Nagpur: বয়ফ্রেন্ডকে বিয়ে করতে গণধর্ষণের মিথ্যে নাটক সাজালেন উনিশের কিশোরী
নিজের প্রেমিককে বিয়ে করার জন্য গণধর্ষণের নাটক সাজালেন এক কিশোরী। যার জেরে গোটা দিন হয়রানি পোহাতে হল পুলিশকে।
নয়া দিল্লি: হায়দরাবাদকাণ্ড কিংবা হাথরাসের ঘটনার পর থেকেই গণধর্ষণ গোটা দেশে একটি স্পর্শকাতর ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। গণধর্ষিতা ও পরিবাররা যখন দোষীদের শাস্তির দাবি আইনিপথে যেতে বাধ্য হয়, সেই সময় এক আজব ঘটনা ঘটালেন এক কিশোরী। নিজের প্রেমিককে বিয়ে করার জন্য গণধর্ষণের নাটক সাজালেন তিনি।
শুধু এখানেই থেমে থাকেননি গণধর্ষণের একটি জাল অভিযোগ পুলিশের কাছে দায়ের করেন। এই ঘটনার পর সারাদিন পুলিশের দৌড়াদৌড়ি হয়েছে। মঙ্গলবার নাগপুরের পুলিশ অফিসার জানায় যে এমন ঘটনা ঘটতে পারে তাঁদের বিশ্বাসই হয় না। প্রাথমিকভাবে ঘটনাটিকে সত্য বলেই ধরে নেন তাঁরা। এরপর ১ হাজারেরও বেশি অফিসাররা খানা তল্লাশি শুরু করেন অভিযুক্তদের ধরতে।
পুলিশের তরফে জানান হয়েছে সকাল ১১টার দিকে থানায় এসে অভিযোগ জানিয়ে যান ওই কিশোরী। এরপর বিষয়টির গুরুত্ব বুঝে শহরজুড়ে ২৫০টিরও বেশি সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখেন পুলিশ অফিসাররা। এরপর যখন কোনওভাবেই কোনও ক্লু পাননা তাঁরা, তখন বুঝতে পারেন এই গণধর্ষণের ঘটনাটি একটি গল্প ছাড়া আর কিছু না। এরপর ওই কিশোরী জেরায় পুলিশকে বলেন যে তিনি তাঁর প্রেমিককে নিয়ে করার জন্য এই গল্পটি বানিয়েছিলেন। তবে তাঁর সঠিক পরিকল্পনা কী ছিল তা প্রকাশ করেননি।
আরও পড়ুন, যাত্রীদের লাগেজ রাখতে এসে ঘুমে কাদা, কার্গোয় বন্দি কর্মীকে নিয়েই উড়ে গেল বিমান
এর আগে ওই কিশোরী পুলিশকে বলেন নাগপুরের চিখালি এলাকার কাছে একটি বিচ্ছিন্ন এলাকায় তাকে দুই ব্যক্তি ধর্ষণ করেছিল। তিনি দাবি করেছেন যে দুই ব্যক্তি একটি সাদা রঙের ভ্যানে এসেছিলেন এবং সকালে ইয়িনি গানের ক্লাসে যাওয়ার সময় তাঁর থেকে রাস্তার হদিশ জানতে চেয়েছিলেন। সেই সময় ওই দুই ব্যক্তি তাঁকে জোর করে ভ্যানে তুলে নিয়ে কাপড় দিয়ে মুখ ঢেকে দেয়। তারপরে তারা তাকে একটি বিচ্ছিন্ন জায়গায় নিয়ে যায় এবং তাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
কালামনা পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির প্রাসঙ্গিক ধারায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একটি অপরাধ নথিভুক্ত করেছিল। এলাকার সব পুলিশ অফিসারদের নিয়ে ৪০টি দলও গঠন করা হয়েছিল এই ঘটনার তদন্ত করতে। শহরের সিসিটিভি, ভ্যানের ফুটেজ পরীক্ষা, কিশোরীর বন্ধুদের জিজ্ঞাসাবাদ সব করা হয়। এরপর মেডিকেল পরীক্ষার জন্যও হাসপাতালে পাঠানো হয় তাঁকে। ছয় ঘণ্টারও বেশি পরিশ্রমের পর এবং ৫০ জনেরও বেশি লোককে জিজ্ঞাসাবাদের পর, পুলিশ এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে মহিলাটি গণধর্ষণ গল্পটি তৈরি করেছে।