এক্সপ্লোর
Advertisement
কোনও ভ্যাকসিনই কোনও রোগ ১০০ শতাংশ প্রতিরোধে সক্ষম নয়,সতর্কবার্তা করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় নিযুক্ত স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের
বিশ্ব হা পিত্যেশ করে বসে আছে করোনা টিকার জন্য। কিন্তু টিকা মানেই করোনামুক্তি এমনটা একেবারেই নয়, বলছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। দিল্লির স্যর গঙ্গারাম হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান এস পি বায়োত্রা বলেছেন, ’’ মানুষের মনে এমন একটা ধারণা রয়েছে টিকা নেওয়া মানেই সংক্রমণের হাত থেকে একশো শতাংশ রেহাই পাওয়া।
নয়াদিল্লি: আর কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দেশে করোনা টিকাকরণের কাজ শুরু হয়ে যাবে বলে আশাপ্রকাশ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু তারই মধ্যে টিকা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করলেন দিল্লির স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে টিকা মানেই একশো শতাংশ নিশ্চয়তা নয়।
কবে টিকা আসবে, তার দাম কত হবে, কোন টিকা কতটা কার্যকর, কী মাত্রায় টিকার ডোজ দেওয়া হবে এ সব নিয়ে চর্চা চলছেই। বিশ্ব হা পিত্যেশ করে বসে আছে করোনা টিকার জন্য। কিন্তু টিকা মানেই করোনামুক্তি এমনটা একেবারেই নয়, বলছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। দিল্লির স্যর গঙ্গারাম হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান এস পি বায়োত্রা বলেছেন, ’’ মানুষের মনে এমন একটা ধারণা রয়েছে টিকা নেওয়া মানেই সংক্রমণের হাত থেকে একশো শতাংশ রেহাই পাওয়া। কিন্তু টিকা আসলে অ্যান্টিজেন যেটা একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মানবদেহে অ্যান্টিবডি তৈরি করে। প্রতিষেধক নেওয়ার পরেও যদি কেউ সংক্রমিত হন, তা হলে তাকে কোনও ভাবেই প্রতিষেধকের ব্যর্থতা বলা যাবে না।‘‘
অনেক প্রতিষেধকের ক্ষেত্রে দুটি ডোজ দেওয়ার প্রয়োজন হয়। প্রথম ডোজ দেহে যাওয়ার পরে অ্যান্টিবডি তৈরির কাজ শুরু করে। দ্বিতীয় ডোজ অ্যান্টিবডিকে উচ্চ ক্ষমতাশীল ভাবে বজায় রাখতে সহায়তা করে।
অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়ান্সেসের জেরিয়াট্রিক মেডিসিনের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর প্রসূন চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, কোভ্যাক্সিন হচ্ছে মারণ ভাইরাস যেটা একবার দেহে প্রবেশের পরে কিছু উপাদান যেমন গ্লাইকোপ্রোটিন অ্যান্টিবডি তৈরি করতে শুরু করে। কোভিডের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বিপজ্জনক হল গ্লাইকোপ্রোটিন। এই ডোজ একবার দেওয়া হলে তা খানিকটা সুরক্ষা দেয়, দ্বিতীয় ডোজ হল বুস্টার ডোজ। প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুবার উদ্দীপিত করে।‘‘
প্রসূন চট্টোপাধ্যায় আবারও মনে করিয়ে দিয়েছেন করোনা প্রতিষেধক নেওয়ার পরেও করোনা বিধি মেনে চলতে হবে। কোনও ঢিলেঢালা মনোভাব কাম্য নয়।
করোনা প্রতিষেধকের পরীক্ষামূলক পর্বের তৃতীয় পর্যায়ে স্বেচ্ছাসেবক হয়েছিলেন হরিয়ানার স্বরাষ্ট্র ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী অনিল ভিজ। কিন্তু তারপরেও তিনি করোনা সংক্রমিত হয়েছেন।
তবে ভারত বায়োটেক জানিয়েছিল, করোনার সম্ভাব্য প্রতিষেধক কোভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ নেওয়ার ২৮ দিন পরে দ্বিতীয় ডোজ নিতে হয়। করোনা প্রতিষেধকের কার্যকারিতা বুঝতে গেলে দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর আরও ১৪দিন অপেক্ষা করতে হবে।
ফলে করোনা প্রতিষেধক এলেই একশো শতাংশ নিশ্চিত হওয়া যাবে না। যাবতীয় করোনা বিধি মেনে চলতে হবে, জানিয়ে দিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
পুজো পরব
খবর
জেলার
জেলার
Advertisement