বিমানবন্দরে বোর্ডিং পাস প্রথা তুলে দেওয়ার প্রস্তাব দিল সিআইএসএফ
নয়াদিল্লি: হ্যান্ড-ব্যাগেজ ট্যাগ অবলুপ্তির পর এবার বোর্ডিং পাস সংগ্রহ করার প্রথা তুলে দেওয়ার প্রস্তাব দিল বিমানবন্দরগুলির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স বা সিআইএসএফ। এভিয়েশন সুরক্ষা-বিশেষজ্ঞরা এর পরিবর্তে বায়োমেট্রিক্স-দ্বারা পরিচালিত ‘এক্সপ্রেস চেক ইন’ ব্যবস্থা চালু করার পক্ষপাতী।
সিআইএসএফ-এর তরফে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই তারা বোর্ডিং পাস-বিহীন সিস্টেম চালু করার বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করছে। এই প্রেক্ষিতে ভবিষ্যতের প্রযুক্তি নিয়ে পরীক্ষা-নীরিক্ষাও চালানো হচ্ছে বলে দাবি করেছে এই কেন্দ্রীয় বাহিনী।
সিআইএসএফ ডিজি ও পি সিংহ বলেন, দুটি প্রকল্প নিয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে। প্রথমটি হল, কী করে বিমানবন্দরে সুসংহত নিরাপত্তা ব্যবস্থা মোতায়েন করা যায়।
এর জন্য বিমানন্দরগুলিতে বর্তমানে যতগুলি সুরক্ষা-ব্যবস্থা রয়েছে এবং ভবিষ্যতে যেগুলি মোতায়েন করার ভাবনা রয়েছে—সবগুলিকে একসূত্রে বাঁধা। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার জন্য বায়োমেট্রিক্স, ভিডিও অ্যানালিসিস—সবকিছু থাকাটা জরুরি।
দ্বিতীয়ত, যাত্রীদের হয়রানি কম করার জন্য বোর্ডেং পাস প্রথা তুলে দেওয়ার ভাবনাও চলছে বলে জানান বাহিনীর অধিকর্তা। তিনি বলেন, বর্তমানে এই ব্যবস্থা কেবলমাত্র হায়দরাবাদ বিমানবন্দরে চালু রয়েছে। কারণ, সেখানকার সিকিউরিটি ব্যবস্থা পুরোটাই বায়োমেট্রিক-নির্ভর।
এই সিস্টেমের আওতায় আন্তঃদেশীয় (ডমেস্টিক) যাত্রীরা টার্মিনাল বিল্ডিংয়ের বাইরে ডিপার্চার ফোরকোর্ট এরিয়ায় রাখা ‘সেল্ফ-সার্ভিস কিওস্ক’ থেকে নিজেরাই বোর্ডিং পাস প্রিন্ট করিয়ে সোজা এক্সপ্রেস সিকিউরিটি চেক-করার জায়গায় চলে যেতে পারেন। ফলে ওই যাত্রীকে আর চেক-ইন বা বোর্ডিং পাস কাউন্টারে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। এতে সময়ও বাঁচবে।
ও পি সিংহ জানান, ধীরে ধীরে দেশের অন্য বিমানবন্দরগুলিতেও এই ব্যবস্থা চালু করা হবে। চলতি মাসের শেষ অথবা আগামী মাসের শুরুতে এই সিস্টেম দেশের আরও ১০টি বিমানবন্দরে চালু হওয়ার কথা বলেও জানান তিনি।