Pakistan Terrorist Attack : নিরাপত্তা বলয় ফুঁড়ে করাচি পুলিশের সদর দফতরে জঙ্গি হানা, নিহত একাধিক
Karachi Militant Attack : যে ঘটনার দায় স্বীকার করেছে পাকিস্তানের কুখ্যাত জঙ্গি সংগঠন তেহরিক-ই-তালিবান। যে সংগঠনের বেশ কয়েকজন জঙ্গি হাতে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র নিয়ে হানা দেয় করাচি পুলিশের সদর দফতর এলাকায়।
করাচি : পুলিশের সদর দফতর। নিরাপত্তার বজ্র আঁটুনি। সেই কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা ফুঁড়েই জঙ্গিহানা। একেবারে শহরের বুকে। হাড়হিম করা ঘটনা পাকিস্তানের করাচিতে। যেখানে করাচি পুলিশ সদর দফতরে হয়েছে জঙ্গিহানা (Militant Attack)। যে ঘটনার দায় স্বীকার করেছে পাকিস্তানের কুখ্যাত জঙ্গি সংগঠন তেহরিক-ই-তালিবান Tehreek-e-Taliban (Pakistan)। যে সংগঠনের বেশ কয়েকজন জঙ্গি হাতে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র নিয়ে হানা দেয় করাচি পুলিশের সদর দফতর (Karachi Police Office Combound) এলাকায়।
নিরাপত্তার বজ্র আঁটুনি ফুঁড়ে পুলিশের সদর দফতর এলাকার মধ্যে ঢুকে পড়েই এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়তে শুরু করে জঙ্গিরা। যে ঘটনায় বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী, জঙ্গি সহ নিহতের সংখ্যা একাধিক। করাচি পুলিশ সূত্রে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ৫ জন জঙ্গি সহ মোট ৯ জন মারা গিয়েছে। বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী, দুজন সাধারণ মানুষ সহ মোট ১৭ জন আহত হয়েছে যে ঘটনায়। কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। গত রাতে বেশ কয়েকজন জঙ্গি হামলা চালায় বলেই প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে।
পুলিশের সদর দফতরে যে হামলায় কার্যত শোরগোল পড়ে গিয়েছে পাকিস্তানে। জঙ্গিরা রাতের অন্ধকারে এভাবে পুলিশের হেড কোয়ার্টারে হামলা চালানোয় বড়সড় প্রশ্ন উঠেছে নিরাপত্তা নিয়েও। এমনিতেই দীর্ঘদিন ধরে জঙ্গি সমস্যায় জর্জরিত পাকিস্তান। গত কয়েক মাসে দেশের মধ্যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত সংস্থায় জঙ্গিদের হানা বেড়েছে। কিছু সপ্তাহ আগেই পুলিশরা ব্যবহার করেন এমন একটি মসজিদকে টার্গেট করা হয়েছিল। সেখানে বোমা বিস্ফোরণে প্রাণ হারাতে হয়েছিল অনেক পুলিশ কর্মী-অফিসারকে।
এদিকে, পুলিশের হেড কোয়ার্টারে এভাবে জঙ্গিহানা নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছে পাকিস্তান সরকার। দেশ থেকে জঙ্গি কার্যকলাপ নির্মুল করে ফেলার বার্তা দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। পুলিশ কোয়ার্টারে জঙ্গিহানা প্রসঙ্গে পাক প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, 'পাকিস্তান শুধু সন্ত্রাসকে মূল থেকে উপড়েই ফেলবে না। জঙ্গিদের মেরে যোগ্য ন্যায়বিচারও জোগাড় করে নেবে। রাষ্ট্রকে সুরক্ষিত করতে সন্ত্রাসের দুষ্টকে দমন করতেই হবে।' পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী তাদের দেশ থেকে জঙ্গি কার্যকলাপ নির্মূল করার দাবি ও প্রত্যাশা জানালেও তা কতটা ও কতদিনে বাস্তবায়িত হবে তা নিয়ে চিন্তায় বিভিন্ন মহল। উল্লেখ্য, এমনিতেই তীব্র অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে চলছে পাকিস্তান। তার মাঝে জঙ্গি কার্যকলাপের বৃদ্ধি চিন্তার ভাঁজ বাড়াচ্ছে পাক নাগরিকদের মধ্যে।
আরও পড়ুন- জ্বালানির জ্বালায় পুড়ছে পাকিস্তান, সর্বকালীন রেকর্ড গড়ে ২৭২ টাকা লিটার পেট্রোল !