দীপাবলির আগে সীমান্ত পাক গোলাগুলি, উরিতে মৃত্যু ৪ সাধারণ নাগরিক, ৩ জওয়ানের
গুরেজ সেক্টরের বান্দিপোরায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভঙ্গ করেছে পাক সেনা। সেখানেও চার নাগরিকের আহত হওয়ার খবর মিলেছে
জম্মু: দীপাবলির প্রাক্কালে ফের নিয়ন্ত্রণরেখা জুড়ে সংঘর্ষবিরতি চুক্তিভঙ্গ পাকিস্তানের। পাক গোলাগুলিতে উরি সেক্টেরে প্রাণ হারালেন ৭ জন। এর মধ্যে ৩ জন নিরাপত্তাকর্মী ও ৪ জন সাধারণ নাগরিক।
প্রতিরক্ষামন্ত্রক সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, উত্তর কাশ্মীরের বারামুল্লা জেলায় উরি সেক্টরের হাজিপুরে বিনা প্ররোচনায় যুদ্ধবিরতি চুক্তিভঙ্গ করে ভারী গোলাবর্ষণ শুরু করে পাক সেনা। ভারতীয় সামরিক ছাউনির পাশাপাশি সীমান্ত লাগোয়া জনবসতি লক্ষ্য করেও গোলা ছুড়তে শুরু করে পাকিস্তান।
এই হামলার জবাব দেয় ভারতও। দুপক্ষের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ গোলাগুলি বিনিময় হয়। পাক গোলাগুলির ঘায়ে মৃত্যু হয়েছে বিএসএফ-এর ১ জওয়ানের। সাব-ইনস্পেক্টর পদমর্যাদার অফিসারে নাম রাকেশ ডোভাল। তিনি আর্টি রেজিমেন্টে পোস্টেড ছিলেন বলে জানিয়েছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী। পাশাপাশি, ভারতীয় সেনার ২ জওয়ানেরও মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। তাঁরা দ জনই ৫৯ রেজিমেন্টের সদস্য।
মৃত্যু হয় এম মহিলা সহ চার সাধারণ নাগরিকেরও। হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে, মৃত্যু হয়েছে ফারুকা বেগম, নাদির হুসেন, তাহির জালাউদ্দিন ও ইরশাদ আহমেদের।
পাক গোলাগুলির ফলে সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিতে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকে ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ জায়গায় চলে গিয়েছে। তাঁদের সরে যেতে সাহায্য করেছে বাহিনী। অনেকে আবার বাঙ্কারে নিজেদের প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টা চালিয়েছেন।
প্রতিরক্ষামন্ত্রক সূত্রে খবর, এদিন কামালকোট সেক্টরের চুরান্দা, সিলিকোট, গরকোট, হাতলাঙ্গা, নাম্বলা ও রুস্তম মোহল্লায় ভারী গোলাবর্ষণ শুরু করে পাক বাহিনী।
পাশাপাশি, গুরেজ সেক্টরের বান্দিপোরায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভঙ্গ করেছে পাক সেনা। সেখানেও চার নাগরিকের আহত হওয়ার খবর মিলেছে। এদের মধ্যে ২ জন কিশোরী ও ২ জন প্রৌঢ়। আহতরা হল -- রেহানা খুরশিদ, মুনাজা জামশিদ, জাবর আহমেদ ও সাদা বেগম।
অন্যদিকে, উত্তর কাশ্মীরের কুপওয়াড়ার কেরন সেক্টরে অনুপ্রবেশের চেষ্টা ব্যর্থ করে নিরাপত্তাবাহিনী। প্রতিরক্ষামন্ত্রকের মুখপাত্র জানিয়েছেন, ফরোয়ার্ড পোস্ট লাগোয়া অঞ্চলে সন্দেহজনক গতিবিধি নজরে আসার পরই সতর্ক বাহিনী রুখে দাঁড়ানোয় অনুপ্রবেশকারীদের চেষ্টা ভেস্তে যায়।