এক্সপ্লোর
Advertisement
Controversial Pocso Rulings: যৌন নিগ্রহ মামলায় বিতর্কিত রায়ের পর বম্বে হাইকোর্টের বিচারপতির স্থায়ীকরণের সুপারিশ প্রত্যাহার সুপ্রিম কোর্টের
বিচারপতি পুষ্পা ভি গানেডিওয়ালাকে বম্বে হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগের সুপারিশ করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু যৌন নিগ্রহ সংক্রান্ত দুটি মামলায় বিচারপতির বিতর্কিত রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে সেই সুপারিশ প্রত্যাহার করে নিল সুপ্রিম কোর্ট। বার অ্যান্ড বেঞ্চের রিপোর্ট অনুযায়ী এ খবর জানা গিয়েছে।
নয়াদিল্লি: বিচারপতি পুষ্পা ভি গানেডিওয়ালাকে বম্বে হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগের সুপারিশ করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু যৌন নিগ্রহ সংক্রান্ত দুটি মামলায় বিচারপতির বিতর্কিত রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে সেই সুপারিশ প্রত্যাহার করে নিল সুপ্রিম কোর্ট। বার অ্যান্ড বেঞ্চের রিপোর্ট অনুযায়ী এ খবর জানা গিয়েছে।
তিনটি মামলায় বিচারপতি গানেডিওয়ালার রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে বলে জানা গেছে। একটি যৌন নিগ্রহের মামলায় ওই বিচারপতি রায় দিয়েছিলেন যে, প্রকাশ্যে কোনও নাবালিকার হাত ধরা, প্যান্টের চেন খোলাও পকসো আইনের সাত নম্বর ধারায় অনুযায়ী যৌন নিগ্রহের পর্যায়ে পড়ে না।
অন্য একটি রায়ে ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্ত অব্যাহতি দিয়েছিলেন ওই বিচারপতি। বিচারপতি বলেন, একজন ব্যক্তি নির্যাতিতার মুখ চেপে রেখে, তার ও নিজের জামাকাপড় খুলে জোর করে যৌন সঙ্গম করেছে, কিন্তু বিন্দুমাত্র ধস্তাধস্তি হয়নি, এটা কার্যত অসম্ভব বলেই মনে হয়।
এক্ষেত্রে সহমত, সম্মতির ভিত্তিতে দুজনের মধ্যে যৌন সম্পর্ক হওয়ার সম্ভাবনাই প্রবল বলে মনে হচ্ছে, এমনই অভিমত জানিয়েছেন বিচারপতি গানেডিওয়ালা। বলেন, যদি বলপূর্বক যৌন সম্পর্কই হোত, তাহলে দুপক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়ে থাকত। কিন্তু মেডিকেল রিপোর্টে ধস্তাধস্তির জেরে আঘাতের কোনও চিহ্ন দেখা যায়নি।
এর আগে এক নাবালিকার যৌন নিগ্রহের মামলায় বিচারপতি একটি দায়রা আদালতের রায় সংশোধন করেন। দায়রা আদালতের রায়ে এক নাবালিকার যৌন নিগ্রহের জন্য ৩৯ বছরের এক ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। তাঁর রায়ে বিচারপতি গানেডিওয়ালা বলেছিলেন যে, শরীর না ছুঁয়ে, জামাকাপড় না খুলে শরীরে হাত দিলে তা যৌন নিগ্রহ নয়। পকসো আইনে যৌন নিগ্রহ হতে হলে ত্বকের স্পর্শ হওয়া চাই।
এই রায় নিয়ে সমালোচনার পর সুপ্রিম কোর্ট এতে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল।
বার অ্যান্ড বেঞ্চের রিপোর্ট অনুযায়ী, একটি মামলায় তাঁর রায়ের পরের দিন কলেজিয়াম বিচারপতি গানেডিওয়ালাকে স্থায়ী বিচারপতি করার সুপারিশ করেছিল। কিন্তু ওই সময় তাঁর ওই বিতর্কিত রায়ের খবর প্রকাশ্যে আসেনি।
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী. প্রধান বিচারপতি এসএ বোবডের নেতৃত্বে বিচারপতি এনভি রামানা ও রোহিনটন ফলি নরিম্যানকে নিয়ে গঠিত তিন সদস্যের কলেজিয়াম গত ২০ জানুয়ারি কেন্দ্র সরকারের কাছে পাঠানো সুপারিশ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
বার অ্যান্ড বেঞ্চের রিপোর্ট অনুযায়ী, বিচারপতি গানেডিওয়ালা ২০১৯-এর ৮ ফেব্রুয়ারি বম্বে হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন। বিচার বিভাগে তাঁর কেরিয়ার শুরু হয়েছিল ২০০৭-এ। ওই বছর জেলা বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন তিনি।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
কলকাতা
খবর
খবর
জেলার
Advertisement