নোট বাতিল: কেলেঙ্কারির রেকর্ডের জন্য অস্বস্তিতে কংগ্রেস, কটাক্ষ জেটলির
নয়াদিল্লি: নোট বাতিল ইস্যুতে রাজনৈতিক তরজা অব্যাহত। প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীর আক্রমণের কয়েক-ঘণ্টার মধ্যে পাল্টা আক্রমণে বর্তমান অর্থমন্ত্রী।
এদিন কংগ্রেসকে একহাত নিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি জানান, ‘কেলেঙ্কারির রেকর্ড’ থাকায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে মোদী সরকারের নেওয়া একাধিক পদক্ষেপের ফলে অস্বস্তিতে পড়েছে কংগ্রেস।
জেটলির দাবি, ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিলের ফলে বিশ্বের দ্রুততম আর্থিক বৃদ্ধি সম্পন্ন প্রধান দেশ ক্যাশলেস অর্থনীতি এবং ডিজিটাল পেমেন্টের দিকে এগিয়ে চলছে। এর ফলে, কর এবং রাজস্ব আদায় যেমন সহজ হবে, তেমনই তা ফাঁকি দেওয়া কঠিন হবে। জেটলি মনে করেন, খরচের ওপর বিধিনিষেধ এবং প্যান নম্বর বাধ্যতামূলক করায় দুর্নীতি অনেকটাই কমবে।
নোট ইস্যুতে প্রতিদিন মোদী সরকারকে আক্রমণ করে চলেছেন কংগ্রেস সহ-সভাপতি রাহুল গাঁধী। এদিন সেই প্রসঙ্গে জেটলি জানান, নিজেদের ১০ বছরের শাসনকালে দুর্নীতি বা কালো টাকার বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি কংগ্রেস। তাঁর পাল্টা অভিযোগ, ২জি স্পেকট্রাম থেকে কয়লা ব্লক বণ্টন, আবার কমনওয়েলথ থেকে অগুস্তা ওয়েস্টল্যান্ড চপার—একের পর এক কেলেঙ্কারি কংগ্রেস জমানায় ঘটেছে।
জেটলি বলেন, এখনও বহু জায়গায় এই দুর্নীতির প্রসঙ্গগুলি আসে। এনডিএ-র দুর্নীতি-বিরোধী পদক্ষেপের ফলে যে কংগ্রেস অস্বস্তিতে পড়বে, তাতে অবাক হওয়ার মত কিছু নেই। তাঁর মতে, নগদ লেনদেনে অনেক ‘মূল্য’ চোকাতে হয়। ডিজিটাল পেমেন্টে সেই সমস্যা নেই। যদিও, জেটলি মনে করিয়ে দেন, একেবারে ক্যাশলেস করা সম্ভব নয়। ফলে, নগদ থাকবে। তবে, ডিজিটাল পেমেন্ট বাড়বে।
বাজারে নোটের আকাল নিয়েও এদিন মুখ খোলেন জেটলি। অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রত্যেকদিন রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বিপুল পরিমাণ নোট বাজারে ছাড়ছে। তাঁর আশা, আগামী তিন সপ্তাহে আরও প্রচুর নোট বাজারে ছাড়বে শীর্ষ ব্যাঙ্ক। তখন চাপ অনেকটাই কমে যাবে।