পশু চিকিৎসালয়ে ঢুকে মহিলা কর্মীদের 'মারধর' নাসিরউদ্দিন-কন্যা হীবার, ভিডিও ভাইরাল
অভিযোগ, গত ১৬ তারিখ তিনি মুম্বইয়ের একটি পশু চিকিৎসালয়ের দুই মহিলা কর্মীকে মারধর করেন।বন্ধুর দুটি পোষ্য মার্জারের নির্বীজকরণ করাতে একটি পশু-চিকিৎসালয়ে নিয়ে যান হীবা। অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিনেতার মেয়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে ভার্সোভা থানার পুলিশ।
মুম্বই: পশু চিকিৎসালয়ের দুই মহিলা কর্মীকে মারধর করার অভিযোগ উঠল বলিউড অভিনেতা নাসিরউদ্দিন শাহের মেয়ে হীবা শাহের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, গত ১৬ তারিখ তিনি মুম্বইয়ের একটি পশু চিকিৎসালয়ের দুই মহিলা কর্মীকে মারধর করেন। সেই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিনেতার মেয়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে ভার্সোভা থানার পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজ দেওয়া হয়েছে পুলিশকে।
খবরে প্রকাশ, বন্ধুর দুটি পোষ্য মার্জারের নির্বীজকরণ করাতে ‘দ্য ফেলিন ফাউন্ডেশন’ নামক একটি পশু-চিকিৎসালয়ে নিয়ে যান হীবা। সংস্থার ট্রাস্টি মৃদু খোসলা বলেন, গত ১৬ জানুয়ারি দুপুর তিনটে নাগাদ হীবা দুটি মার্জারকে নিয়ে আসেন আমাদের ক্লিনিকে। আমাদের ক্লিনিকের কেয়ারটেকার তাঁকে বলেন, পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করতে, কারণ, সেই সময় একটি অস্ত্রোপচার চলছিল।
ওই মহিলা বলেন, ২-৩ মিনিট অপেক্ষা করার পর হীবা আমাদের কর্মীদের দিকে তেড়ে আসেন। বলেন, ‘জানেন আমি কে? কীকে আমাকে এতক্ষণ বাইরে অপেক্ষা করিয়ে রাখেন? কেন আমার বেড়ালগুলোকে বাইরে রিক্সা থেকে নামানোর জন্য কেউ এগিয়ে আসছে না?’
এরসঙ্গেই হীবা ওই চিকিৎসালয়ের কর্মীদের অভব্য কথা বলতে শুরু করেন বলেও অভিযোগ। মৃদু জানান, তখন চিকিৎসালয়ের এক মহিলা কর্মী হীবাকে তাঁর পোষ্যকে নিয়ে বেরিয়ে যেতে বলেন। এরপরই, ওই কর্মীকে চড় মারেন হীবা। পাশে দাঁড়ানো আরেক মহিলা কর্মীকেও মারেন তিনি। মৃদুর অভিযোগ, অত্যন্ত খারাপ ভাষা প্রয়োগ করেন হীবা। এক কথায় অকথ্য। মৃদু ওই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেন। বর্তমানে ওই ভিডিও ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।
এদিকে, মারধরের কথা স্বীকার করলেও, হীবার পাল্টা দাবি, ওই কর্মীরাই প্রথম শুরু করেন। একটি পোর্টালে তিনি বলেন, আমি মেরেছি। কিন্তু, ওরা শুরু করেছিল। গেটের রক্ষী আমাকে ভিতরে ঢুকতে দিচ্ছিল না। আমি বলি, আমার অ্যাপয়েন্টমেন্ট রয়েছে। এরপর, ক্লিনিকের মধ্যে আমি অ্যাটেনডেন্টকে ওই রক্ষীর সম্পর্কে জানাই। তিনি উল্টে আমাকে কটু কথা বলেন। এরপর আমাকে একজন ঠেলে সরিয়ে দেয়। আমাকে বাইরে বেরিয়ে যেতে বলে। হীবা বলেন, চিকিৎসালয়ে আসা কারোর সঙ্গে এভাবে কথা বলা ঠিক নয়। ওই মহিলা আমার সঙ্গে হাতাহাতি শুরু করেন।