এক্সপ্লোর
Advertisement
রোহিঙ্গাদের বের করে দেওয়া হবে না, সুপ্রিম কোর্টে প্রতিশ্রুতি দিতে নারাজ কেন্দ্র
নয়াদিল্লি: ভারতে বসবাসকারী প্রায় ৪০ হাজার রোহিঙ্গাকে মায়ানমারে ফেরত্ পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে না, সুপ্রিম কোর্টে এমন কোনও প্রতিশ্রুতি দিল না কেন্দ্র।
রোহিঙ্গা মুসলিমদের যাতে এ দেশ থেকে বিতাড়ন করা না হয়, সেজন্য সর্বোচ্চ আদালতে আবেদন করেছেন ওই সম্প্রদায়ের দুজন। রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে 'দমনপীড়নমূলক ব্যবস্থা' নেওয়া হবে না, এই মর্মে প্রতিশ্রুতি চান মহম্মদ সালিমুল্লাহ ও মহম্মদ শাকির নামে দুই আবেদনকারী। কিন্তু কেন্দ্রের প্রতিনিধিত্ব করা অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, এমন কোনও আশ্বাস দিতে পারছি না। সর্বোচ্চ আদালত তাঁকে রোহিঙ্গাদের জীবন ও স্বাধীনতা রক্ষার আর্জির ব্যাপারে সরকারের সিদ্ধান্ত জেনে আসতে বলে।
রোহিঙ্গা আবেদনকারীদের কৌঁসুলি আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণকে এদিন প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ তাঁদের পিটিশনের কপি কেন্দ্রকে দিতে বলে, পাশাপাশি ১১ সেপ্টেম্বর পরের শুনানির দিন ধার্য করে।
প্রশান্ত ভূষণ বলেন, রোহিঙ্গারা দুনিয়ার সবচেয়ে দুর্ভাগা মানুষ। সর্বত্র কচুকাটা করা হচ্ছে ওদের। রক্ষা করুন ওদের। তবে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ সে ব্যাপারে কোনও ভরসা দেয়নি।
রোহিঙ্গাদের পিটিশনে সওয়াল করা হয়, তাদের বের করে দেওয়ার যে কোনও উদ্যোগ ভারত রাষ্ট্রের 'এ দেশের নাগরিক হোন বা না হোন, প্রতিটি মানুষের জীবন ও স্বাধীনতা রক্ষার' সাংবিধানিক গ্যারান্টির পরিপন্থী হবে। তাছাড়া, উদ্বাস্তুরা যে দেশে পাঠানো হলে জীবন বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা করছেন, সেখানে তাদের পাঠানো থেকে বিরত রাখার আন্তর্জাতিক আইনের শরিক ভারত। রোহিঙ্গাদের তাড়ানোর চেষ্টা করলে সেই আইন ভাঙবে ভারত।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবাধিকার কমিশন মায়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিম ও অন্য সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার লঙ্ঘন সংক্রান্ত রিপোর্টে উল্লেখ করেছে যে, সে দেশের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তাবাহিনী ধারাবাহিক ভাবে তাদের জীবন, সম্পত্তি ও নিরাপত্তার অধিকার লঙ্ঘন করে চলেছে। মহিলা, পুরুষ, শিশু নির্বিশেষে রোহিঙ্গাদের গ্রেফতার, আটক করা, নিখোঁজ করে দেওয়া, তাদের ওপর নির্যাতন, জোর করে কাজ করানো, এ জাতীয় অত্যাচার চলছে।
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেন রিজিজু সংসদে জানান, রোহিঙ্গা সমেত বেআইনি অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করে দেশ থেকে বের করে দিতে সব রাজ্যকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরপরই আতঙ্কিত হয়ে পড়ে রোহিঙ্গারা। এ ব্যাপারে সরকারকে নোটিস দেয় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
স্বাস্থ্য
জেলার
ক্রিকেট
জেলার
Advertisement