এক্সপ্লোর
Advertisement
মশার বিরুদ্ধে হাইটেক যুদ্ধ ঘোষণা করল অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার
নয়াদিল্লি: মশাদের ঘনত্ব কত? কতরকম মশা পাওয়া যায়? তাদের স্ত্রী লিঙ্গ না পুং?
প্রথমে জানতে হবে এত কিছু। তারপর শুরু হবে মশার বিরুদ্ধে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে যুদ্ধ। অন্ধ্রের তিনটি শহর- বিজয়ওয়াড়া, বিশাখাপত্তনম ও তিরুপতিকে প্রথমে বেছে নেওয়া হয়েছে এই যুদ্ধের ক্ষেত্র হিসেবে। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রথমে বোঝা হবে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গি, চিকুনগুনিয়া ও জিকার মত মশাঘটিত রোগ মহামারী হওয়ার আগে মশার জন্ম কী রকম হচ্ছে। তারপর অবস্থা বুঝে হবে ব্যবস্থা।
ন্যাশনাল ভেক্টর বোর্ন ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রাম বলছে, দেশের ৯৫ শতাংশ মানুষ ম্যালেরিয়া বাস করেন ম্যালেরিয়া কবলিত এলাকায়। গোটা বিশ্বে প্রতি বছর যত মানুষ ম্যালেরিয়ার শিকার হন, তার মধ্যে ভারতীয়ের সংখ্যা প্রায় ৫ শতাংশ।
মশাদের ভনভনানি রুখতে কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রকে স্মার্ট মসকিউটো ডেনসিটি সিস্টেম নামে একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছে অন্ধ্রের চন্দ্রবাবু নাইডু সরকার। এর জন্য খরচ পড়বে প্রায় ৪ কোটি টাকা। প্রস্তাবটি সবুজ সংকেত পেলে ও প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ হলে বিজয়ওয়াড়া, বিশাখাপত্তনম ও তিরুপতি পুরনিগম এই প্রকল্প শুরু করতে পারবে। ঠিক হয়েছে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ব্যবহার করা হবে ১০টি করে সেন্সর। এই তিনটি শহরের ১৮৫ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় ১,৮৫০টি সেন্সর লাগানো হবে। এর ফলে বোঝা যাবে মশাদের ঘনত্ব, তাদের প্রজাতি ও লিঙ্গ। এরপর তা পাঠিয়ে দেওয়া হবে সেন্ট্রাল ডেটাবেসে। হাতে সমস্ত তথ্য নিয়ে আটঘাট বেঁধে শুরু হবে মশার বিরুদ্ধে যুদ্ধ। মশা প্রজনন বন্ধ করে তাদের নিশ্চিহ্ন করার লড়াইয়ে নামবেন স্বাস্থ্য আধিকারিকরা।
এ জন্য দেখা হবে, কোন প্রজাতির মশার ওপর কী ধরনের স্প্রে কাজ করছে। এর ফলে জিনিসের অপব্যয় কমানো যাবে। হাতে সম্পূর্ণ তথ্য থাকলে মশাবাহিত রোগ ছড়ানো রুখতে অনেক বেশি তৎপর হতে পারবে স্থানীয় প্রশাসন।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
জেলার
খবর
জেলার
ক্রিকেট
Advertisement