই তদন্তের দাবি দিলীপের
Dilip Ghosh on Metro Dairy Case : রাজ্যের ৪৭% শেয়ার নামমাত্র দামে বিক্রির অভিযোগ ওঠে। নামমাত্র দামে বিক্রির এই অভিযোগটি করেছিলেন অধীর চৌধুরী। তিনি শেয়ার বিক্রির তদন্ত চেয়ে মামলা করেন।
কলকাতা : মেট্রো ডেয়ারির শেয়ার জলের দরে সিঙ্গাপুরের সংস্থাকে বিক্রির অভিযোগ। এই মামলায় এবার সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, "সিবিআই এর ওপর লোকের ভরসা আছে। সিবিআই তদন্ত করতে রাজিও আছে। অতএব, যেভাবে নারদা, সারদার ওপর কোর্ট দায়িত্ব দিয়েছেন, মানুষের ইচ্ছার ওপরে গুরুত্ব দিয়ে এটারও তদন্ত দেওয়া উচিত। তা না হলে রাজ্য সরকারের এত বড় দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসবে না।"
প্রসঙ্গত, ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত শুনানি মেট্রো ডেয়ারি মামলার। ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে সবপক্ষকে অবস্থান জানানোর নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। জলের দরে সিঙ্গাপুরের সংস্থাকে শেয়ার বিক্রির অভিযোগ করা হয়েছিল। রাজ্যের ৪৭% শেয়ার নামমাত্র দামে বিক্রির অভিযোগ ওঠে। নামমাত্র দামে বিক্রির এই অভিযোগটি করেছিলেন অধীর চৌধুরী। তিনি শেয়ার বিক্রির তদন্ত চেয়ে মামলা করেন। কংগ্রেস (Congress) নেতার করা জনস্বার্থ (PIL) মামলা নতুন মোড় নেয়। আদালত নির্দেশ দিলে তদন্ত করতে প্রস্তুত সিবিআই, এমনটাই খবর।
এবিষয়ে অধীর চৌধুরী বলেন, "আদালত নির্দেশ দিলে সিবিআইকে তদন্ত করতেই হবে। আদালতে আমি এটাই দাবি করেছিলাম যে পশ্চিমবঙ্গে মেট্রো ডেয়ারির একটা বড় কেলেঙ্কারি হতে চলেছে। কারণ মেট্রো ডেয়ারির সরকারি শেয়ার ছিল ৪৭ শতাংশ। সেটা বেসরকারি পুঁজিপতিকে বিক্রি করা হয়েছে মাত্র ৮৫ কোটি টাকায়। অথচ সেই বেসরকারি সংস্থা, যারা রাজ্যের থেকে ৪৭ শতাংশ শেয়ার কিনল, তারা ১৫ শতাংশ সিঙ্গাপুরের সংস্থাকে বিক্রি করে রোজগার করল ১৩৫ কোটি টাকা। স্বাভাবিকভাবেই এই গোটা চুক্তির মধ্যে দুর্নীতির ছায়া রয়েছে। আমার মনে হয়েছে, এর নিরপেক্ষ সুস্থ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। জলের দরে বেসরকারি সংস্থাকে বিক্রি করা হয়েছে। হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলাম। এর সত্যতা জানা উচিত মানুষের।"
যদিও এ প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, তাঁদের কাজ অভিযোগ করা, তাঁরা করেছেন। কিন্তু তার মধ্যে কতখানি সত্যতা আছে সেটা রাজ্য সরকার দেখবে এবং মহামান্য আদালত রাজ্য , সরকারের বক্তব্য শুনবে। অধীরবাবুরা যা যা বলার, সমস্ত বলতে বলতে এসে কংগ্রেসটাকে বিধানসভায় শূন্যে নামিয়েছেন। ওঁরা কী বলছেন তার সঙ্গে বাস্তবের বোধহয় কোনও সম্পর্ক নেই।